নিজস্ব প্রতিবেদন: কঠিন পরিস্থিতিতে যে যার মত করে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। যে যার সাধ্যমত ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন । এমনই সুন্দরবনের কিছু মানুষকে সাহায্য করতে তিনটি ম্যাটাডোর নিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন মুরারিপুকুর রোডের বাসিন্দা লোকনাথ দাস। ১৮ দিন আগে তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। সেই সব কাজ মিটিয়েই সমাজের জন্য নিজেদের উদ্যোগে ত্রাণ পৌঁছতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: স্ত্রী Devlina-র রিল শুটে অতিথি শিল্পী Gourab, হাসতে হাসতে ভেস্তে গেল শুটিং


বানতলা লেদার কমপ্লেক্সের সামনে রাস্তার একটি গর্ত কাটাতে গিয়ে ত্রাণ বোঝাই একটি ম্যাটাডোর উল্টে যায়, তিনটে পাল্টি দেয় সেই গাড়ি, দূর্ঘটনায় নিহত হন লোকনাথ দাস। আহত হন তাঁর সঙ্গীরাও। লোকনাথ দাসের পরিবারে তিনিই একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবাকে হারিয়ে দিশাহারা মা, স্বামীর মৃত্যুর ১৭ দিনের মাথায় হারালেন সন্তানকেও। স্ত্রীর বয়স মাত্র ২৩ বছর, দুই শিশু কন্যার মধ্যে একজনের চার বছর বয়স, অন্যজন মাত্র ৬ মাসের। এই খবর পেয়ে পিজি হাসপাতালে ছুটে যান অভিনেতা শ্রেয়া পাণ্ডে। পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন লোকনাথের বাড়িতেও।



পারিবারিক পরিস্থিতি দেখে কেঁদে ওঠে শ্রেয়ার মন। এক মুহুর্তে সিদ্ধান্ত নেন লোকনাথের দুই সন্তানের দায়িত্ব তুলে নেবেন নিজের কাঁধে। ছ মাসের শিশু কন্যাকে দেখে বিশেষ করে নিজের সন্তান আদরের কথা মনে পড়ে যায় তাঁর। জি ২৪ ঘণ্টার তরফে শ্রেয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-'ছ মাসের শিশু কন্যাটি হয়ত বোঝেও নি বাবার স্নেহ কী, অনবরত শুধু কেঁদে যাচ্ছিল। তাঁকে দেখে নিজেকে সামলাতে পারিনি। বাবা ছাড়া এখনও আমার জীবন অসম্পূর্ণ, তাই ওদের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলাম। ওরা চাইলে আমার সঙ্গে থাকতেও পারে।' শ্রেয়া এও বলেন 'একজন নারী একমাসও হয়নি তাঁর স্বামীকে হারিয়েছেন, এই কদিনের মাথায় অসময়ে সন্তান হারা হলেন। তাঁর মানসিক অবস্থাও বোঝার অবস্থায় নেই কেউ। আমি তাঁকে বলেছি তিনি যেন কোনও চিন্তা না করেন, তাঁর দুই নাতনীর বাবা আজ থেকে আমি।'



সাধন পাণ্ডের মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে সমাজের কাজে যুক্ত থাকতে দেখা যায়। নিজে হাতেই খাবার বিতরণ থেকে মানুষের পাশে থাকতে ভালবাসেন তিনি। রিয়েল লাইফে তিনি সিঙ্গল মাদার, তাঁর মেয়ে আদরকে তিনি সবসময় একথা বলেন যে আদরের মা ও বাবা তিনিই। এবার তাঁর এই সিদ্ধান্ত মানবিকতার এক অনন্য নজির গড়ল। দুহাত ভরে তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন সকলে।