বিচ্ছেদের পরও অঙ্কিতা সুশান্তের জন্য নিয়মিত প্রার্থনা করত, ফের মুখ খুললেন সন্দীপ

নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর অভিনেতার পরিবার ও প্রাক্তন প্রেমিক অঙ্কিতা লোখান্ডের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রযোজক সন্দীপ সিং। সম্প্রতি 'স্পট বয়'-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফের একবার সুশান্ত ও অঙ্কিতার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন সন্দীপ। তাঁর কথায়, একটা সময় এমন ছিল, যখন অঙ্কিতা, সুশান্তের জন্য নিজের কেরিয়ার ছাড়তে প্রস্তুত ছিল।

সন্দীপের কথায়, ''অঙ্কিতা সুশান্তের প্রেমিকা ছিল না, ও মায়ের মত যত্ন নিত। যা অন্য কারোর পক্ষে কখনও করা সম্ভব নয়। অঙ্কিতা শুধুমাত্র সুশান্তের পছন্দ করা পোশাকই পরত। রান্না হলে, অঙ্কিতা সুশান্তের পছন্দের রান্নাই করতো। ঘর সাজানো হলেও সুশান্তের পছন্দের কথা ভেবেই অঙ্কিতা তা সাজাত। বাড়িতে বই রাখা হবে, সেটাও সুশান্তের পছন্দের বই-ই রাখত অঙ্কিতা, ও ওর মায়ের অভাব পূরণ করত। ও যা কিছুই করত সব সুশান্তের কথা ভেবে। আমার মনে হয়, যদি সব পুরুষই অঙ্কিতার মতো প্রেমিকা পাওয়ার ভাগ্য পেত... । এমনকি অঙ্কিতা যখন নিজের কেরিয়ারের মধ্যগগনে, এমনকি ওর কাছে ফিল্মে কাজ করার প্রস্তাবও আসতে শুরু করেছে, তখন ও সুশান্তকে বিয়ে করে কেরিয়ার ছাড়তেও প্রস্তুত ছিল। আমি শুধুই ওদের বিয়ের অপেক্ষায় ছিলাম। সুশান্তের জীবনে বাকি কোনও মেয়ের কথা আমি মানতে পারি না। তা সে যে যাই বলুক...''

এখানেই শেষ নয়, সন্দীপ সিং আরও বলেন, ''সুশান্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরও ওর সিনেমা মুক্তির দিন অঙ্কিতা প্রার্থনা করতো, যাতে ওর সিনেমা হিট হয়। সুশান্ত যেন কষ্ট না পায়। আর সুশান্ত যখন চলে গেল, আমার সবথেকে বেশি চিন্তা ছিল অঙ্কিতাকে নিয়ে। আমি সুশান্তের বাড়ি থেকে হাসপাতাল, থানা ছুটে বেড়িয়েছি, আর অঙ্কিতাকে ফোন করেছি। কিন্তু ও ফোন তোলে নি, তখন চিন্তিত হয়ে পড়ি। রাতে কাজ মিটিয়ে যখন ওর বাড়ি যাই ও কান্নায় ভেঙে পড়ে। শুনিবারও আমি ওকে ফোন করেছি, তখনও ও শুধুই কাঁদছে। আমি সুশান্তের সম্পর্ক, প্রেম বলতে অঙ্কিতাকেই বুঝি, ওটাই সুশান্তের জীবনের শেষ সম্পর্ক।''

সন্দীপ সিং আরও বলেন, সুশান্ত চলে গেলেও এখন ওর পরিবারের পাশে আমাকে দাঁড়াতে হবে। পুলিসকে তদন্তে সাহায্য করতে হবে, এখনও কাজ শেষ হয়ে যায়নি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সুশান্তের বাবাও ছেলের বান্ধবী বলতে অঙ্কিতার কথাই বলেছেন। কে কে সিং রাজপুতের কথাতেও উঠে এসেছে অঙ্কিতার কথা। বাকি বান্ধবীদের কথা তিনি সেভাবে জানতেন না বলেই জানিয়েছেন।