Soham Chakraborty:তোলাবাজির পর এবার শ্লীলতাহানি, সোহম চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়কের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ
সোমবার সোহমের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় তাঁর আপ্ত সহায়ককে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুধু চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলা নয় সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) আপ্ত সহায়ক সজল মুখার্জির বিরুদ্ধে পাড়ারই এক তরুনীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ। গতকাল অভিনেতা বিধায়ক সোহমের আপ্তসহায়ক সজল মুখার্জিকে গ্রেফতার করে পূর্ব মেদিনীপুর থানার চন্ডীপুর থানার পুলিস। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ চাকরি করে দেওয়ার নামে,কাজ করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন মানেুষের থেকে টাকা আত্মসাৎ করে।
পুরসভা ভোটের আগে তৃনমূল(TMC) বিধায়কের আপ্তসহায়ক গ্রেফতারে কোন্নগরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। সজল তার প্রতিবেশী এক ব্যবসায়ীর ফ্ল্যাটে লোকজন নিয়ে গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। কোন্নগর অমৃতলাল সরণীর বাসিন্দা সজলের প্রতিবেশী মায়া মন্ডলের অভিযোগ দুর্গা পুজোর সময় তাঁর মেয়েকে পুজো প্যান্ডেলের পিছনে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে ঐ ব্যক্তি। মায়া দেবী বলেন,'জানতে পেরে তাকে ধরে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাই। সেদিন ওর হাত পা ভেঙে দিতাম শুধু প্রতিবেশী বলে সেদিন ছেড়ে দিয়েছিলাম।'
সজল গ্রেফতার হতেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপিও। কোন্নগরের বিজেপি(BJP) নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বলেন,'তৃণমূলে এরকম সজল অনেক আছে। ভাগের গন্ডোগোলের জন্য হয়ত গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে এটা বিশাল বড় ব্যাপার নয়। কারণ কোন্নগরে এমন তৃনমূলের তোলাবাজ অনেক পাওয়া যাবে।' তৃনমূল কোন্নগর শহর সভাপতি রমাপ্রসাদ ব্যানার্জি বলেন,'সজল মুখার্জি দলের সক্রিয় কর্মী নয়। মাঝেমধ্যে আসে মাঝেমধ্যে উধাও হয়ে যায়। কেউ অন্যায় করলে তার জন্য আইন আছে।আমরা বলব কেউ বেআইনি কাজ করবেন না তাহলে দল ও প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।' চন্ডীপুরে সোমবার সজল মুখার্জি গ্রেফতারের পর আজ তার একটি পুরোনো ভিডিও ভাইরাল হয়।মুদিখানা দোকানে বাকি থাকা টাকা চাওয়ায় ক্লাবের ছেলেদের নিয়ে গিয়ে হুমকি দিতে থাকে সজল।
আরও পড়ুন: Vikrant Massey: প্রেম দিবসে চুপি চুপি বিয়ে করলেন বিক্রান্ত মাসে, পাত্রী কে?
সোহমের নাম করে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন মানুষের থেকে টাকা তুলতেন ঐ ব্যক্তি, এমনটাই অভিযোগ। পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সোহম নিজেই। সোহম চক্রবর্তী জি ২৪ ঘণ্টাকে জানান, 'বেশ কিছুদিন ধরে সজল মুখার্জি আমার নাম করে প্রতারণা করছিলেন। বিভিন্ন মানুষের থেকে চাকরির নাম করে, বিভিন্ন পদে তাঁদের দাখিল করার লোভ দেখিয়ে তাঁদের থেকে টাকা আত্মসাৎ করে। বেশ কিছুদিন ধরেই আমার কানে আসছিল। আমি প্রমাণের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু এরপর ভাবলাম, কেউ লিখিত দেয়নি ঠিকই কিন্তু যে মানুষগুলো এতোদিন প্রতারিত হচ্ছিল তাঁদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল।' এমনকি সোহমের একটি গাড়িও তাঁর কাছে ছিল, সেই গাড়ি ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে চার লক্ষ টাকা ডিমান্ড করে ঐ ব্যক্তি।