নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধী দলে নাম লিখিয়ে সবটাই এই দলের খারাপ, ইন্ডস্ট্রির সব খারাপ, এটা হতে পারে না। এতদিন কেন প্রতিবাদ করেননি? বাংলায় মাফিয়ারাজ চলে না। এই ইন্ডাস্ট্রি ছোট। যদি এমন কিছু ঘটত, তাহলে অনেকেই এ বিষয়ে মুখ খুলতেন। শুধু তাই নয়, রুদ্রনীল যে দলে যোগ দিয়েছেন, তাদের চেয়ে বড় মাফিয়া খুব কমই আছে। দেশবাসী এমন মাফিয়া রাজনৈতিক দল এর আগে কখনও দেখেনি। 'টলিউডে মাফিয়ারাজ চলছে' বলে রুদ্রনীল ঘোষ যে অভিযোগ করেন, এভাবেই তার পালটা জবাব দিলেন সোহম চক্রবর্তী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোহম বলেন, বর্তমানে সমাজের উপর বা দেশবাসীর উপর যা চলছে, সবাই তা দেখেছেন। সেই কারণে সায়নী ঘোষ বা দেবলীনা দত্তরা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে প্রকাশ্যে ধর্ষণ এবং খুনের হুুমকি দেওয়া হচ্ছে। মফিয়ারাজ কে বা কারা করছে, বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগেই তা স্পষ্ট বলে ফুঁসে ওঠেন সোহম। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও ভেদাভেদ বা রাজৈনতিক রং ছিল না কিন্তু বিজেপি অত্যাচারের ভঙ্গিতে বাংলাকে দখল করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন সোহম। 


আরও পড়ুন : টলিউডে মাফিয়ারাজ চলছে, বোমা ফাটালেন Rudranil Ghosh


অভিনেতার কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর প্রত্যেক শিল্পীকে যে সম্মান দিয়েছেন, তা আগে কখনও কেউ দেয়নি। নেত্রী যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাঁরা সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিত্ব। যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা দেখছেন কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তাই এই ধরনের কথা কেন বলছেন রুদ্রনীল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সোহম।


আরও পড়ুন : কোটির উপর দাম, ভাইরাল Shilpa-র বিলাসবহুল গাড়ির ভিডিয়ো


পাশাপাশি স্বজনপোষণ নিয়ে কী বলতে চাইছেন রুদ্রনীল ঘোষ, নাম নিয়ে বলুন। এভাবে উপর উপর চলে লাভ নেই। ইন্ডাস্ট্রির বিষয়ে এমন অভিযোগ থাকলে, এতদিন কেন বলেননি? এতদিন কীভাবে সহ্য করলেন? ক্ষমতা ভোগ করা শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অন্য তরফে বেশি ক্ষমতা পেলেন বলেই সুর পালটে কথা বলছেন বলেও কটাক্ষ করেন সোহম।


আরও পড়ুন : শাম্মি কাপুরের নামে মগজধোলাই, শেষ হয়ে যায় Rajiv-র কেরিয়ার


প্রসঙ্গত 'টলিউডে মাফিয়ারাজ চলছে। এখানে যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওঁরাই মাফিয়ারাজ তৈরি করে ফেলেছেন ' বলে সরব হন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রুদ্রনীল অভিযোগ করেন, 'একের পর এক প্রযোজক পশ্চিমবঙ্গ থেকে চলে যাচ্ছেন। প্রযোজকদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে যত কলাকুশলী দরকার, তার চেয়ে দ্বিগুন লোক নিতে বলা হচ্ছে। অতিরিক্ত লোকজন বসে বসে টাকা নিচ্ছেন। তাই অনেকের মনে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে।' যাদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন রুদ্রনীল।