নান্টু হাজরা: নিউ টাউনের রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। বললেন ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করলেন সোহম। সিসিটিভির ফুটেজের বেশিরভাগটাই ডিলিট করা দেওয়ার অভিযোগ করলেন তিনি। তবে ক্ষমা চেয়েও একটি কাজ করলেন সোহম চক্রবর্তী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-আগামিকাল মোদীর শপথ, শরিকি সমঝোতায় টিডিপি-জেডিইউকে কতজন মন্ত্রী দিচ্ছে বিজেপি?


শনিবার সন্ধের নিউ টাউন থানায় যান সোহম চক্রবর্তী। সেখানেই তিনি রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ও মালিকের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন সন্ধেয় টেকনো সিটি থানায় আসেন ওই রেস্তোরাঁর মালিকও।


এদিন ওই রেস্তোরাঁয় যায় টেকনো সিটি থানার পুলিস। সেখানে গিয়ে রেস্তোরাঁর কর্মীদের বায়ান রেকর্ড করে পুলিস। সেই বয়ানই অভিযোগ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ওই বয়ান অনুযায়ী সোহম ও তার কয়েকজন সঙ্গীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে পুলিস। অন্যদিকে সন্ধেয় এসে ওই রেস্তোরাঁর মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সোহম চক্রবর্তী।


সোহমের অভিযোগ, মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ বাইরে আনা হয়েছে। কিন্তু তার আগের ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়নি। সেই ছবি প্রকাশ্য আনা হোক। কারণ সেইসময় তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের কটুক্তি কার হচ্ছিল, তাদের ধাক্কাধাক্কিও করা হয়। এনিয়েই হাতাহাতি শুরু হয়। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে।


থানা থেকে বেরিয়ে সোহম বলেন, ওইদিন যা ঘটেছিল সেটাই পুলিসকে বলেছি। রেস্তোরাঁর মালিক ও ম্যানেজারের নামে  অভিযোগ করেছি। যা বারবার দেখানো হচ্ছে তা ভেতরের ঘটনা। তার আগেরটা অনুসন্ধান করুন। সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।


উল্লেখ্য, নিউটাউনের সাপুর্জির এলাকার একটি রেস্তরাঁয় শুটিং চলছিল অভিনেতা তথা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর। সেখানেই গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে রেস্তরাঁ মালিকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি। আর তারপরই বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে সোহমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁকে লাথি মারা হয়েছে। এমনকি রেস্তরাঁর অন্য কর্মচারীদের ধরেও মারধর করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রেস্তরাঁর সামনে সোহমের গাড়িটি রাখা ছিল। রেস্তরাঁ মালিক এসে গাড়িটি সরাতে বলে, সেই নিয়ে বিধায়ক-অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে মালিকের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে সোহম শুটিং ছেড়ে নীচে নেমে আসে। অভিযোগ তারপরই রেস্তরাঁ মালিককে মারধর করেন সোহম। যদিও সোহমের দাবি, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে গালাগালি করছিলেন রেস্তরাঁ মালিক। সেই কারণে আমিও মেরেছি।" এই ঘটনার পর টেকনোসিটি থানার পুলিস এসে ওই রেস্তরাঁ মালিক ও ম্যানেজারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। কিছু সময় পর তাঁদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)