রণয় তিওয়ারি:  মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে অশ্রাব্য গালিগালাজ, ইউটিউবার রোদ্দুর রায়(Roddur Roy)কে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে পাঠাল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েক উদ্দেশ্যে অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন ইউটিউবার রোদ্দুর রায়(Roddur Roy)। এরপরই কলকাতার একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে ১২০বি, ৪১৭, ১৫৩,৫০১,৫০৪,৫০৫,৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়। এরপর যুক্ত হয় ১৫৩এ, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮,৪৬৯ ধারা অর্থাৎ সম্মানহানি, অশালীন মন্তব্য,বিদ্বেষমূলক,অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র,ঘৃনা প্রদর্শন সহ একাধিক ধারাতেও মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় তদন্তে নেমে মঙ্গলবার গোয়া থেকে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস(Kolkata Police)। বুধবার রাতে তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বৃহস্পতিবার পেশ করা হয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। 


রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতারি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় নেটদুনিয়া। কারণ, একদিকে যেমন অনেকেই রোদ্দুর রায়ের ভাষার বিরোধিতা করেছেন। সেরকমই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। বৃহস্পতিবার রোদ্দুর রায়কে দেখতে আদালত চত্বরে উপচে পড়ছিল ভিড়। ভিড় সামাল দিতে হাসফাঁস অবস্থা হয় পুলিশ কর্মীদের। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল গোটা আদালত চত্বর। রোদ্দুর রায়ের ধারে কাছেও কেউ যাতে ঘেঁষতে না পারে, সেই মোতাবেক জায়গায় জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিন আদালত চত্বরে ছিল একটাই আলোচনা "রোদ্দুর রায়"।


আদালতের আইনজীবীরা তো বটেই, সেখানকার ক্লার্ক থেকে শুরু করে যাঁরাই এসেছেন, প্রত্যেকেই রোদ্দুর রায়কে একবার চোখের দেখা দেখার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ছেন। একই সঙ্গে আদালত চত্বরে দেখা যায় কয়েক শো ইউটিউবারকেও। আদালত চত্বরে যারা কাজ করেন, তাঁদেরকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে শোনা গেল, 'ভাই রে একঘন্টার ওপর হয় গেলো, কাউন্টারে একটাও লোক নেই। 'সবাই রোদ্দুর রায়কে দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছেন। শুধু তাই নয়, যাঁরা নিচে দাঁড়ানোর জায়গা পাচ্ছেন না, তাঁরা দুতলা থেকে দেখছেন। সবার হাতে মোবাইল। রোদ্দুর রায়কে মোবাইলবন্দি করার জন্য পুলিসের সঙ্গেও মাঝে সাঝে তর্কতে জড়িয়ে পড়েছেন কেউ কেউ।


মামলার শুনানির সময় প্রবল উত্তেজনা দেখা যায় এজলাসের ভেতর। দুপক্ষের বাক বিতণ্ডায় পেছন থেকে হাততালি দিতে থাকেন প্রচুর রোদ্দুর সমর্থক। এজলাস থেকে বেরোনোর সময় রোদ্দুর হাত নাড়তে নাড়তে। ব্যঙ্গ করতে করতে আদালতে ঢুকতে দেখা যায় রোদ্দুর রায়কে। সেই দৃশ্য দেখেন বিচারকও।