`ডাক্তার কাকু`, Prosenjit-র ছেলে এবার Riddhi, মূল্যবোধের গল্প বলবেন পাভেল
আগামী বছর ১ জুলাই, ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে সিনেমাহলে আসবে `ডাক্তার কাকু`
নিজস্ব প্রতিবেদন : শারীরিক অসুস্থা, কঠিন ব্যাধির কাছে 'ডাক্তার' শব্দটা আমাদের কাছে খানিকটা যেন ঈশ্বরতুল্য। যদিও আজকাল অনেকেই বলে থাকেন, 'চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়, চিকিৎসা এখন ব্যবসা'। তবুও এমন বহু ডাক্তার এখনও আছেন, যাঁরা এখনও মানুষকে ভালোবেসেই চিকিৎসা করেন। তাঁদের মধ্যে এখনও মূল্যবোধ বেঁচে আছে। তেমনই এক চিকিৎসকের গল্প বলবে পাভেলের আগামী ছবি 'ডাক্তার কাকু'। ছবিতে এই 'ডাক্তার কাকু' ভূমিকায় দেখা মিলবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)এর। আর তাঁর ছেলের ভূমিকায় দেখা যাবে ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen)কে।
ছবি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) বলেন, ''ডাক্তার কাকু পাভেলের সঙ্গে আমার প্রথম কাজ হবে। কিন্তু আমি পাভেলের সব ছবি দেখেছি। খুব সুন্দর ছবি বানায় ও। এই ছবিটা গত বছরই হওয়ার কথা ছিল, পরিস্থিতির কারণে শ্যুটিং সিডিউল করেও আমরা শুরু করতে পারিনি। ডাক্তার নিয়ে গোটা পৃথিবীতেই নানান আলোচনা, সমালোচনা হয়। এ ছবির মূল বিষয় নিয়ে এখনই কিছু বলব না। তবে বিগত দু'বছর ধরে দেখছি, ডাক্তার, নার্স, এরাঁই জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আর সেটা শুধু এদেশে নয়, গোটা পৃথিবী জুড়ে। একসময় ড: বিধানচন্দ্র রায়ের কথা লোকে বলতেন, বলা হত ডাক্তার দেখলেই রোগী সুস্থ হয়ে যায়। এটা আসলে একজন ডাক্তারের চরিত্র। আর 'ডাক্তার কাকা' এমন একজন যিনি শুধু ওষুধ দিয়ে নয়, মন থেকে, ভালোবেসে রোগীর পাশে থাকেন। এমনই একটা চরিত্র, যেটা পাভেল লিখেছেন। ডাক্তারদের দায়িত্ব নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানোর জায়গাটা আমায় এটা একটা সুযোগ করে দেবে। আর এনা (প্রযোজক এনা সাহা) তো বাচ্চা মেয়ে, তবে ও দুটো ছবি বানিয়েছেন। নতুন প্রযোজনা সংস্থা আসুক, আরও ছবি হোক, ইন্ডাস্ট্রি বড় হোক, সেটাই চাইব। আর যে ছেলেটাকে আমি কোলে করে বড় করেছি, সে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে, দেশের মধ্যে অন্যতম সেরা অভিনেতা। সেই ঋদ্ধি এই ছবিতে আমার ছেলের চরিত্র অভিনয় করছে। এটাও আমার একটা ভালোলাগা, যে তৃতীয় প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করছি। ঋদ্ধির সঙ্গে কাজ করাটাও আমার কাছে এখন চ্যালেঞ্জ।''
আরও পড়ুন-রিলের প্রেম এবার রিয়েলেও? বাস্তবেও একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন রিমলি-উদয়?
ছবির পরিচালক পাভেল বলেন, ''যে ডাক্তাররা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করে গত দু'বছর মহামারীর সঙ্গে লড়ে গেছেন। সেই ডাক্তারদের সম্মান জানাতেই আমার এই ছবিটা করা। যদিও অনেকে বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা নয়, চিকিৎসা এখন ব্যবসা। এই ছবিতে এই দুই দিকেরই প্রতিফলন হবে। এক বৃহত্তর সামাজিক দিক উঠে আসবে, এচা মূল্যবোধের গল্প। ছোটবেলায় অনেক হাউস ফিজিশিয়ানদের দেখেছি, তাঁদের চেম্বার হয়ত ঝাঁ চকচকে ছিল না, তবে তাঁদের চিকিৎসার মধ্যে ভালোবাসা ছিল। এই যে ডাক্তার কাকু ডাকটার অনেক কাছের করে তোলে। এমন পাড়ায় পাড়ায় অনেক ডাক্তার ছিলেন, যাঁরা হাসপাতাল, নার্সিংহোমের সঙ্গে না জড়িয়েও স্থানীয়দের সেবা করে গেছেন, ডাক্তার কাকু তাঁদের গল্প।আমার আর বুম্বাদার এটা প্রথম কাজ। যদিও বুম্বাদা আমায় ভালোবেসে অসুর ছবির টিজারে কণ্ঠ দিয়েছিলেন। ওঁর মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করতে গেলে ডাক্তার কাকুর মতোই একটা চিত্রনাট্য লাগে। আমি ভীষণই আগ্রহী। সেটাই ছবিতে বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।''
জানা যাচ্ছে, আগামী বছর ১ জুলাই, ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে সিনেমাহলে আসবে 'ডাক্তার কাকু' ।