Rahul Bandopadhyay:`তৃণমূল ঘনিষ্ঠ না হলে কি নন্দনে শো পাওয়া যাবে না?`,ছবি শো না পাওয়ায় প্রশ্ন রাহুলের
এটি একটি পরীক্ষামূলক ছবি, তাই এই ছবি নন্দনে দেখানো হবে, এমনটাই আশা ছিল পরিচালক ও অভিনেতার। কিন্তু নন্দনে অ্যাপ্লাই করেও হল পায়নি রাহুলের ছবি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে সৌম্য সেনগুপ্তর(Saumya Sengupta) ছবি 'মৃত্যুপথযাত্রী'। ছবিতে একক অভিনয়ে দেখা যাবে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Rahul Arunodoy Bandopadhyay)। জেলবন্দি এক আসামীর রাত পোহালেই ফাঁসি, তার আগের ১২ ঘণ্টা কীভাবে কাটছে তাঁর, সেই নিয়েই ছবির চিত্রনাট্য। ট্রেলারেই নজর কেড়েছে এই ছবি। কিন্তু শুক্রবার ছবি রিলিজের পরে ইচ্ছে থাকলেও এই ছবি দেখা এক কথায় দুষ্কর সিনেপ্রেমীদের কাছে। কারণ কলকাতায় মাত্র একটি হলে জায়গা পেয়েছে এই ছবি। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে মাত্র ছয়টি হলে দেখানো হচ্ছে এই ছবি।
এটি একটি পরীক্ষামূলক ছবি, তাই এই ছবি নন্দনে(Nandan) দেখানো হবে, এমনটাই আশা ছিল পরিচালক ও অভিনেতার। কিন্তু নন্দনে অ্যাপ্লাই করেও হল পায়নি রাহুলের ছবি। এই প্রসঙ্গে রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানান,'মত্যুপথযাত্রী একটি অত্যন্ত পরীক্ষামূলক ছবি। ফর্ম নিয়ে, কনটেন্ট নিয়ে অনেক পরীক্ষা করেছেন নির্দেশক। এই সিনেমাটার কলকাতায় কিছু ভালো হল পাওয়া জরুরি ছিল। যদি নজরুলতীর্থের মতো পান্ডববর্জিত জায়গায় একটি শো পাওয়া যায়,তাহলে আমরা কী করে বলব যে আমরা লড়াইয়ে হেরে গেছি, আমাদের তো লড়াই করার সুযোগই দেওয়া হল না। বিশেষ করে, পরীক্ষামূলক ছবির জন্য একটি বিশেষ হল আছে, সেটি হল নন্দন। নন্দনে কী তৃণমূল ঘনিষ্ঠ না হলে কোনও শো পাওয়া যাবে না? কেউই পাবে না? এই যে ধারাটা শুরু হয়েছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক, লজ্জাজনক। কারণ নন্দন কখনও কোনও পার্টির দখলে চলে যাক তা আমরা চাই না।'
পাশাপাশি নন্দনে শো না পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক সৌম্য সেনগুপ্তও। তিনি বলেন,'প্রথমত কলকাতার সবথেকে বড় ফিল্ম ডিসট্রিবিউটর চূড়ান্ত অপেশাদারের মতো ছবি রিলিজের দেড় দিন আগে মাত্র ৬ টা শোয়ের লিস্ট দিয়ে বলল 'এহি কাফি হ্যায়'। দ্বিতীয়ত ওদের থেকেই জানলাম যে নন্দন আমার সিনেমাকে একটিও শো দেয় নি। এখানে নন্দন তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন আছে-
১) নন্দনে সিনেমা নির্বাচনের মানদণ্ড কি? ২) একটা ইউনিভারসাল সার্টিফিকেট পাওয়া ছবি চললে বাধা কোথায়? ৩) নন্দন তৈরিই হয়েছিল মৌলিক ও পরীক্ষামূলক সিনেমা প্রদর্শনের জন্য তাহলে মৃত্যুপথযাত্রীর মতো চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক একটা ছবিকে কেন শো দেওয়া হলো না? ৪) বাকি যে ছবি গুলো শো পেল মৃত্যুপথযাত্রী তার থেকে কোন অংশে কম? ৫) ছবি বাতিলের কারণ পরিষ্কার ভাবে জানাতে হবে। 'মৃত্যুপথযাত্রী' একটি পরীক্ষামূলক সিনেমা। এরকম সিনেমা বানাতে বুকের পাটা লাগে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে মৃত্যুপথযাত্রীর মতো ছবি আগে হয়নি। বাংলার মানুষ আমার সিনেমা দেখতে অবশ্যই উৎসাহী হবেন সে বিষয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। তাহলে আমার ছবি নন্দনে জায়গা পেল না কেন? বাকি যে ছবি গুলো নন্দনে ঠাঁই পেল সেগুলো কি কাল্ট বাংলা ছবির মধ্যে পড়ে? আমি আমার সিনেমার ট্রেলারের লিঙ্ক দিলাম। এবার দর্শকরাই বিচার করুন নন্দনে মৃত্যুপথযাত্রীর শো পাওয়া উচিত ছিল কি না।'