নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের জেরে দেশের অন্য সব ক্ষেত্রের মতো টেলি দুনিয়ারও যে অবস্থা বেশ খারাপ, তা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে বার বার করে। টেলি দুনিয়ার দৈনিক রোজগেরেদের অবস্থা বেশ শোচনীয় বলে খবর। লকডাউনের কাজ হারানোর জেরে ইতিমধ্যেই মনমীত গ্রেওয়াল এবং প্রেক্ষা মেহতা নামে পরপর দুই অভিনেতা, অভিনেত্রীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন টেলিভিশনের প্রথম সারির অভিনেতা রণিত বোস রায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি বলেন, টেলি দুনিয়ার মানুষগুলোর কী অবস্থা, প্রযোজনা সংস্থাগুলো একেবারেই সেই খবর নিচ্ছে না। কত মানুষের রোজগার করা অর্থ তাঁদের হাতে এসে পৌঁছচ্ছে না, সেই খবর নিয়ে যখন বার বার আলোচনা করা হচ্ছে, তখন যাঁর যা বাকি রয়েছে, সেসব মেটানো উচিত। তিনি নিজেই চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে নিজের প্রাপ্য টাকা হাতে পাননি। বর্তমানে জমানো টাকা দিয়েই তাঁর সংসার চলছে। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর নিজের একটি ছোট ব্যবসা রয়েছে। তাও বন্ধ মার্চ মাস থেকে। ফলে জমানো অর্থের উপর নির্ভর করেই তাঁর সংসার চলছে বলে জানান রণিত।


 



এসবের পাশাপাশি তিনি আরও জানান, নিজে গত জানুয়ারি থেকে প্রাপ্য টাকা না পেলেও, ১০০ পরিবারকে সাহায্য করছেন। অনেক অসুবিধা করে, কখনও জিনিসপত্র বিক্রি করে ওই পরিবারগুলিকে তিনি সাহায্য করছেন বলে জানান মুম্বইয়ের এই বাঙালি অভিনেতা। তবে যে প্রযোজনা সংস্থাগুলির এত নাম, যশ, প্রতিপত্তি এবার তাদের হাত বাড়ানো উচিত। জাতীয় সড়কের উপর থেকে যাদের জেল্লাদার অফিস চোখে পড়ে, এবার সেই সংস্থাগুলির এগিয়ে আসা উচিত বলেও মন্তব্য করেন রণিত রায়।


এসবে পাশাপাশি রণিত রায় বিয়ে নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি বলেন, নিলম সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে কোনও স্বর্গে তৈরি নয়। নিলমের সঙ্গে বিয়ের পর তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে অনেক কাজ করেছেন। নিলম একজন খুব শক্ত মনের মানুষ এবং ঘরণী। তাই নিলমের পছন্দ অপছন্দের বিষয়কে তিনি সব সময় গুরুত্ব দিয়েছেন। নিলমের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সংসারকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। সেই কারণেই এত বছর ধরে তাঁরা একে অপরকে ভালবেসে সংসার এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বলেও জানান রণিত রায়।


প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে নিলম সিংয়ের সঙ্গে সংসার পাতেন মুম্বইয়ের এই জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা। এরপর তাঁদের সংসারে আসে আরও ৩ সন্তান।