শর্মিলা মাইতি


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক : মুক্তির আগেই দর্শকের মন জয় করেছিল রণদীপ-ঐশ্বর্যার এই ছবি। তার একমাত্র কারণ, সরবজিত্‍ নামের সেই নিরপরাধ ব্যক্তি, যাঁকে ২৩ বছর পাকিস্তানের অন্ধকার জেলে, নির্মমতার শিকার হয়ে অমানুষিক পরিবেশে থাকতে হয়েছিল। তাঁর বোন দলবীর কউর এত বছর ধরে টানা লড়াই করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। উমঙ্গ কুমারের এই ছবির মিউজিক লঞ্চেই বোঝা গিয়েছিল প্রত্যাশার পারদ এবং শুভেচ্ছা, দুটোর মাত্রাই চড়া। সুখবিন্দর সিং-এর উদাত্ত কণ্ঠে গান ছুঁয়ে গেল দর্শকের প্রাণ।


মুক্তির দিনেই সরবজিত্‍ ব্যবসা করেছে ৩.৯ কোটি টাকার। রণদীপ হুদার মর্মস্পর্শী অভিনয় মুগ্ধ করেছে অমিতাভ বচ্চনকেও। নিজের হাতে তিনি চিঠি লিখেছেন রণদীপের ভূয়সী প্রশংসা করে। সমালোচকেরা ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করেছেন, জজবা নয়, সরবজিত্‍ই অ্যাশের সেরা কামব্যাক ছবি, নিজের পরিচিত তকমা ভেঙেচুরে যেভাবে তিনি ঢুকে পড়েছেন দলবীর কউরের যণ্ত্রণার মধ্যে, দেখে তাক লেগে গিয়েছে সকলের।


যদিও সরবজিতের প্রিমিয়ারের রেড কার্পেট থেকে দুম করে অ্যাশের পাশ থেকে হেঁটে চলে গিয়েছিলেন অভিষেক। পরে অবশ্য জানা গিয়েছিল, অ্যাশ-অভির মধ্যে কোনও কন্ট্রোভার্সি নেই। দুজনের মধ্যে সবই আগের মতোই আছে। সরবজিত্‍ দেখে উচ্ছ্বসিত অভিষেক গর্ব করেই বলেছেন, সত্যিসত্যিই তাঁর স্ত্রীয়ের এটা সেরা কামব্যাক। অবাক করেছে সরবজিতের স্ত্রীর চরিত্রে রিচা চাড্ডার অভিনয়ও।


দেখা যাক, সারা দেশ কী বলে সরবজিত্কে নিয়ে। মাউথ পাবলিসিটিতে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার সব গুণই আছে এই ছবির। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে লড়াই করে যে-মানুষটা বেঁচেছিলেন এত বছর, সেই স্বর্গত সরবজিত্‍ ও তাঁর পরিবার এত দিনে পেলেন ন্যায়বিচার। দর্শকের চোখের জলে।