নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবার সকাল থেকেই শোকের ছায়া টলিউডে (Tollywood)। প্রয়াত নব্বই দশকের ইন্ডাস্ট্রি কাঁপানো নায়ক অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতায় নিজের বাড়িতেই প্রয়াত হন তিনি। কী এমন হয়েছিল যার জন্য মাত্র ৫৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হলেন নায়ক?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার সস্ত্রীক একটি রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিনি। কথা দিয়ে কথা রাখতেই হয়, তাই শুটিংয়ের কলটাইম অনুযায়ী যথা সময়ে পৌঁছেছিলেন শুটিং ফ্লোরে। কিন্তু শরীর সঙ্গ দেয়নি। শুটিং ফ্লোরে রাখা একটি সোফায় শুয়েই ছিলেন। ইউনিটের সকলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তিনি যেতে রাজি হন নি, বাড়ি ফিরে যেতে চান অভিষেক । সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয়। এরপর মাঝ রাতেই তিনি প্রয়াত হন। 


আরও পড়ুন: Prosenjit Chatterjee on Abhishek Chatterjee Death: 'আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে পারছি না' অভিষেকের মৃত্যুতে প্রসেনজিৎ


বুধবার তাঁর সঙ্গে শুটিং সেটে হাজির ছিলেন রূপঙ্কর বাগচি, জিতু কামাল। ২৪ ঘণ্টাকে রূপঙ্কর জানান ‘আমাদের পেশাটা এমনই যে একজনের কাজের উপর অনেক মানুষের কাজ নির্ভর করে, তাই ওনাকে আসতে হয়েছিল। কাজ করার মত অবস্থায় ছিলেন না। অদ্ভুত এক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন। আমরা সকলেই ভেবেছিলাম খাওয়া দাওয়ার সমস্যা হয়েছে বা ডিহাইড্রেশন হয়ে গিয়েছে, এরকম হয়ে যাবে ভাবতে পারিনি। ওনার সঙ্গে সেইভাবে আমার আলাপ ছিল না, গত কয়েকদিনে আলাপ হয়েছে। উনি যদি হাসপাতালে ভর্তি হতেন তাহলে হয়ত, জানিনা কিছু করা যেত হয়ত। খুব খারাপ লাগছে। গতকাল সন্ধেবেলা ওনাকে দেখলাম, জাকজমক ধুতি-পাঞ্জাবি পরে মেকআপ করে বসে ছিলেন, আজ তিনি আর নেই ভাবতে পারছি না।’


আরও পড়ুন: Abhishek Chatterjee Death: 'প্রথম বানিজ্যিক হিট থেকে জাতীয় পুরস্কার,জুটিতে আমার সঙ্গে ছিল মিঠু', লিখলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত


জিতু কামালও ছিলেন এদিন শুটিং সেটে, শুটিংয়ের আগের দিনই অভিনেতা অম্বরিশ ভট্টাচার্যের কাছ থেকে তিনি শুনেছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের শরীর খারাপ, শুটিংয়ে গিয়েও তাই দেখলাম। খুব শরীর খারাপ। ওনার শরীর দেয় নি, একবারও মঞ্চে উঠে যেতে পারলেন না। গতকাল একটা নস্টালজিক এপিসোড ছিল, মিঠু দা বর বেশে এসেছিলেন, স্ত্রী কনে সেজেছিলেন। কিন্তু শুটিং করতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত প্রোডাকশন গাড়ির ব্যবস্থা করল, ওনাকে কাঁধে হাত দিয়ে তুললাম, তখনও ভাবতে পারিনি। ভরত কল ওনাকে বললেন একবার হাসপাতালে কথা বলে নাও, ডাক্তার দেখিয়ে নাও, কিন্তু তারপর তো আজ এই খবর, আমি স্তম্ভিত। আমার জন্মের আগে থেকে ওনাকে দেখেছি। আমি ওঁকে এখনও ভয় পাই, ওঁর ব্যক্তিত্ব আমায় ভয় পাওয়াতো। তিনি নব্বইয়ের দশকে লোহা তুলে জিম করতেন, ওঁর আগে কোনও সিনিয়র হিরোকে দেখিনি নিজের শরীর চর্চা করতে, এখন তো সকলেই প্রায় ফিটনেস ফ্রিক। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমি বিশ্বাস করিনি, ফেক নিউজ ভেবে উড়িয়ে দিয়েছিলাম, সত্য়িই ভাবা যাচ্ছে না এখনও মিঠু দা আর নেই।’


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)