নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে তাঁর বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন কিছু লেখা হচ্ছে। এবিষয়ে এতদিন চুপ থাকার পর এবার মুখ খুলল মুম্বই পুলিস। সুশান্তের বাড়ির ভিতরে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না বলেই জানাচ্ছেন মুম্বই পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (জোন ৯) অভিষেক ত্রিমুখ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কমিশানার( জোন ৯) অভিষেক ত্রিমুখে সাংবাদ সংস্থা ANI-কে জানান, সুশান্ত যে বিল্ডিংয়ে থাকতেন তার সিসিটিভি রেকর্ডিং মুম্বই পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। তবে অভিনেতার বাড়িতে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো নেই। আপতত ফরেনসিক রিপোর্টে অপেক্ষা করছে পুলিশ'।


আরও পড়ুন-অভিনয় জগতে ফের শোকের ছায়া, প্রথম ছবির মুক্তির আগেই আত্মঘাতী সুশীল গওড়া



প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে নানান ভুয়ো তথ্য। সুশান্তের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেতার ভক্তরা। কেউ কেই আবার দাবি করেছিলেন, সুশান্তের মৃত্যুর আগের দিন থেকেই সিসিটিভি বন্ধ ছিল। এবার এই সিসিটিভি নিয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মুখ খুলেছে পুলিস। জানা যাচ্ছে, সাধারণত ফরেন্সিক রিপোর্ট ১০ দিনের মধ্যেই চলে আসে। তবে সুশান্তের মত হাই প্রোফাইল মামালায় ফরেন্সিক টিম কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না, তাই রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে।



আরও পড়ুন-''যমজ সন্তানকে খুনের হুমকি, মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করণ শুধুই কাঁদছেন'', জানালেন বন্ধু


সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার সঞ্জয়লীলা বনশালিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বান্দ্রা থানার পুলিস। টানা বেশ কয়েকঘণ্টা জেরা করা হয় বলিউডের এই পরিচালক, প্রযোজককে। জানা যাচ্ছে, বনশালি পুলিসকে জানিয়েছেন, 'রামলীলা' 'বাজিরাও মস্তানি' দুটি ছবির জন্যই সুশান্তই ছিল তাঁর প্রথম পছন্দ। তবে যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার কারণে সুশান্তই তাঁর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তা না হলে তিনি কখনওই সুশান্তকে বাদ দিতে চাননি। তবে পরবর্তীকালে অভিনেতাকে আর নতুন কোনও ছবির প্রস্তাবও তিনি দেননি বলে জানিয়েছেন বনশালি। 


প্রসঙ্গত, জানা যায়, সুশান্তের সঙ্গে যশরাজ ফিল্মসের যে তিনটি ছবির চুক্তি ছিল। তার মধ্যে শেষ ছবি 'পানি'র কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল।  অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে 'পানি' প্রজেক্ট ঝুলিয়ে রেখে যশরাজফিল্ম সুশান্তকে আর অন্য কোনও প্রযোজনা সংস্থার ছবিতে সই করতে দিচ্ছিলেন না। এই কারণেই নাকি সুশান্তের হাতছাড়া হয় 'গোলিয়োঁ কী রাসলীলা রাম-লীলা ' ও 'বেফিকরে'র মত ছবি।