নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত আজ আর নেই। ২১ জানুয়ারি, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সুশান্ত (Sushant Singh Rajput)কে মনে করছেন এমন অনেকেই রয়েছেন। অভিনেতার পরিবার থেকে শুরু করে তাঁর বন্ধু, সহকর্মীরা সকলেই সুশান্তকে স্মরণ করেছেন। বাদ গেলেন না অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)ও। পর্দার 'ব্যোমকেশ বক্সী'র জন্মদিনে স্বস্তিকার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ভেসে উঠল পুরনো স্মৃতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায় (Dibakar Banerjee) পরিচালিত ছবি 'ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী' (Detective Byomkesh Bakshy) ছবিতে প্রথমবার সুশান্তের (Sushant Singh Rajput) সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন স্বস্তিকা। ছবিতে ব্যোমকেশ বক্সীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল সুশান্ত(Sushant Singh Rajput)কে। আর স্বস্তিকা ছিলেন অঙ্গুরী দেবীর ভূমিকায়। ছবিতে দুটো চরিত্রই ছিল মুখ্য।  'ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী' মুক্তি পেয়েছিল ২০১৫ সালে। সেদিনের ছবির সেটের এক টুকরো স্মৃতিই সুশান্তের জন্মদিনে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। ছবিটি পোস্ট করে স্বস্তিকা (Swastika Mukherjee) লিখেছেন 'ছবির প্রমোশনের সময় ছবিটি তোলা হয়েছিল। তোমার ছবি এবং তুমি সবসময় সকলে মনে থাকবে। আর আমি মনে রাখব তোমার হাসি। শুভ জন্মদিন সুশান্ত'। এই ছবিতে স্বস্তিকা, সুশান্তের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে দিব্যা মেনন-কে।  তাঁকে ছবিটি ট্যাগ করে স্বস্তিকা লিখেছেন, 'এটা খুঁজে পেলাম'।


আরও পড়ুন-''যা উঠে আসছে তাতে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না'', সুশান্ত মৃত্যু নিয়ে বললেন স্বস্তিকা



আরও পড়ুন-Victoria Memorial-র নাম বদলে 'না' শীর্ষেন্দু-পবিত্রর, সমর্থনে রুদ্রনীল


তবে শুধু  'ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী' (Detective Byomkesh Bakshy)তেই নয়,  সুশান্তের শেষ ছবি 'দিল বেচারা' (Dil Bechara)তেও তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন স্বস্তিকা। সেই স্মৃতি হয়তবা তাঁর মনে টাটকা। 'দিল বেচারা' মুক্তির পরও সুশান্তের সঙ্গে বেশকিছু সুন্দর মুহূর্ত অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন স্বস্তিকা। 


এর আগে Zee ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকাকে প্রশ্ন করা হয়, ''ব্যোমকেশের সুশান্ত, আর এখন 'দিল বেচারা'র সুশান্তের মধ্যে কোনও কি পার্থক্য দেখেছ?'' অভিনেত্রী বলেছিলেন, '' আত্মবিশ্বাসের অনেক পার্থক্য। ব্যোমকেশ ওর তৃতীয় ছবি ছিল। তারপর অনেকটা সময় গেছে, বলিউডে ও প্রথম সারির নায়কদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। তাই ব্যোমকেশের সুশান্ত 'দিল বেচারা'র সময় অনেক বদলে গিয়েছিল আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে। ব্যোমকেশের পর 'দিল বেচারা'তে অনেক উন্নতি করেছিল ও। সবসময়ই প্রাণবন্ত ছিল। অনেক ভালো কাজ করতে চাইত, কী করতে চায় তা নিয়ে ওর মধ্যে উত্তেজনা ছিল। তবে আবার ও শিশু সুলভ। বয়সের তুলনায় একটু বেশিই ছোট বাচ্চাদের মতো করতো। কাজ নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিল। সবটাই তো পজিটিভ দেখেছিলাম, তারপর জানি না, কী যে হল... (একটু থেমে)''