নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্তকে রীতিমত ব্ল্যাকমেইল করতেন রিয়া চক্রবর্তী। একপ্রকার বাধ্য হয়েই রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সুশান্ত। সম্প্রতি এমনই বিস্ফোরক তথ্য সুশান্তের পরিবারের কাছে তুলে দেয় তাঁর এক বান্ধবী। যিনি নিজেও একজন অভিনেত্রী। তবে রিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেও সুশান্তের ওই অভিনেত্রী বান্ধবী নিজের নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি।  পিপিংমুন- এর প্রতিবেদন সূত্রে সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পিপিংমুন-এর প্রতিবেদনে প্রকাশ, সুশান্তের ওই অভিনেত্রী বান্ধবী সম্প্রতি দুবার পাটনায় গিয়ে অভিনেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁদের হাতে বেশকিছু তথ্য প্রমাণ তুলে দিয়েছেন তিনি। সুশান্তের সঙ্গে হওয়া হোয়াটসআপ চ্যাটও অভিনেতার পরিবারকে দেখিয়েছেন ওই অভিনেত্রী। একপ্রকার অসহায় হয়েই সুশান্ত তাঁকে হোয়াটসআপে এতকথা জানিয়েছিলেন বলে দাবি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অভিনেত্রী। তাঁর দাবি, শুধু রিয়াই নয়, তাঁর বাবা, মা ও ভাই একপ্রকার সুশান্তকে নিজেদের জালে জড়িয়ে দিয়েছিল ও তাঁকে বদ্ধ করে ফেলেছিল। এখানেই শেষ নয়, সুশান্তের বাড়িটি একপ্রকার রিয়ার পরিবার দখলই করে ফেলেছিল। দীর্ঘ সময় রিয়ার মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী এসে সেখানে থাকতে শুরু করে দেন। রিয়ার মায়ের উপস্থিতিতে সুশান্তের একপ্রকার দমবন্ধ হয়ে উঠেছিল। রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিলেন সুশান্ত, তবে একথা তিনি জানালেই তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করা হত। সংবাদমাধ্যমের সামনে সুশান্তকে অপদস্ত করার ভয় দেখানোও হত।


সুশান্তের জন্য অঙ্কিতার পোস্ট, ভাইয়ের প্রাক্তন প্রেমিকার সমর্থনে মন্তব্য শ্বেতার



CBI-এর হাতে সুশান্ত মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়ার প্রশ্নই নেই, সাফ জানালেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


এখানেই শেষ নয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুশান্তের ওই বান্ধবী জানিয়েছেন, ''সুশান্তের ফোন পুরোপুরি রিয়ার হেফাজতে ছিল। তাই আমার সঙ্গে কথা বলার পরও সুশান্ত চ্যাট ডিলিট করে দিত। এমনকি আমার নম্বর, ডিটেলস রিয়ার থেকে লুকিয়ে রাখত সুশান্ত। ওর ক্রেডিট কার্ড রিয়াই ব্যবহার করত, এমনকি সেটা দিয়ে ৪ লক্ষ টাকা দামের তিনটে ফোন কিনেছিল ও। যার মধ্যে দুটো ফোন রিয়া ফ্ল্যাট ছেড়ে যাওয়ার সময় নিয়ে যায়।''


সুশান্তের অভিনেত্রী বন্ধু জানিয়েছে, ''সুশান্ত আমায় জানিয়েছিল, ওর আর কোনওকিছুর উপরই নিয়ন্ত্রণ নেই, সবকিছুই রিয়ার হেফজতে। এমনকি বাড়ির পরিচারক, পরিচারিকা থেকে শুরু করে সবকিছুই। রিয়ার মা তাঁর বাড়ির সমস্ত পরিচারকদের রাতারাতি বদলে দিয়েছেন। তিনি কিছু বলতে গেলেই রিয়ার মা একপ্রকার তাঁকে চুপ করিয়ে দিতেন, বলতেন, রিয়াই সবকিছু ঠিক করবে।''



সুশান্তের কোনও বিপদ হতে পারে, ৪ মাস আগেই একথা মুম্বই পুলিসকে জানিয়েছিল অভিনেতার পরিবার!


পিপিং মুন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, সুশন্তের পুরনো দুই কর্মীকে নিয়েই ওই অভিনেত্রী বন্ধু পাটনায় গিয়েছিলেন। তাঁরা সুশান্তের বাবা ও অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জানান, সুশান্তের অ্যাকাউন্টের তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে, বিশাল পরিমান টাকা সরানো হয়েছে। তাঁর কথায়, সুশান্তকে রিয়া তাঁর পছন্দমত একটি গাড়ি কিনতে বাধ্য করেছিলেন, পরে তাঁর হারিয়ে যাওয়া সেই গাড়ি ব্যবহার করছিলেন রিয়ার ভাই সৌমিক। জানা যাচ্ছে, অভিনেত্রীর দেওয়া সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখেন সুশান্তের জামাইবাবু আইপিএস অফিসার ও পি সিং। তিনিই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে পুরো বিষয়টা জানান। এরপরই সুশান্তের বাবার FIR  গ্রহণ করে বিহার পুলিস।