রণিতা গোস্বামী: একটা সময় অভিনয়ে আসতেই ঠিক রাজি ছিলেন না। দেব ও রাজ চক্রবর্তীর অনুরোধে শেষপর্যন্ত 'চ্যাম্প' (২০১৭) করতে রাজি হয়ে যান। এরপর 'ককপিট', 'কিডন্যাপ', 'পাসওয়ার্ড' সহ একধিক ছবিতে ভিন্ন চরিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতার ছাপ করেছেন রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। এবার তিনি পাড়ি দিচ্ছেন বলিউডে। বলি অভিনেতা বিদ্যুৎ জামাল (Vidyut Jammwal) এর বিপরীতে অ্যাকশন থ্রিলার 'সনক' (Sanak) এ দেখা যাবে রুক্মিণীকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবিষয়ে Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হলে রুক্মিণী বলেন, ''হ্যাঁ, আমি ছবিটা করছি। বিপুল শাহ প্রোডাকশন ও Zee স্টুডিও-র যৌথ প্রযোজনায় একটা ছবি। আমার সঙ্গে বিদ্যুৎ জামাল (Vidyut Jammwal)কে দেখা যাবে। নতুন একটা অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। তবে হিন্দি ছবি বলে এটা যে আলাদা করে দেখছি তা নয়। আমার কাছে অন্যান্য ছবির মত এটাও একটা ছবি। যেটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল পারফরম্যান্স। সেটা ভালো করে করতে হবে।


সুযোগটা কীভাবে এল?


রুক্মিণী বলেন, '' দু-তিন মাস আগে ওঁরা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওঁরা বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি থেকে ফ্রেস মুখ খুঁজছিলেন। আমাকে পছন্দ হয়। আমাকে একটা অডিশন রেকর্ড করে পাঠাতে বলা হয়েছিল। পারফরম্যান্সের থেকেও হিন্দি উচ্চরণটা কেমন সেটা দেখতে চেয়েছিলেন। সেসময় আমি একটা অন্য ছবি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পাঠাতে ভুলে গিয়েছিলাম। ১ মাস পর ওঁরা আবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি তখন পাঠাই। আরও একটা বিষয়, আমাকে বিপুল শাহ আগে দেখেছিলেন। ওঁর আমায় পছন্দ হয়েছিল। বিপুল শাহ-ই আমার নাম পরিচালক কণিষ্কর (Kanishk Verma) কাছে পাঠান। ততদিনে ওঁরা আমার কাজ দেখেও নিয়েছিলেন। আমি যখন অডিশনটা পাঠাই, পরদিনই ওঁরা জানিয়ে দেন, আমি কাজটা করছি। তারপর ফাইনালি ছবিতে সই করলাম।''



শুটিং কবে শুরু হচ্ছে? তোমার চরিত্রটা নিয়ে কিছু কি বলা যাবে? 


 খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। তবে এর বেশি এখনই কিছু বলতে পারব না। ক্রমশ প্রকাশ্য...


দেব কতটা পাশে আছে?


দেব সবসময়ই আমার পাশে থাকে। যখন প্রথম প্রস্তাব আসে, শুধুমাত্র আমার কাছের ৫টা মানুষই এটা জানতেন, আমার মা, দাদা-বৌদি, আর আমার দাদার মেয়ে ছোট্ট আমাইরা (৬ বছর বয়স) আর দেব। পরিবার আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর ফিল্মের বিষয় দেব আমার সবথেকে বড় গাইডেন্স। ও খুবই সাপোর্টিভ। দেব আমায় বলেছে যা কিছুই হোক, শেষপর্যন্ত পারফরম্যান্সটাই শেষ কথা বলবে। ও সব সময়ই পাশে থাকে, আজ টুইটও করছে। আসলে ও-ই আমায় একপ্রকার অ্য়াক্টিংয়ে এনেছিল। আমি যখন আজ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছি, এটা ওর কাছে আলাদা ভালো লাগার জায়গা। 




এখন টলিপাড়া থেকে অনেকেই রাজনীতি আসছেন, তুমি কি রাজনীতিতে আসার কথা ভেবেছ?


আমার নিজের একটা রাজনৈতিক মতামত তো অবশ্যই আছে। যেটা সব নাগরিকেরই থাকা দরকার। তবে আমি এই মুহূর্তে রাজনীতিতে আসতে চাই না। আমার মনে হয় সমাজের জন্য কিছু করতে চাইলে রাজনীতিতেই আসতে হবে এমনটা নয়। যে যাঁর নিজের সামর্থ্য মতো সমাজের জন্য কিছু করতেও চাইলেও করা যায়।