The Kerala Story Banned: `সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ফেরত পেতে দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর...`
The Kerala Story Banned: দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। কেরালা থেকে শুরু করে ভারতের সর্বত্রই এই ছবি ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এর মাঝেই সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে পশ্চিমবঙ্গে `দ্য কেরালা স্টোরি` চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত।
The Kerala Story Banned, CM Mamata Banerjee, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাজ্যে বন্ধের পথে দ্য কেরালা স্টোরি। সিনেমা চলাকালীন রাজ্যে হিংসার ছড়াতে পারে, এমন অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গে দ্য কেরালা স্টোরিকে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, ‘রাজ্যে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে পশ্চিমবঙ্গে 'দ্য কেরালা স্টোরি' চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। এই সিনেমায় যেসব দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে আশঙ্কা করে কলকাতাসহ সব জেলাতে এই ছবির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হল। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত।’ এই বিষয়ে কী বলছেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন- Arijit Singh: কনসার্ট চলাকালীন মঞ্চ থেকে হাত ধরে টান, আহত অরিজিৎ সিং...
কৌশিক সেন জি ২৪ ঘণ্টাকে জানান, ‘আমি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি। কারণ এই সিনেমা রিলিজ করার পর কেরালাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে যে বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তা খুবই ক্ষতিকারক হতে পারে। আমাদের রাজ্যে কিছুদিন আগে কয়েকটা জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছিল। পরিস্থিতি উত্তপ্ত, সেই সময়ে এই ছবি নিয়ে ফের নানা প্রতিক্রিয়া থেকে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী দল এর সুযোগ নিয়ে হিংসা ছড়াতে পারে, তাতে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হতে পারে। সেরকম পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তৈরি এই ছবি। কেরালার যে ছবি তুলে ধরা হয়েছে তা মোটেও কেরালার প্রকৃত চেহারা নয়। এ আর রহমান থেকে শুরু করে কেরালার বিশিষ্ট কার্টুনিষ্টও এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন।’
দ্য কেরালা স্টোরি ছবির সংগীত পরিচালক বিশাখজ্যোতি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। আমাদের বাকস্বাধীনতা রয়েছে। আমাদের এটা ভাবা উচিত। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাঝে পড়ে আমরা শিল্পীরা সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খায়। সিনেমা একটা আলাদা বিষয়, আমি মানছি সিনেমার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। কিন্তু একটা ছবি নিষিদ্ধ করা হলে সেই ছবি নিয়ে জিজ্ঞাসা আরও বেড়ে যায়। সবার মনে জাগে যে, কিছু কি চাপা দেওয়া হচ্ছে। শিল্পী হিসাবে আমার একটা অনুরোধ, সবাই দয়া করে ছবিটি দেখুন, এখানে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের কথাই বলা হয়েছে। কোনও সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কিছু বলা হয়নি।’
আরও পড়ুন- Shakib Khan| Idhika Paul: বুবলী নয়, শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ ছোটপর্দার ইধিকা পাল...
রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড একটা সিনেমা দেখে রিলিজ হওয়ার অনুমতি দিয়েছে। অনেক সিনেমাই আমাদের ফ্লপ মনে হয়, আমাদের অপছন্দেরও হয়। একটা ওপেন জায়গা রয়েছে, যার ইচ্ছে হবে দেখবে নাহলে দেখবে না। ওঁর বোধ হয় সে কথা মাথায় নেই। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল মনে করে যে তাঁরাই এই সব আইন কানুন প্রণয়ন করবে। খুবই দুঃখজনক যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যখন কোনও ঘোষণা করেন সেটা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বলেন না, তিনি তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কের কথা মাখায় রেখে বলেন। আমার মনে হয় সিনেমাকে এভাবে আটকে রাখা যায় না। ভারতের আর কোথাও কেউ অশান্তি করছেন না। তাহলে ওঁর অশান্তির কথা মনে হল কেন? অভিযোগ তো যেকোনও ক্ষেত্রেই হতে পারে কারণ সব কিছুরই দু ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। অভিযোগগুলো হয়তো তৃণমূলের জেলা সভাপতিদের দিয়েই জমা করেছে। কারণ বারবার আমাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভুলভাবে ব্যবহার করে তৃণমূল। তাঁদের ভুল বোঝায়। এখন তাঁদের একটা বড় অংশ মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে তাই তাঁদের মন রাখতে এসব করছে। যাঁরা অশান্তি করে তাদের জাত ধর্ম হয় না। এটা ভোট ফেরত পাওয়ার উস্কানি মাত্র। যেভাবে রামনবমীতে উনি উস্কানি দিয়েছিলেন।’