নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্রীদেবীর মৃত্যু পরিকল্পনা মাফিকই করা হয়েছিল। ফের এমনই দাবি তুললেন অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিসকর্তা বেদ ভূষণ। যিনি কিনা দিল্লিতে এক প্রাইভেট গোয়েন্দা সংস্থা চালাতেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'ফ্রি প্রেস জার্নাল'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবসরপ্রাপ্ত পুলিসকর্তা বেদ ভূষণ জানান, ''এটা খুব সোজা যে একজনকে বাথটাবের মধ্যে ডুবিয়ে যতক্ষণ না তাঁর শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এবং এক্ষেত্রে অপরাধী অনেকসময় সেভাবে কোনও প্রমাণও রাখে না। এটাকে দুর্ঘটনা হিসাবেই তুলে ধরা হয়। অথচ পরিকল্পনা মাফিকই খুন করা হয়। শ্রীদেবীর ক্ষেত্রেও এমনটাই ঘটেছে।''


আরও পড়ুন-মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার ছবি শেয়ার জাহ্নবীর


প্রাক্তন পুলিস কর্তা বেদ ভূষণের কথায়, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর তিনিও 'জুমেরিয়াহ এমিরেটস টাওয়ার'-এ গিয়েছিলেন তদন্তের স্বার্থে। অথচ তাঁকে শ্রীদেবীর সেই ঘরে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। তবে শ্রীদেবী যে ঘরে ছিলেন তার পাশের ঘরটায় তিনি থাকার ব্যবস্থা করেন, এবং শ্রীদেবীর মৃত্যু পরবর্তীকালে সমস্ত ঘটনা পর্যবেক্ষণের চেষ্টা করেন। তখনই অনেকই অসামঞ্জস্যপূর্ণ বেশকিছু ঘটনা তাঁর চোখে পড়ে। তখনই তাঁর মনে হয় শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। কিছু একটা লুকোনো হচ্ছে।



প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে এই দাবি তুলেছিলেন পরিচালক সুনীল সিং। সুনীল সিংয়ের প্রশ্ন ছিল, শ্রীদেবী উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি।  আর বাথটাবটি ছিল ৫ ফুটের। তাহলে কীভাবে তিনি বাথটাবে ডুবে মৃত্যু হতে পারে? পাশপাশি, সুনীল সিংয়ের আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের  দাবি করেন। শ্রীদেবীর নামে ওম্যামে ২৪০ কোটি টাকার একটা ইন্সুরেন্স ছিল, যে টাকাটা কিনা তিনি একমাত্র দুবাইতে মারা গেলেই তাঁর পরিবার পেতে পারত। আর শ্রীদেবী দুবাইতেই মারা গিয়েছেন। তাই অভিনেত্রীর মৃত্যুতে রহস্য রয়েই যাচ্ছে।


পাশপাশি পরিচালক সুনীল সিং দাবি করেছিলেন তিনি তার আইনি পরামর্শদাতার সঙ্গে দুবাইয়ের ওই হোটেলে গিয়ে অভিনেত্রীর মৃত্যুতে একাধিক অসঙ্গতি পেয়েছেন। এনিয়ে সুনীল সিং প্রথমে দিল্লি হাইকোর্ট এবং পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্টেও পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন সুনীল সিং। যদিও দিল্লি হাইকোর্ট ও শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। 


আরও ুপড়ুন- প্রিয়ার চোখে হারিয়ে গেল রউফ! এ যেন 'পারফেক্ট' লাভ স্টোরি