Aamir Khan-Kajol : `ফানহা`র স্মৃতিসরণিতে হেঁটে ফের আমিরের বক্ষলগ্না কাজল!
ট্রেলারে তিনি ছিলেন এক কুঁচি। কুঁচি বলতে ট্রেলার শেষের ২ মিনিট ৪ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড! দু’হাত জুড়ে দেওয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। একেবারে ‘আমিরি’ চালে। ভাব এমন তিনি অপেক্ষারত! সেই অপেক্ষার বয়স হয় তো ১৬ বছর! কে বলতে পারে...। সত্যিই তাই এক দশক এবং অতিরিক্ত ছ’বছর পর একসঙ্গে কাজল-আমির। সৌজন্যে নতুন ছবি ‘সালাম ভেঙ্কি’।
শুভঙ্কর চক্রবর্তী : ট্রেলারে তিনি ছিলেন এক কুঁচি। কুঁচি বলতে ট্রেলার শেষের ২ মিনিট ৪ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট ১৫ সেকেন্ড! দু’হাত জুড়ে দেওয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। একেবারে ‘আমিরি’ চালে। ভাব এমন তিনি অপেক্ষারত! সেই অপেক্ষার বয়স হয় তো ১৬ বছর! কে বলতে পারে...। সত্যিই তাই এক দশক এবং অতিরিক্ত ছ’বছর পর একসঙ্গে কাজল-আমির। সৌজন্যে নতুন ছবি ‘সালাম ভেঙ্কি’।
কীভাবে এই দীর্ঘ মেয়াদি এক ফাঁক জুড়ে গেল এক ছবিতে? এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল পরিচালক রেবতীকে। তাঁর কথায়, ‘‘স্ক্রিপ্ট শুনে এতটাই পছন্দের ছিল আমিরের, যে শুনেই রাজি হয়ে যান।’’ শুধু তাই নয়। নিন্দুকেরা বলেন, আমির নাকি এতটাই পারফেকশনিস্ট, নিজের মতো বদলে দেন স্ক্রিপ্ট থেকে সেট। তবে এই সিনেমার ক্ষেত্রে আমিরের বক্তব্য ‘‘এক ভি শব্দ নেহি বদলুগা, অ্যাইসে হি করুঙ্গা।’’ যা বোঝা যাচ্ছে, তা হল শুধুমাত্র সিনেমার খাতিরেই সিনেমায় থাকা আমিরের। শ্রীকান্ত মূর্তির উপন্যাস ‘দ্য লাস্ট হুরে’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রেবতী মেননের এই ছবি ‘সালাম ভেঙ্কি’। আর এই ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করছেন আমির। এই চরিত্র নাকি সিনেমাতে ছিলই না বইতে। তবে সিনেমায় রাখা হয়েছে। কাজল-আমির ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন বিশাল জেঠওয়া, রাজীব খন্ডেলওয়াল, অহনা কুমরা এবং রাহুল বোস। আগামী ৯ ডিসেম্বর রিলিজ করতে চলেছে ‘সালাম ভেঙ্কি’।
কিন্তু তার আগেই যেন উস্কে দিল ছবি নির্মাতাদের রিলিজ করা একটি গান। ‘সালাম ভেঙ্কি’ ছবির প্রথম গান ‘জো তুম সাথ হো’। গানটি গেয়েছেন অরিজিত্ এবং মিঠুন। সুর দিয়েছেন মিঠুন। গানটি লিরিকাল। তাই গানের দৃশ্যে গানের লাইন ভেসে উঠছে। আর তার সঙ্গে ছবির কিছু দৃশ্যের কোলাজ। এবং তাতেই আবারও দর্শকরা ‘ফনহা’ হচ্ছে। যতবার ছবিতে দেখা যাচ্ছে কাজল-আমির, দুজনকে। সেই ছবিতেই যেন বারবার চোখ আটকে যাচ্ছে। সেই পুরনো স্মৃতি ফিরে আসছে বারবার.... কোনও ছবিতে দুজনে দুদিকে তাকিয়ে। কেউ বা একে অপরের দিকে। অপলক কোথাও চাহনি। আবার কোথাও বসাটা একটু নুব্জ। কোথাও এক পেশে হাসি। কোথাও বা মন খারাপ। সব মিলে যেন একটি গানে ভেসে যাচ্ছে মন...সেই এভারগ্রিন গান ‘তু যো পাস হো ফির কেয়া ইয়ে জাহান...তেরে পেয়ার মে হো জাউ ফনহা!’