নিজস্ব প্রতিবেদন: ট্রেলার নয়, পুরো সিনেমা দেখার পরই সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'গুমনামী' নিয়ে দলের তরফে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। রবিবার, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'গুমনামী'র ট্রেলার দেখার পর এমনটাই জানালো ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। তবে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের এই ছবি নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই বলেই মনে করছেন বসু পরিবারের সদস্য জয়ন্তী রক্ষিত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায় অভিনীত সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি 'গুমনামী' নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছে। ছবিতে গুমনামী বাবাকেই কি নেতাজি হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে? এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। ছবিটি নিয়ে পরিচালককে আইনি চিঠি পাঠিয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। নেতাজি নিয়ে তথ্য বিকৃতের প্রতিবাদে গত ২১ অগস্ট পথেও নেমেছিল ফরওয়ার্ড ব্লক। ছবি ঘিরে আপত্তি তুলেছিলেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসুও। প্রশ্ন তুলেছিলেন নেতাজির গবেষকরাও। এসমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটাতেই রবিবার রাজ্য ফরওয়ার্ড ব্লকের সদর দফতরে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছবি নিয়ে ওঠা একাধিক প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। 


এদিন সৃজিত মুখোপাধ্য়ায় বলেন,  ''মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টের বাইরে আমি এক লাইনও যায়নি। মুখার্জি কমিশনে যা রয়েছে সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। আমার ছবিতে কারোর কোনও মতামত বা রিপোর্টে কী বলা হয়েছে, সেইরকম কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়নি। আমার ছবিটার নাম 'গুমনামী', 'গুমনামী' মানে গুমনামী বাবা নয়। দ্বিতীয়ত, আমি ছবিতে তিনটে থিওরিই দেখিয়েছি। প্লেন ক্রাশ থিওরি, রাশিয়ান থিওরি, তৃতীয়ত গুমনামী বাবা থিওরি। এক্ষেত্রে কোনও বিতর্কের কোনও কারণ আছে বলে মনে করি না। তবে আমার মনে হয় এটা নিয়ে বিতর্ক এই জন্যই হচ্ছে, কারণ চরিত্রটির নাম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, যাঁকে নিয়ে অনেক মানুষের আবেগ ও ভালোবাসা জড়িয়ে। আবেগ ও ভালোবাসা তো শুধু বসু পরিবারের মধ্যে নয়, নেতাজিকে সবাই ভালোবাসেন।'' 


আরও পড়ুন-'স্বাধীন ভারতের প্রত্যেক মানুষ নেতাজির পরিবারের সন্তান' আবেগকে জিইয়ে রাখল 'গুমনামী'র ট্রেলার




এদিন ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি বসু পরিবারের তরফে উপস্থিত ছিলেন জয়ন্তী রক্ষিত (সুগত বসু খুড়তুতো বোন)। তাঁর কথায়, ''ছবিটা নিয়ে এত কেন বিতর্ক হচ্ছে? এটা নিয়ে কোনও বিতর্কের জায়গা আছে বলে আমি মনে করি না। আমাদের পরিবার নেতাজিকে নিয়ে কোনওদিনই বিমান দুর্ঘটনার তত্ত্বকে বিশ্বাস করেনি। তবে এখন অবশ্য সুগত বসু বিশ্বাস করেন যে নেতাজি বিমান দুর্ঘটনার মারা গিয়েছেন। তবে আমি ফরোয়ার্ড ব্লককে বলবো সুভাষচন্দ্র বসু যে সাধু হয়ে যাননি এমন প্রমাণও তো নেই। আমি ছবিটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।''


এদিন নেতাজির গবেষকদের প্রশ্নেরও সমস্ত উত্তর দেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তবে সমস্ত বিতর্কের পরও পরিচালক নিজেই উদ্যোগী হয়ে ছবির ট্রেলার দেখাতে ফরওয়ার্ড ব্লকে দফতরে পৌঁছেছেন সেবিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।