নিজস্ব প্রতিবেদন : এবার বলিউডের ছবিতে অভিনয় করছেন বাংলার রূপান্তরকামী অভিনেতা শ্রী ঘটক মুহুরি। সৌজন্যে, রামকমল মুখোপাধ্যায়ের 'সিজনস্ গ্রিটিংস'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রামকমল মুখোপাধ্যায়ের এই ছবির মাধ্যমেই বলিউডে কামব্যক করছেন সেলিনা জেটলি। ছবিতে রয়েছে একটি রুপান্তরকামীর চরিত্র, যার নাম চপলা। সেই চরিত্রে কোনও অভিনেতা বা অভিনেত্রী অভিনয় করুক এমনটা চাননি পরিচালক। রামকমল মুখোপাধ্যায়ের কথায়, এই চরিত্রটিতে কোনও অভিনেতা, অভিনেত্রীই ঠিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না, যতটা ভালো ফুটিয়ে তুলতে পারবেন একজন রূপান্তরকামী। ছবির প্রযোজক অরিত্র দাসই প্রথম শ্রীর সঙ্গে রামকমল মুখোপাধ্যায়ের পরিচয় করিয়ে দেন। তারপরই চপলা চরিত্রটির জন্য শ্রী-কে বেছে নেন রামকমল। প্রসঙ্গত, শ্রীই প্রথম বলিউডের রূপান্তরকামীর অভিনেতা।


আরও পড়ুন-মার্কিন মুলুকে বসেই বাংলা ছবি বানিয়ে ফেললেন প্রবাসী এই বাঙালি



আরও পড়ুন-ভোটের আগে কেন মোদীর বায়োপিক? জানতে চেয়ে প্রযোজককে চিঠি কমিশনের


এপ্রসঙ্গে 'বলিউড লাইফ'কে শ্রী বলেন, '' রামকমল মুকোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটাই আলাদা। উনি আমার কাছ থেকে সেটাই বের করে নিয়েছেন যেটা ঠিক উনি চেয়েছেন। উনি (পরিচালক) আমার মেকআপ, চুল, পোশাক সবকিছু নিয়েই এক্কেবারেই পরফেক্ট ছিলেন। উনি (পরিচালক) আমার এই লুকটা নিয়ে ভীষণ সচেতন ছিলেন, যাতে চরিত্রটা পর্দায় এক্কেবারেই জীবন্ত হয়ে ওঠে।''


শ্রী আরও বলেন, '' বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রূপান্তরকামীর চরিত্রে অভিনয়ের নামে বলিউড ছবিগুলিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় বড় বেশি বিদ্রুপের আকার নেয়। তাই প্রথমে এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য হ্যাঁ বলার আগে আমি সাতবার ভেবেছি। তবে চিত্রনাট্যটা যখন শুনলাম আমার চোখে জল চলে এসেছিল। আমি ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাজি হয়ে গেলাম।''



 ২০১৫ সালে কিছু অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পুরুষ থেকে নারী হয়ে ওঠেন শ্রী। রামকমল মুখোপাধ্যায়ে 'সিজন গ্রিটিংস' ছবিতে সেলিনা জেটলি, লিলেট দুবে। 'সিজন গ্রিটিংস' ছবির গল্প একটি মা ও মেয়ের উপর আধারিত। যেখানে মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন সেলিনা জেটলি আর তাঁর মায়ের চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী লিলেট দুবেকে। 


আরও পড়ুন-মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতার মঞ্চে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শাহরুখ!



প্রসঙ্গত, পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের এই ছবিতেই প্রথম  'ইন্টিমেসি সুপারভাইজার' নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বি-টাউনে যেভাবে #MeToo ঝড় উঠেছে সেবিষয়টি এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিচালক। শ্য়ুটিং চলাকালীন চুম্বন, আলিঙ্গল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘনিষ্ঠ দৃশ্য়ে অভিনয়ের সময় অভিনেত্রীরা কখনও অস্বস্তি বোধ করতেই পারেন। এমনকি শ্য়ুটিংয়ের সময় পরিচালকের কোনও ব্য়বহারেও সমস্য়া তৈরি হতে পারে। যা ভবিষ্যতে #MeToo-র আকার নিতে পারে। এই বিষয়টি যাতে না ঘটে, সেকারণেই শ্যুটিং ফ্লোরে এই 'ইন্টিমেসি সুপারভাইজার' রাখা হয়ে থাকে। যিনি শ্যুটিংয়ের সময় গোটা ঘটনার উপর নজরদারি চালাবেন। কারোর কোনও বিষয়ে কোনও আপত্তি রয়েছে কিনা সেবিষয়টি খেয়াল রাখবেন।।


আরও পড়ুন-ডিসোসিয়েটিভ আইডেন্টিটি ডিসঅর্ডার ও মানসিক দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খুললেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়