Sayantika Banerjee: `প্যাকআপের পরেও কেন হোটেলে থেকে গেলেন সায়ন্তিকা-জায়েদ?` বিস্ফোরক অভিযোগ প্রযোজকের...
Sayantika Banerjee-Zayed Khan: চুক্তির বাইরেও অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। সেই টাকা দিয়ে নাকি পোশাক আনার কথা ছিল অভিনেত্রীর কিন্তু তা আনেননি। এমনকী যে পোশাকের ব্যবস্থা বাংলাদেশে করা হয়, সেই পোশাকও ফেরত দেননি সায়ন্তিকা, এমনটাই অভিযোগ করেন ‘ছায়াবাজ’ ছবির প্রযোজক। সায়ন্তিকাকে অপেশাদার বলেও আক্রমণ করেন মনিরুল ইসলাম।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে শ্যুটিংয়ে গিয়ে চরম হেনস্থার মুখে পড়েন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়(Sayantika Banerjee)। অভিনেত্রীর অভিযোগ সরাসরি প্রযোজক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। জায়েদ খানের(Zayed Khan) বিপরীতে ‘ছায়াবাজ’ ছবিতে অভিনয় করতেই সম্প্রতি বাংলাদেশে(Bangladesh) যান অভিনেত্রী। কিন্তু দুদিন আগেই শোনা যায় যে সেই ছবির শ্যুটিংয়ে সমস্যার মুখে পড়েছেন নায়িকা। এরপর সায়ন্তিকা জানান যে শ্যুটিংয়ে এক কোরিওগ্রাফার নাকি অনুমতি না নিয়েই স্পর্শ করেছে, সেই কোরিওগ্রাফারের সঙ্গে কাজ করতে চাননি অভিনেত্রী। প্রযোজককে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও সুরাহা হয়নি। তবে এবার সায়ন্তিকার বিরুদ্ধেই একগুচ্ছ গুরুতর অভিযোগ করেন প্রযোজক(Producer)।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে।তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চেয়েছিলেন। এখন আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন, সেটাই তো বোধগম্য নয়। আমার সঙ্গে তার সমস্যা হলে মাইকেলকে কেন বসিয়ে রাখবেন? একজন তারকা যদি নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রাখতে না পারেন, তা হলে আর কী বলার আছে।’
সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ করে মনিরুল বলেন, ‘কিভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদারি আচরণ আমি নই, সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাকে ৫০ হাজার রুপি দিয়েছি পোশাকের জন্য। অথচ তিনি কোনো পোশাক নিয়ে আসেননি। এরপর আবার ড্রেসম্যান মনিরকে দিয়ে পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সেই পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা ফেরত দিয়ে যাননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাইকেলের ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য বেলা ২টায় হোটেলে যান নায়ক-নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়। ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে, এমনটি কখনো দেখিনি। এ ছাড়া যেদিন আমরা শুটিং প্যাকআপ করে পুরো ইউনিট নিয়ে চলে আসি, সেদিন নায়ক-নায়িকা হোটেলেই থেকে যান। ওই দিন তারা সেখানে কী করছিলেন? এ প্রশ্নের জবাব তারা কী দেবেন? এ কথাগুলো কখনো সামনে আনতে চাইনি। কিন্তু এখন আর চুপ করে থাকতে পারলাম না।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতায় ফিরে ঐ প্রযোজকের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেছিলেন সায়ন্তিকা।সায়ন্তিকা বলেন সমস্যা প্রযোজকের তরফেই। প্রথমে অন্য মাস্টারজি এসেছিলেন নাচের দৃশ্য শুটিংয়ের জন্য কিন্তু সেখানেও টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যার জন্য তিনি চলে যান। তার পর মাইকেল নামক একটি ছেলে আসে। সত্যিই কি শ্যুটিং ছেড়ে কলকাতায় চলে এসেছেন সায়ন্তিকা? এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, “আমি এক জন পেশাদার শিল্পী। তাই এ রকম করার কথা ভাবতেই পারি না। মাইকেল আমার থেকে অনুমতি না নিয়েই হাত ধরে আমায় সরাতে গিয়েছিল। তখন আমি সকলের সামনেই বাধা দিই। বারংবার আমি প্রযোজক মনিরুলের সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোনও উত্তরই পাওয়া যায়নি। ওঁর কোনও পরিকল্পনা নেই। কোনও ব্যবস্থা নেই।’’ তিনি জানান যে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পরেও যখন মনিরুল তাঁর কথার উত্তর দেননি। সায়ন্তিকার দাবি, “তিনি যদি সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করেন, তা হলে আমি নিশ্চয়ই ছবিটার কাজ শেষ করব। কিন্তু তার আগে আমায় চিত্রনাট্য, শট ডিভিশন পুঙ্খানুপুঙ্খ জানাতে হবে।”