ওয়েব ডেস্ক : গভীর রাত পর্যন্ত টালিগঞ্জ থানায় জেরা করা হল অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়কে। গতকাল রাত পৌনে ১০টা নাগাদ থানায় পৌঁছন তিনি। এরপর প্রায় সোয়া ১টা পর্যন্ত চলে সওয়াল জবাব। বিক্রমের সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবাও। ৭ দিনের মধ্যে থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিনেতার কাছে পুলিসের প্রথম প্রশ্ন, কীভাবে দুর্ঘটনা হল? সূত্রের খবর পুলিসের সামনে বিক্রমের দাবি, তাঁর গাড়ি ব্রেক ফেল করেনি। ট্রাম লাইনে চাকা পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনা হয়। এরপর পুলিস জানতে চায়, তাহলে কি খুব জোরে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি?  এবার বিক্রম দাবি করেছেন, সে রাতে তার গাড়ির স্পিডোমিটার ১০০ পার করেনি। দুর্ঘটনার পর বিক্রম কাকে কাকে ফোন করেন? সনিকার বাড়িতে ফোন করেছিলেন কি না, তাও পুলিস জানতে চায়। বিক্রম জানিয়েছেন, পার্টিতে যে বন্ধুরা ছিলেন, তাদেরকেই তিনি প্রথম ফোন করেন। প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালেই বা সনিকাকে নিয়ে যাওয়া হল সেটাও জানতে চাওয়া হয় অভিনেতার কাছে।


ফরেনসিকের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বিক্রমের গাড়িতে কোনও ত্রুটি ছিল না। বিক্রমও দাবি করেন, তিনি সেদিন সিটবেল্ট বেঁধেছিলেন। তাহলে কেন খুলল না এয়ারব্যাগ? তা জানার জন্য গাড়ির ২টি এয়ারব্যাগ ফের ফরেনসিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনার রাতে মদ্যপান করেছিলেন বিক্রম। পুলিসের কাছে চাঞ্চল্যকর দাবি, বিক্রম-সনিকার বন্ধু অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের। সেই রাতে বিক্রম-সনিকার সঙ্গে পার্টিতে ছিলেন অনিন্দ্যও। ছিলেন সানি নামে আরেক বন্ধুও। আদালতে তাঁদের গোপন জবানবন্দি দেওয়ানো হতে পারে বলে, পুলিস সূত্রে খবর। ঘটনার গভীরে পৌঁছতে আরও কয়েকজন বন্ধুকে তলব করেছে পুলিস।