``দরজা খোলার পর দেখলাম ভাইয়ের দেহ ঝুলছে``, বিহার পুলিসকে জানালেন সুশান্তের দিদি
মুম্বই পুলিস যখন সুশান্তের ফ্ল্যাটে সবকিছু খতিয়ে দেখছিল, তখন সেখানে অভিনেতার পরিবারের তরফে একমাত্র মীতুই ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে বিহার পুলিস। তাঁদের তরফে রেকর্ড করা হয়েছে সুশান্তের দিদি মীতু সিং রাজপুতের বয়ান। যিনি কিনা সুশান্তের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। এমনকি মৃত্যুর পর মুম্বই পুলিস যখন সুশান্তের ফ্ল্যাটে সবকিছু খতিয়ে দেখছিল, তখন সেখানে অভিনেতার পরিবারের তরফে একমাত্র মীতুই ছিলেন।
বিহার পুলিসকে দেওয়া বয়ানে ঠিক কী জানিয়েছেন সুশান্তের দিদি মীতু সিং রাজপুত?
৮ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত যে সমস্ত ঘটনার কথা তিনি জানতেন, তার সবকিছুই বিহার পুলিসকে জানিয়েছেন সুশান্তের দিদি মীতু। গত ৮ জুন রিয়া তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে পুলিসকে জানিয়েছেন মীতু। তাঁর কথায়, রিয়া তাঁকে বলেছিলে, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়েছে। পরদিনই মীতু সুশান্তের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গেই বেশ কয়েকদিন ছিলেন। রিয়ার সঙ্গে ঝগড়ার বিষয়ে কিছু কথা দিদিকে বলেছিলেন সুশান্ত। বলেছিলেন, রিয়া তাঁর সমস্ত জিনিসপত্র এবং সুশান্তেরও কিছু জিনিসপত্র সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেছেন। রিয়া হয়ত আর ফিরবে না বলেও দিদিকে বলেছিলেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন-রিয়ার সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন সুশান্তের অভিনেত্রী বান্ধবী!
মীতু সিং রাজপুতের কথায়, ''সুশান্তের মন খুবই খারাপ ছিল। তাই আমি ওর সঙ্গে ৪ দিন সেখানে ছিলাম। তবে যেহেতু আমার ছেলেমেয়েরা ছোট, তাই ১২ জুন বাড়ি ফিরে যাই। কিন্তু আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি ভাই এমন করতে পারে। ১৪ জুন আমায় সিদ্ধার্থ পিঠানি ফোন করে বলে সুশান্ত দীর্ঘক্ষণ হল দরজা খুলছে না। আমি সঙ্গে সঙ্গেই বান্দ্রার উদ্দেশ্যে রওনা দি আর ভাইকে ফোন করতে থাকি। কিন্তু সবই বিফলে গেল। চাবি তৈরি করে এমন এক ব্যক্তিকে ডেকে দরজা খোলা হল। দেখলাম, সুশান্তের দেহ সিলিং থেকে ঝুলছে। তারপর আর কিছু বলা বা করার মতো পরিস্থিতি আমার ছিল না। এরপরে মুম্বই পুলিস সেখানে পৌঁছেছিল।''