Pankaj Udhas Exclusive: `কেকে-র মৃত্যু নিয়তি, কেউ দায়ী নয়`, আবারও কলকাতায় আসার প্রতিশ্রুতি পঙ্কজ উদাসের
Zee ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া Exclusive সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ উদাস সাফ জানান, কলকাতা তথা বাংলার মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অটুট।
দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার : কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকে(KK)র। এই ঘটনার পর থেকে অনেকেই বলছেন বাইরে থেকে কলকাতায় এসে শিল্পীরা আর অনুষ্ঠান করতে চাইবেন না। তবে এমন জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে শনিবার কলকাতায় Our Children Foundation-র জন্য 'জসবা' বলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন সঙ্গীতশিল পঙ্কজ উদাস (Pankaj Udhas)। Zee ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া Exclusive সাক্ষাৎকারে সাফ জানান, কলকাতা তথা বাংলার মানুষের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অটুট।
কেকের মৃত্যু এবং কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে আসা প্রসঙ্গে Zee ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া Exclusive সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ উদাস বলেন, ''কেকে আমার খুব প্রিয় এবং অসাধারণ একজন শিল্পী। ভারতীয় সঙ্গীতের জগতে ওঁর অবদান অনস্বীকার্য। আমি বলতে চাই কেকে-র সঙ্গে যা হয়েছে তা একটা বড় দুর্ঘটনা। একে নিয়তি বলা চলে। যা মানুষের হাতে নেই, তা ঈশ্বরের হাতে। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। আমি কলকাতায় ৪০ বছর ধরে আসছি। সঙ্গীতের প্রতি বাংলার মানুষ যেভাবে শ্রদ্ধাশীল তা অস্বীকার করা যায় না। ৪০ বছরে বাংলার বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আমি বলতে পারি না এখানকার মানুষ খারাপ। কলকাতায় পারফর্ম করার অনুভূতিই আলাদা হয়। আমি মনে করি, সঙ্গীতের জগতের সমস্ত বন্ধুরা আমার সঙ্গে সহমত হবেন, যে কেকের মৃত্যুতে কলকাতার কোনও দোষ নেই। এর জন্য বাংলার সরকারের কোনও দোষ নেই। এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এর অর্থ এই নয় যে আমরা কলকাতা আসা বন্ধ করে দেব। আমি কলকাতাতে ভালোবাসি, আমি কলকাতার শ্রোতাদের ভালোবাসি, বাংলার সঙ্গীতপ্রেমীদের ভালোবাসি।''
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার নজরুলমঞ্চে অনুষ্ঠান করার পর অসুস্থ বোধ করেন কেকে। অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে গিয়ে ঘটে যায় অঘটন। তাঁর ম্যানেজারের দাবি অনুয়ায়ী, হোটেলের ঘরে ঢুকে তিনি পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মোমিনপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নজরুলমঞ্চ থেকে যে হোটেলে তিনি ফিরেছিলেন সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে লবিতে বেশ অসুস্থভাবেই হেঁটে যাচ্ছেন শিল্পী। কিন্তু লিফটে তাঁকে ঝুঁকে পড়তে দেখা গিয়েছে। পরে হোটেলের ঘরে ঢুকে সোফায় বসতে গিয়ে পড়ে যান।