The Nandini Murder Case: সেই চেনা ছক! ভেঙে বেরোনোর সাহস কই?
Web Series: ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ৮-এ মুক্তি পেয়েছে পরিচালক অভিনন্দন দত্তের নয়া ওয়েব সিরিজ ‘দ্য নন্দিনী মার্ডার কেস’। কেমন হল সেই ওয়েব সিরিজ?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ওটিটি-র ভরা বাজারে থ্রিলার এখনও হটকেক। সেটাই কাজে লাগাতে চেষ্টার কসুর করেননি পরিচালক অভিনন্দন দত্ত। তাঁরই গল্প ও পরিচালনায় প্ল্যাটফর্ম ৮-এ(Platform 8) সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ ‘দ্য নন্দিনী মার্ডার কেস’-এ (The Nandini Murder Case) ট্যুইস্ট ছিল ভরপুর। তবু পুরো ছকটাই যে বড্ড চেনা, বহু ব্যবহৃত। বাঁধা গত ছেড়ে গল্প একটু অন্য দিকে হাঁটলে মন্দ হত না! মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঈশানী সেনগুপ্ত, সত্যম ভট্টাচার্য, দেবরাজ ভট্টাচার্য, শ্রেয়া ভট্টাচার্য, লোকনাথ দে, আরিয়ুন ঘোষ প্রমুখ।
উত্তরবঙ্গে শ্যুটিং চলাকালীনই আচমকা খুন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় (ঈশানী সেনগুপ্ত)। শ্যুটিংয়ে তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্বামী কাঞ্চন (দেবরাজ ভট্টাচার্য) ও বন্ধু সাংবাদিক পলি (শ্রেয়া ভট্টাচার্য)। তাঁরা তো বটেই, ছবির নায়ক রোহিত (সত্যম ভট্টাচার্য), সহ-অভিনেতা আবির (আরিয়ুন ঘোষ), পরিচালক সমরের (অভিনন্দন দত্ত) দিকেও একে একে ঘুরল সন্দেহের তির। এবং পুলিশি তদন্তের পরতে পরতে বেরিয়ে এল একের পর এক সত্যি। সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির আলোআঁধারি। কিন্তু সব জট পেরিয়ে রহস্যের সমাধান কি করতে পারলেন এসিপি রঞ্জন (লোকনাথ দে)? কী ভাবেই বা এগোলেন তদন্ত? সেই পথেই হেঁটেছে এই সিরিজ।
চমকে দেওয়া ট্যুইস্ট? আছে। সম্পর্কের বুনোটে, রহস্যের পর্দা ফাঁসেও। কিন্তু ভুল হয়ে গেল অন্য একটা জায়গায়। ইন্ডাস্ট্রির সফল অভিনেত্রী মানেই তাঁকে প্রযোজক-পরিচালকের সঙ্গে আপস করতে হয়েছে, শুধুমাত্র যৌনতার বিনিময়েই এসেছে কাজের সুযোগ, কিংবা নামী নায়কের সঙ্গে সম্পর্কের পথে হাঁটতে হয়েছে — কাস্টিং কাউচের এই চেনা ছক ভেঙে এ গল্প বেরোতেও পারত। শুধু তাই নয়। খ্যাতির আলোকবৃত্তে থাকা স্ত্রীর সঙ্গে অসফল স্বামীর অসুখী দাম্পত্য এবং পরকীয়া— এই বাঁধা গতের গল্পও বড্ড একঘেয়ে লাগে ইদানীং। বিশেষত যেখানে অন্য রকম গল্প, ভিন্ন ধাঁচের গল্প বলার যথেষ্ট উদাহরণ তৈরি করছে হিন্দি ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো। বাংলা ওয়েব সিরিজও সেই পথে হাঁটলে ক্ষতি কী?
আরও পড়ুন- Telly Academy Awards 2023: সেরা গীতিকার, ‘জগদ্ধাত্রী’-র জন্য টেলি অ্যাকাডেমি মমতার…
নন্দিনীর ভূমিকায় ঈশানীকে বেশ মানিয়ে যায়। কাঞ্চন ও রঞ্জনের ভূমিকায় নজর কেড়েছেন দেবরাজ এবং লোকনাথ। ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ সত্যম-দেবরাজের ঘিরে বেশ বড়সড় একটা আগ্রহ তৈরি করে দিয়েছিল। তার পরে ফের এই সিরিজে দু’জনে একসঙ্গে। কিন্তু প্রত্যাশার তুলনায় সত্যমকে একটু যেন কমজোরি লাগে এই সিরিজে। পলি-র ভূমিকায় শ্রেয়ার অনেক কিছু করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সিরিজ জুড়ে প্রায় প্রতিটা দৃশ্যেই ভুরু কুঁচকে থাকা বিরক্ত মুখের শ্রেয়াকে বড্ড একঘেয়ে লাগে। তবে সমরের ভূমিকায় পরিচালক অভিনন্দনকে ছাপিয়ে গিয়েছেন অভিনেতা অভিনন্দন। ছোট্ট চরিত্রে ভাল লাগে আরিয়ুনকেও। যদিও রঞ্জনের স্ত্রী কিংবা নন্দিনীর বাবা-মায়ের চরিত্রে অভিনেতা বাছাইয়ে আর একটু মনোযোগ দিতেই পারতেন পরিচালক। এই সিরিজে প্রাপ্তি কিন্তু আরও এক জন। গায়ক দেবরাজ। সিরিজে একটি গান তাঁর গলায়। গানটা যে বেশ ভালই গাইতে পারেন, দেখিয়ে ছেড়েছেন অভিনেতা।