স্কুলের হস্টেলে সহপাঠিনীর সঙ্গে ধরা পড়েছিলেন সঞ্জয়, তারপর?
একদিন দক্ষ অভিনেতা, সুপারস্টার, আবার আইন ভাঙার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বলিউডের `ব্যাড বয়`ও বটে। ভালো-খারাপ কমবেশি সব তকমাই রয়েছে সঞ্জয় দত্তের ঝুলিতে। সঞ্জয় দত্তের রঙিন জীবন নিয়ে তাঁর বায়োপিক `সঞ্জু` বানাচ্ছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি। যেখানে বলউডের মুন্না ভাইয়ের চরিত্রে দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একদিন দক্ষ অভিনেতা, সুপারস্টার, আবার আইন ভাঙার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বলিউডের 'ব্যাড বয়'ও বটে। ভালো-খারাপ কমবেশি সব তকমাই রয়েছে সঞ্জয় দত্তের ঝুলিতে। সঞ্জয় দত্তের রঙিন জীবন নিয়ে তাঁর বায়োপিক 'সঞ্জু' বানাচ্ছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি। যেখানে বলউডের মুন্না ভাইয়ের চরিত্রে দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে।
সুনীল দত্ত ও নারগিস-এর প্রথম সন্তান হওয়ার কারণে প্রথম থেকেই গ্ল্যামার দুনিয়াতেই বড় হয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। সঞ্জয় তাঁদের প্রথম সন্তান হওয়ায় প্রথম থেকেই তাঁর সব চাহিদাই পূরণ করার চেষ্টা করেছেন তাঁর বাবা-মা সুনীল দত্ত ও নারগিস। ইয়াসির উসমানের লেখা বই ''সঞ্জয় দত্ত: দ্যা ক্রেজি আনটোল্ড স্টোরি অফ বলিউড ব্যাড বয়''-এর তথ্য অনুসারে ছোট্ট বয়সেই সঞ্জয়কে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। কারণ সঞ্জয় দত্তের বাবা-মা-র ধারণা ছিল সঞ্জয় বিগড়ে যাচ্ছে আর বোর্ডিং স্কুলে গেলে সঞ্জয়ের শুধরে যাবে। সেকারণে সঞ্জয়কে হিমাচলপ্রদেশের একটা বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। যাতে সঞ্জয় দত্ত পড়াশোনা করে ভালো মানুষ হতে পারে।
হিমাচল প্রদেশের লরেন্স স্কুলে পাঠানো হয়েছিল সঞ্জয় দত্তকে। তবে ইয়াসির উসমানের লেখা বই-এর তথ্য অনুযায়ী বোর্ডিং স্কুলে থাকাকালীন সঞ্জু বিশেষ খুশি ছিল না। সে তার মাকে চিঠি লেখে যাতে তাকে এসে তিনি নিয়ে যান। যদিও সেটা হয়নি। এরপর একটু বড় হতেই স্কুলে বিভিন্ন মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্ট করা শুরু করে সঞ্জয়। তবে স্কুলে তাকে কোনও শাস্তি দেওয়া হলেও সেটা শাস্তির তুলনায় অনেক বেশি ক্রিয়েটিভ হত। স্কুলে বন্ধুরাও কোনও দোষ করলে সেই দোষ নিজের ঘাড়ে নেওয়ার চেষ্টা করত সঞ্জয়। অনেক ছাত্র-ছাত্রীই ভাবত, সঞ্জয় তারকা সন্তান হওয়ায় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁর প্রতি একটু বেশিই সচেতন। যদিও স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা বোঝানোর চেষ্টা করেন এমনটা এক্কেবারেই নয়।
ছবি সৌজন্য : টুইটার
ইয়াসির উসমানের লেখা বই ''সঞ্জয় দত্ত: দ্যা ক্রেজি আনটোল্ড স্টোরি অফ বলিউড ব্যাড বয়''-এর তথ্য অনুসারে ওই বোর্ডিং স্কুলে থাকাকালীন একবার সমস্যার মধ্যে পড়ে সঞ্জয়। তাঁকে স্কুলেরই এক ছাত্রীর সঙ্গে অনেক রাতে গেম খেলতে দেখে ধরে ফেলেন হেড মাস্টার। আর এরপরে সঞ্জয় ওই ছাত্রীর সঙ্গে কী করছিল হেডমাস্টার জানতে চাইলেন সঞ্জয় গোটা বিষয়টি অস্বীকার করে। পরের দিন সকালে হেড মাস্টারের ঘরে ডেকে পাঠানো হয় সঞ্জয়কে। তার গালে চড়় কষানো হয়। এখানেই শেষ নয় আগামী ১৫ দিনের জন্য সঞ্জয়কে শাস্তি দেওয়া হয়। যদিও এতেও সঞ্জয় নাকি শোধরায়নি। তারপরেও সঞ্জু ক্লাস বাঙ্ক করে বন্ধুদের সঙ্গে চায়ের দোকানে বসে থাকত। এমনকি স্কুল লাইফ থেকেই সে মদ্যপান করত, ধূমপান করত বলে জানা গিয়েছে।
ছবি সৌজন্য : টুইটার
আরও পড়ুন-এই কারণেই এবছর 'ইদ'-এর সেলিব্রেশন করছেন না শাহরুখ!