ওয়েব ডেস্ক: সনিকা মৃত্যু তদন্ত। রীতিমতো হাই ভোল্টেজ ড্রামা। যাকে ঘিরে গোটা টলি ইন্ডাস্ট্রি কার্যত দুভাগ। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বের, পার্টি অ্যাঙ্গেল। তা নিয়ে আবার নিত্যনতুন দাবি, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। সবমিলিয়ে টানটান সাসপেন্স এক থ্রিলার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিক্রমের অস্ত্র, সেল্ফ ডিফেন্স। বিরুদ্ধপক্ষও দলে ভারী। প্রতিদিন অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের বন্যা। সবমিলিয়ে সনিকা মৃত্যু তদন্ত হয়ে উঠেছে জটিল এক ধাঁধা।


২৯ এপ্রিল। দুর্ঘটনার রাত। পার্টির রাত, দেদার হুল্লোড়। তাতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামিল দুই দোস্ত, বিক্রম-সনিকা। ঘটনার রাতে প্রথমে শেক্সপিয়র সরণি এলাকার ফিনিক্স বারে পার্টি করেন তাঁরা। ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেওয়া ছিল, রাত দেড়টায় দুজন ফিনিক্সে চেক ইন করেন। রাত দুটোর পর আন্ডারগ্রাউন্ডে পরের পার্টিতে যান বিক্রম-সনিকা। প্রথমে পার্ক স্ট্রিট ও তারপর শেক্সপিয়র সরণির নাইট ক্লাবে দেখা যায় দুজনকে।


ছন্দ কাটল দুর্ঘটনায়। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার রাতে বিক্রম-সনিকার সঙ্গে পার্টি থেকে বের হন আরেক বন্ধুও। সেই বন্ধুকে বাড়িতে ড্রপ করে, এরপর সনিকাকে পৌছে দিতে যাচ্ছিলেন বিক্রম। পৌছনো আর হয়নি। পথেই সব শেষ। দুর্ঘটনা নিয়ে এখন নানা মুনি, নানা মত।


সত্যিটা কে বলছে? উঠে আসছে একাধিক প্রশ্নও।


১) ঘটনার রাতে বিক্রম সত্যিই মদ্যপ ছিলেন কি?


২) কেন ব্লাড স্যাম্পেল রিপোর্টের বিষয়টি পরিস্কার করছে না পুলিস?


৩) গাড়ির প্রথম ফরেনসিক টেস্টের রিপোর্ট এখনও কেন এল না?


৪) দুর্ঘটনার রাতে চিকিত্‍সার পর ছেড়ে দেওয়ার পরও কেন আবার হাসপাতালে ভর্তি হন বিক্রম?


৫) মদ্যপ না থাকা নিয়ে সাফাই দিলেও কীভাবে দুর্ঘটনা হল তা কেন স্পষ্ট করে বলছেন না বিক্রম?


ঘটনার রাতে বারের CCTV ফুটেজে কী দেখা গেছে, সেটা কেন পরিস্কার করছে না পুলিস? সনিকার এক বান্ধবী দাবি করেছেন, দুর্ঘটনার রাতে বিক্রমকে তিনি মদ্যপান করতে দেখেন। বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রেয়া পাণ্ডেও। তাঁর পোস্টে একদিকে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ এবং আরেকদিকে সনিকার জন্য বিচারের দাবি তুলেছেন শ্রেয়া। যদিও পোস্টে সরাসরি বিক্রমের নাম করে আঙুল তোলেননি শ্রেয়া।


ফেসবুকের পাতায় ক্ষোভের আগুন। বিক্রমকে কাঠগড়ায় তুলে বিচারের দাবিতে অনলাইন পিটিশন। পথেও নেমেছে টলি সার্কেলে সনিকার বন্ধুদের একাংশ। টলিউডের একটি অংশ আবার বিক্রমের পক্ষে। তাঁর কোনও দোষ ছিল না, এমনই দাবি তাঁদের। যুদ্ধ এখন জাস্টিস ফর সনিকা ভার্সেস ভয়েস ফর বিক্রম চ্যাটার্জি। সত্যপ্রকাশের অপেক্ষায় এই সমাজ।