Satish Kaushik Death: পরিচালক সতীশ কৌশিকের মৃত্যু রহস্যজনক? কী বলছে দিল্লি পুলিস?
Satish Kaushik Death: মঙ্গলবার সকালে বন্ধু জাভেদ আখতারের বাড়িতে হোলি খেলে মুম্বই থেকে দিল্লির বিজওয়াসানের ফার্ম হাউজে এসেছিলেন সতীশ। তাঁর ম্যানেজার সংবাদমাধ্যমে জানান যে, রাত ১০.৩০ নাগাদ তিনি ঘুমিয়ে পড়েন কিন্তু রাত ১২.১০ নাগাদ তিনি বলেন যে. তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
Satish Kaushik, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার সকালে আরব সাগরের তীরে দুঃখের খবর। চলে গেলেন সদা হাস্যকর প্রখ্যাত পরিচালক সতীশ কৌশিক। তাঁর মৃত্যুর পর কেটে গেছে কয়েক ঘণ্টা। কিন্তু তাঁর মৃত্যু ঘিরে রয়েছে রহস্যের গন্ধ। অন্তত সেরকমটাই আঁচ করেছে দিল্লি পুলিস। রহস্যজনক পরিবেশে অস্বাভাবিক মৃত্যু মনে করেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ভারতীয় দন্ডবিধি সিআরপিসি ১৭৪ ধারায় তদন্ত শুরু করেছে দিল্লি পুলিস।
মঙ্গলবার সকালে বন্ধু জাভেদ আখতারের বাড়িতে হোলি খেলে মুম্বই থেকে দিল্লির বিজওয়াসানের ফার্ম হাউজে এসেছিলেন সতীশ। তাঁর ম্যানেজার সংবাদমাধ্যমে জানান যে, রাত ১০.৩০ নাগাদ তিনি ঘুমিয়ে পড়েন কিন্তু রাত ১২.১০ নাগাদ তিনি বলেন যে. তাঁর শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকেরা জানান যে, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে যোগাযোগ করা হয় পুলিসের সঙ্গে। ময়না তদন্তের পর তাঁর দেহ তুলে দেওয়া হয় কৌশিক পরিবারের হাতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সতীশের মৃত্যুর খবর দেন তাঁর বন্ধু অনুপম খের। ৬৬ বছরেই মৃত্যু হয় তাঁর। সতীশের মৃত্যুতে অনুপম ট্যুইট করেছেন, ‘জানি এই পৃথিবীর শেষ সত্যি হল মৃত্যু। কিন্তু কখনও ভাবিনি প্রিয় বন্ধুর এই খবর আমাকেই দিতে হবে। গত ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে আচমকাই ফুলস্টপ পড়ে গেল। সতীশ তোমাকে ছাড়া জীবন আর সেরকম থাকবে না। ওম শান্তি।’
হরিয়ানায় জন্মেছিলেন সতীশ। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার ছাত্র সতীশ ফিল্মি কেরিয়ার শুরু করেন মাসুম ছবি দিয়ে। কয়েক বছর পরই মিস্টার ইন্ডিয়া-য় তাঁর চরিত্র ক্যালেন্ডার দর্শকদের চমকে দেয়। আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে বহু ছবিকে কমেডিয়ানের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কৌশিককে। রাম লক্ষ্ণণ, দিওয়ানা মস্তানা, সাজন চলে শ্বশুরাল-এর মত ছবিতে এখনও মানুষ তাঁকে মনে রেখেছে। জানে ভি ইয়ারো-র লেখক সতীশকে ক্যামেরার পেছনে প্রথমবার দেখা যায় ১৯৯৩ সালে রূপ কি রানী চোরো কি রাজা ছবিতে। পরে আরও একটি ছবি পরিচালনা করেছিলেন-প্রেম। দুটি ছবিই বক্স অফিসে ভালো কিছু করতে পারেনি। তবে পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম সাফল্য আসে হাম আপ কে দিল মে রহতে হ্যায়(১৯৯৯) ও তেরে নাম(২০০৩) ছবিতে। রাম লক্ষ্ণণ ও সাজন চলে শ্বশুরাল ছবির জন্য ২ বার বেস্ট কমেডিয়ান ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পান সতীশ। কঙ্গনা রানাউতের ইমার্জেন্সি ছবিতে জগজীবন রাম-এর চরিত্রে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই চলে গেলেন বিশিষ্ট এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন- Bonny Sengupta: একটা সিনেমাও হিট নয় তবু প্রযোজনা সংস্থার মালিক! বনির উত্থানে প্রশ্ন...
সতীশ কৌশিকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ট্যইটে তিনি লিখেছেন, ‘ভয়ংকর এক খবর শুনে ঘুম ভাঙল। আমার জীবনে সবচেয়ে বড়ে চিয়ারলিডার ছিলেন সতীশ। আমার ইমার্জেন্সি ছবিতে ওঁর কাজ করার কথা ছিল। ওঁকে মিস করব।’ পরিচালক অভিনেতাকে শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে সলমান খান, নীনা গুপ্তা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, করিনা কাপুর সহ আরও অনেকে।