নিজস্ব প্রতিবেদন: কঠিন সময়, একটু আনন্দ খোঁজার চেষ্টায় আমরা সকলে। তবে শুধুই কী এই সময়ের জন্য আমরা আনন্দ খুঁজছি। না, আমরা প্রতিনিয়ত আনন্দ খুঁজি। বেঁচে থাকায়, ভালাবাসায় সবেতেই খুশি খোঁজার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকি আমরা। পরিচালক সুমন ঘোষের মেয়ে মায়া, একদিন বেলুন নিয়ে খেলতে খেলতে নিজেই সেই বেলুনের নাম দেয় Happiness, এরপর উড়িয়ে দেয় সেই বেলুন। তাঁৎ ধারণা ছিল মায়ামি থেকে বস্টনে তাঁর জ্যেঠুর বাড়ি হয়ে কলকাতায় তাঁর মামা বাড়িতেও ছড়িয়ে পড়বে হ্যাপিনেস। কিন্তু বেলুন উড়ে যাওয়ার পরই ছোট্ট মেয়ের খেয়াল হয় হ্যাপিনেস উড়ে গেল। তখনই চারিদিকে সে খুঁজতে বের হয় সেই বেলুন। জনে জনে গিয়ে প্রশ্ন করে সে হ্যাপিনসকে দেখেছ? 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এই ঘটনার পরই সুমন ঘোষের মাথায় আসে একটি ছবির প্লট। সুদীপ্তা চক্রবর্তীকে ফোন করে সেই ছবির গল্প শোনান, অভিনেতা রাজিও হন। কিছুদিন পর শিশু শিল্পীর চরিত্রে সুদীপ্তার মেয়ে শাহিদাকে কাস্ট করার কথা ভাবেন সুমন। বয়সের দিক থেকে একটু ছোট হলেও শাহিদা পারবে এমন আশা ছিল পরিচালকের। সুদীপ্তাকে রাজি করিয়ে নেন তিনিই। এরপরই মাদার-ডটার ডুয়োর অভিনয়ে তৈরি হয় 'সার্চিং ফর হ্যাপিনেস'ছবিটি। 



মজার বিষয় হল ছবির কোনও স্ক্রিপ্ট ছিল না। বেলুনে লেখা থেকে তা উড়িয়ে দেওয়া অবধি গল্প বানানো ছিল। এরপর পুরোটাই ন্যাচরাল। বেলুন খুঁজতে  বেরিয়ে শাহিদা সকলকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন হ্যাপিনেস কে দেখেছ। সেই থেকেই তৈরি হয় আস্ত একটা ছবি। মায়ামি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হয় এই ছবি, এরপর লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও দেখানো হয় ছবিটি। এবার নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ৪ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত অনলাইন স্ট্রিমিংয়ে দেখতে পাবেন এই ছবি। অফস্ক্রিন মা মেয়ের রসায়ন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই দেখতে পাই, তবে এই ছবিতে দেখা যাবে অনস্ক্রিন মা-মেয়ের যুগলবন্দি। করোনা আবহ মিটলে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি করার প্ল্যানিং রয়েছে এই ঘন্টা দুয়েকের ছবির।