Saayoni ghosh: `অপরাজিতর মতো ছবি বানানোর সাহস বা দুঃসাহস যে পরিচালকরা দেখান,তাঁদের পাশে থাকুন`,আর্জি সায়নীর
অপরাজিত(Aparajito) রায়ের স্ত্রীর চরিত্র যা তৈরি হয়েছে বিজয়া রায়ের আদলে, সেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সায়নী ঘোষ(Saayoni ghosh)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুক্তি পেল অনীক দত্তের(Anik Dutta) ছবি 'অপরাজিত'(Aparajito)। সত্যজিৎ রায়কে(Satyajit Ray) শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়ে এই ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক। সত্যজিৎ রায়ের 'পথের পাঁচালী' তৈরির কাহিনীই উঠে আসবে এই ছবিতে। ছবির মুখ্য চরিত্র অপরাজিত রায়। সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রের আদলেই তৈরি এই চরিত্র। সেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জীতু কমল(Jeetu Kamal)। অপরাজিত রায়ের স্ত্রীর চরিত্র যা তৈরি হয়েছে বিজয়া রায়ের আদলে, সেই চরিত্রে অভিনয় করেছেন সায়নী ঘোষ(Saayoni ghosh)।
শুক্রবার এই ছবি প্রসঙ্গে সায়নী ঘোষ লেখেন,'অপরাজিত সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ এবং উত্তেজনা নজর কাড়া। ছবিটি আজকে রিলিজ করছে এবং ইতিমধ্যেই 40% প্রি-বুকিং শুরু হয়েছে । মানিক বাবুর পথের পাঁচালী বানাতে যা সময় বা কষ্ট বা ধৈর্য লেগেছিল, সেই তুলনায় কম হলেও অপরাজিত ছবি বানাতে স্পট বয় থেকে শুরু করে প্রোডিউসার সবারই কাল ঘাম ছুটে গেছে। লজিস্টিকসের সমস্যা, অনসম্বল কাস্টিং, চ্যালেঞ্জিং ওয়েদার কন্ডিশান, লোকেশনের সমস্যা এত কিছুর মধ্যেও প্রোডিউসার ফিরদৌসুল হাসান এবং পরিচালক অনীক দত্ত ছবিটাকে নিখুঁত ভাবে তৈরি করেছেন। অনীকদার সঙ্গে সেই সর্ষে বাটার বিজ্ঞাপন থেকে আলাপ। মাঝেও আর একটা ছবি। আর প্রডিউসারের সঙ্গে সেই নাটকের মতো থেকে। বরাবরই কাজের ক্ষেত্রে একটা দারুণ আন্ডারস্ট্যান্ডিং এবং কমফোর্ট জোন কাজ করে। অনীক দত্তর ছবি নিয়ে প্রায় এক বছর পর শ্যুটিং ফ্লোর এবং বড় পর্দায় ফেরা যেকোনও অভিনেতার কাছে একটি বিশেষ প্রাপ্তি। ওনার সঙ্গে কাজ করা যেকোনো কলাকুশলীর কাছে একটা ইন্টার্নশিপ এর থেকে কম কিছু না। প্রত্যেক বার অনীক দত্তর ছবিতে কাজ করে নতুন কিছু শিখি এবং চেষ্টা করি সেই শিক্ষাটাকে পরবর্তী ছবিতে কাজে লাগাতে। আশা করছি সব কিছুকে সঙ্গে নিয়ে বা সব কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে আগামী দিনেও অনেক অর্থ পূর্ণ কাজ আমরা একসঙ্গে করতে পারব।'
ছবিতে জীতু কমলের অভিনয়ে মুগ্ধ তাঁর সহঅভিনেত্রী। তিনি লেখেন,'মানিক বাবুর চরিত্রে জীতু কমল একটি বিশেষ পাওয়া। ছবিটা দেখতে দেখতে কিছু জায়গাতে আপনাদের সত্যি মনে হবে আপনারা সত্যজিৎ রায়কেই দেখছেন। প্রত্যেক কলাকুশলী মিলিয়ে ছবিটা যে যত্ন সহকারে বানিয়েছেন, এই ছবিটার নির্দ্বিধায় হল ভর্তি দর্শক প্রাপ্য। আমার যে সকল শুভানুধ্যায়ী দর্শক, বন্ধু বান্ধব, সহকর্মীরা আমার অভিনয়ে ফেরার অপেক্ষা করেছেন,আশা রাখছি আপনাদের নিজের পারফরমেন্স দিয়ে আশাহত করবো না।'
একসঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে একাধিক ছবি,সে প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন সায়নী। তিনি লেখেন,'বাংলায় অনেক বাংলা ছবি একসঙ্গে রিলিজ হয়, সেটার ভালো দিক যেমন আছে, কিছু অসুবিধে ও রয়েছে। সেই নিয়ে না হয় পরে কথা হবে। তবে আজ অপরাজিত মুক্তি পাচ্ছে, এত গ্ল্যামারাস, অ্যাকশনবেসড, থ্রিলার, রম কম এর মধ্যে আমাদের ছবিটি একটি নিপাট সহজ সরল ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবি। কিংবদন্তির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধার্ঘ। প্রত্যেকটি বাংলা ছবি হলে গিয়ে দেখুন। আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিকে সাপোর্ট করুন। অপরাজিতর মতো ছবি বানানোর সাহস বা দুঃসাহসিকতা যে প্রত্যেক পরিচালকরা দেখান, তাদের পাশে থাকুন। ছবিটা দেখে ভালো লাগলে অন্যদের দেখতে বলুন। এই ছবি বিদেশে নানান জায়গায় ডাক পাচ্ছে। মানুষের ভালো লাগছে। কিন্তু নিজের দেশের নিজের রাজ্যের দর্শকদের মতামত, তাদের প্রশংসা, বা সমালোচনা সবটারই একটা আলাদা স্বাদ এবং গুরুত্ব থাকে। মানিক বাবুর কাছেও ছিল। অনীক বাবুর কাছেও আছে। আশা রাখলাম ছবিটা আপনারা সপরিবা 'Ray' হলে গিয়ে দেখবেন। বাংলা সিনেমা সমৃদ্ধ হোক।বাংলা অডিয়েন্স দীর্ঘজীবী হোক।'