সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সময় উল্লেখ নেই কেন? প্রশ্ন আইনজীবীর
তাঁর প্রশ্ন সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সময় কেন উল্লেখ করা হয়নি?
নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন অভিনেতার পরিবারের আইনজীবী বিকাশ সিং। তাঁর প্রশ্ন সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সময় কেন উল্লেখ করা হয়নি?
ANI-কে আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, ''সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কোনও সময় উল্লেখ করা হয়নি, যেটা সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুশান্তকে মারার পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল, নাকি গলায় ফাঁস লাগার পর তাঁর মৃত্যু হয়েছিল, সেটা মৃত্যুর সময় জানলে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যায়।'' বিকাশ সিং-আরও বলেন, মুম্বই পুলিস এবং কুপার হাসপাতালকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই হবে। আর সত্য জানতেই CBI তদন্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন-সুশান্তের আত্মার শান্তিকামনা করে ও বিচার চেয়ে প্রার্থনা যোগগুরু রামদেবের
আইনজীবী বিকাশ সিং আরও বলেন, ''মুম্বই পুলিস পেশাদার। তবে তাঁরা তখনই কাজ করতে পারে যখন মন্ত্রী অনুমতি দেয়। আর এই ধরনের হাইপ্রোফাইল মামলায় রাজনাতিবিদদের হস্তক্ষেপে তদন্ত বাধা পায়। পুলিসকে তাঁদের মত করে কাজ করতে দেওয়া উচিত।'' এর আগে আইনজীবী বিকাশ সিং বলেন, ''সুশান্তের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় কেউ দেখেনি, তার কোনও ছবিও নেই। সুশান্তের দিদি তো মাত্র ১০ মিনিটের দূরত্বেই ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন সুশান্তের দিদির পৌঁছনো পর্যন্ত অপেক্ষা করা হল না? ''
প্রসঙ্গত, সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ কেন এবং কার নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এর আগে অ্যাম্বুলেন্স চালক জানিয়েছিলেন, সন্দীপ সিং-ই দেহ কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেন, ''কুপার হাসপাতালের যে পাঁচ সদস্যের চিকিৎসক সুশান্তের ময়নাতদন্ত করেছিল, CBI তাঁদের জেরা করবে। অ্যাম্বুলেন্স চালক জানিয়েছেন, সুশান্তের দেহ যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন সুশান্তের পা দুটো মোচরানো ছিল (যেন পা ভাঙা রয়েছে) এই জট খুলতেই হবে।''
আরও পড়ুন-সুশান্তকে শ্রদ্ধা, নিউজিল্যান্ডের সিনেমাহলে মুক্তি পেল শেষ ছবি 'দিল বেচারা'
প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে, এমনকি বিদেশের মাটিতেও সুশান্ত মামলার CBI তদন্তের দাবি উঠেছে। তবে এই মামলার তদন্ত মুম্বই পুলিস, বিহার পুলিস নাকি CBI, কে করবে তা অবশ্য় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপরই নির্ভর করছে।