জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খেলতে গিয়ে হেনস্থার শিকার অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর ২ ছেলে। হাত মুচড়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এমনকি, প্রতিবেশী প্রস্রাব চেটে পরিষ্কার করে দে বলেও হুমকি দেয়। এই ঘটনায় থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ। সোমবার সন্ধ্যায় গড়ফা থানায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন অভিনেতা। তাঁর আরও অভিযোগ, এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার অভিযুক্ত এভাবে হেনস্থা করেছে। এমনকি ওই প্রতিবেশী এমনভাবে হাত মুচড়ে দিয়েছে যে, হাতে হাড়ের অবস্থান ঘুরে গিয়েছে। গোটা ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়াতেও জানিয়েছেন অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর স্ত্রী দেবিকা বসু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি লিখেছেন, "আমার ছোট ছেলে হিমায়ান বসু, যাঁর বয়স আট বছর এবং বড় ছেলে বিশ্বায়ন বসু, যাঁর বয়স তেরো। গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী আমাদের বাড়ির সামনের একটি মাঠেতে খেলা করছিল এবং আমার ছোট ছেলে খেলা অবস্থায় তাঁর হঠাৎ টয়লেট পাওয়ায় সে একটি ফ্ল্যাট বাড়ির নিচে যে ছাদের জল পড়ার নালিটার কাছে সে টয়লেট করে। সেই সময় ওই বাড়িতে থাকা এক ভদ্রলোক আচমকা এসে তাঁর হাতটা মুচকে দিয়ে বলে ' এই টয়লেট - টা জিভ দিয়ে চেটে পরিস্কার করে দে '। তখন ছোট ছেলে কেঁদে উঠলে, আমার বড় ছেলে যায় এবং গিয়ে বলে ' কাকু ওকে ছেড়ে দাও, ওর লাগছে '। সেই সময় আমার ছোট ছেলে বলে ' আমি জল দিয়ে ধুয়ে দেবো, আমায় ছেড়ে দাও '। তখন ঐ ভদ্রলোক আমার বড় ছেলেকে বলে ' তাহলে তুই চেটে পরিস্কার করে দিয়ে যা '।  তাতে ছোট ছেলের হাতে লাগে এবং কেঁদে ফেলে এবং সেখানে পাড়ার লোকেরা প্রতিবাদ করায় তাদের সাথে বচসা হয়। তারপর ছোট ছেলে বাড়িতে এলে, তার বেশ কিছুক্ষন পর রাতের দিকে মারাত্বক ত্রমাট্রাইজ হয়ে যায় এবং আমরা বাড়িতে ছিলাম না। আমি আমার স্বামীর কাজে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং এই ঘটনা শুনে ফিরে আসি। ওই ভদ্রলোক জানান, এই ঘটনাটা আমার ছেলে ভয় দেখানোর জন্য করেছেন। পুলিশ এসে আমাদের পাশে দাঁড়ায়, কিন্তু আমাদের এই কেসটা তুলে নেওয়ার জন্য ওনার পাশের বাড়ির একজন আমাদের বলতে আমার স্বামীর বন্ধু আমাদের সঙ্গে থাকে তাকে একটু প্রেসারাইজড করে এবং তাঁর সঙ্গে আরেকজনও আসে,  যাঁরা এই কেসটা তুলে নেওয়ার জন্য প্রেসার দিয়েছে। গতকাল রাত্রিবেলায় ছেলের হাতের যন্ত্রণার জন্যে আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হই। দেবী শেঠী হাসপাতাল থেকে ওর এক্স রে হয়, সেখানে হাঁড় ডিসলোকেটড  না হলেও ডিসঅর্ডার হয়েছে, একটু নার্ভের ওপর চাপ পড়েছে এই রিপোর্ট হাসপাতাল আমাদের দেয়। সারারাত্রি প্রচন্ড ট্রমাট্রাইজ ছিল। আজ সকালে ছোট ছেলের হাতে ব্যান্ডেজ করে পাঠানো হয় এবং তাঁর আজকে ক্লাস টু - এর ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। স্কুল সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরে খুবই মর্মস্পর্শী এবং ছেলেকে পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বেশি দেওয়া হয়। এখনও আমরা ভদ্রলোককে না চেনাতে ট্রমাটাইজ হয়ে আছি এবং ওনার পাশের বাড়ির ওই ভদ্রলোক ক্রমাগত এই কেসটা তুলে নেওয়ার জন্য, আরেকজন ভদ্রলোক বাজারের আমাদের আশেপাশের লোককে বলছে।"


আরও পড়ুন, Article 370 Movie: দেশে চলছে দফা ৩৭০, বিদেশে দফারফা



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)