স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুকান্ত ভট্টাচার্য, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় আর সলিল চৌধুরি, বাংলার গানের এই ত্রিভুজ আক্রমণ যদি কোনওদিন বাংলার ফুটবলেও থাকতো! সুকান্তর হাত থেকে দুর্দান্ত সব লেখা বেড়িয়েছে। সলিল তাতে আরও ভালো সুর দিয়েছেন আর হেমন্ত তাতে কণ্ঠ দিয়ে প্রাণ দিয়েছেন। গানগুলো হয়ে উঠেছে চিরকালীন জীবন্ত।


অবাক পৃথিবী, রানার, গাঁয়ের বধূ, একে একে সৃষ্টি হয়ে গেল। কিন্তু হেমন্ত মুখোপাধ্যায় যে আর শুধুই এই নামেই বেঁচে থাকতে, বাংলার সীমারেখাতেই নিজেকে বেঁধে রাখতে চাননি। তাই পাড়ি দিলেন তত্‍কালীন বম্বেতে। এবং হয়ে উঠলেন বাঙালির তথা দেশের গর্বের হেমন্ত কুমার। সত্যিই তো, হেমন্ত কুমার, আ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা অথবা, তুম পুকার লো কিংবা, বেকারার করকে হামে ইউনা জাইয়ে, না গাইলে দেশের যবুসমাজ গুন গুন করতটা কী!


বম্বে গিয়েছিলেন সলিলও। সেখানে তিনিও একের পর এক হিট দিয়েছেন। তাঁর শুধু মধুমতীর-মধুই শেষ হওয়ার নয় কখনও। কিন্তু হেমন্ত অনেক মার্জিত। সলিল যে মনের ক্ষ্যাপা। তাই চলে এলেন বাংলায়। তাও কলকাতাতেও নয়, থাকতেন গিয়ে জেলায় জেলায়। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় কখনও কখনও তাঁকে ডাকতেন এই বলে, ‘সলিল, বম্বেতে সবাই তোমার খোঁজ করছে, একবার এসো।’ বড়ে গুলাম আলিও ডেকে পাঠিয়েছেন, আলাপ করার জন্য! এই হল সলিল, নিজে যান না। অত মানুষের ভিড়ে মিশে যেতে পারতেন না। কিন্তু অনেক দূরের মানুষেরাও তাঁকে কখনও ভুলতে পারেনি।


আমরা একটু বেশিই মনে রাখব না তাই সলিল চৌধুরিকে? বিনীত প্রশ্ন।