শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায় :  বলিউডের পর সম্প্রতি বাংলা ফিল্ম ইন্ডিস্ট্রিতেও উঠেছে 'স্বজনপোষণ'-এর অভিযোগ। আর এই অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি রয়েছেন, তিনি হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।  শনিবার Zee ২৪ ঘণ্টার লাইভে এসেছিলেন 'বুম্বা দা'। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কী বললেন তিনি?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

Zee ২৪ ঘণ্টার লাইভে, স্বজনপোষণ নিয়ে সরাসরি উত্তর না দিতে চাইলেও নানান আলোচনায় অনেক কথাই খোলসা করলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''প্রথমত এই বিষয়টি নিয়ে আমি কোনও আলোচনাই করতে চাই না। আমার কেরিয়ারের দিকে দেখলে বুঝবে, আমি যখন মেইনস্ট্রিম সিনেমা করতাম, তখনও অনেক নতুন পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছি। আজ হয়ত তাঁরা স্বনামধন্য। সেই পরিচালকরা প্রথম যখন কাজ শুরু করেছেন, তখন তাঁরা কারোর না কারোর সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন। তাঁদের মধ্যে কেউ হয়ত আমায় এসে বলেছিলেন, তুমি যদি ছবিটা করো, তাহলে প্রযোজক পাই। আমি করেছি। সেখান থেকে তাঁরা অনেকে ব্রেকও পেয়েছেন। পরবর্তীকালে তাঁরাই আবার ভালো পরিচালক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। যদিও তাঁদের সব ছবিতেই যে আমি কাজ করেছি, তেমনটাও নয়।''


প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, ''বাংলা ছবিতে তিন ইয়ারি কথা সিনেমার ভাষায় একটা বড় পরিবর্তন এনেছিল। যেখানে পরম, রুদ্র, নীল ছিল। ওরা তখন অনেক ছোট। সেটাও রানা, সুদেষ্ণার ছবি। আমার কেরিয়ারে অটোগ্রাফ অন্যতম ছবি। অথচ যখন অটোগ্রাফ হয়েছিল সৃজিত নতুন। আমার চিত্রনাট্য শুনে মনে হয়েছিল, ও নতুন দর্শক তৈরি করতে চাইছে। তবে ছবিটা যে এতটা ভালো হবে, সেটা হয়ত তখন বুঝিনি। পরবর্তীকাল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সৃজিতের মতো ভালো পরিচালক পেয়েছেন। আর এই যে লকডাউন চলছে, আমার কেরিয়ারেও এমন সময় কিন্তু আগেও এসেছে। এমন সময়ও এসেছিল, যেখানে ৬ মাস আমার কাছে কোনও কাজ ছিল না। ওই ৬ মাস আমি নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। পরে আবার ফিরে এসেছি। আবার আমি যখন টেলিভিশনে কাজ করেছি, তখনও এক ঝাঁক নতুন মুখ নিয়ে কাজ করেছি।''



সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর গোটা দেশে যে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে,  মানসিক অবসাদের প্রসঙ্গ উঠছে সেটা নিয়ে কী বলবে? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা বলেন, ''যে মানুষটা চলে গেছে, সে আমার ছেলের মতো। কিছু ঘটনার কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়াটাও কঠিন। কোনও ভাষা নেই। এটা সমস্ত ভাবনার উর্ধ্বে। আর বাকিটা যেটা চারিদিকে চলছে, সেটা নিয়ে আমি সত্যিই কিছু বলতে চাই না। আশা রাখি, একটা সময় মানুষ ঠিক বুঝবেন। যদি আমি কারোর কাছে কোনও অন্যায় করে থাকিও, হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে কোনও অসুবিধা নেই। যদিও আমি জানি, কোনও অন্যায় করিনি। যা কিছু চারিদিকে চলছে, আমার মনে হয় বিবেচনা করার প্রয়োজন আছে।''



প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে মেন্টর হিসাবেও দেখেছি, যাঁরা অবসাদগ্রস্ত, যাঁরা একটু পিছিয়ে পড়েছেন, তাঁদের পাশে কি তিনি থাকবেন? এর উত্তরে সরাসরি জবাব না দিয়ে অভিনেতা বলেন, '' লক্ষ লক্ষ মানুষের মতো আমরাও একটি অদ্ভুত পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। জানি না কী হতে চলেছে। আমার হয়ত ৩৫০ ছবি আছে। অভিজ্ঞতা আছে। তবে যদি কিছু হয়, আমাকেও হয়ত শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। প্রত্যেকটা প্রফেশনই মানুষকে আজকের দিনে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। আর আমিও এর বাইরে নই।''