স্বস্তিকাকে এখনও ভালোবাসি, দেখলে হার্টবিট বেড়ে যায়, বলেই ফেললেন সৃজিত!

শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায়

সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবিতে 'শাহজাহান রিজেন্সি'-তে একসঙ্গে দেখা যাবে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ও তাঁর প্রাক্তন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। একসময় যে পরমব্রত ও স্বস্তিকার প্রেম নিয়ে সরগরম ছিল টলিউড। সেই দুই প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা দীর্ঘদিন পর আবারও ফিরছেন একই ছবিতে। তাও আবার ছবিটির পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। যাঁর সঙ্গেও একসময় প্রেমের সম্পর্ক ছিল স্বস্তিকার গুরু। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই 'শাহজাহান রিজেন্সি'-র শ্যুটিং শুরু আগেই শিরোনামে উঠে এসেছিল ছবিটি। 

তবে দীর্ঘদিন পর দুই প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে একই ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন ছিল? কাজ করতে এসে কী মনে হচ্ছিল? আদৌ কী বিষয়টা শুনতে যতটা গুরুতর অস্বস্তিকর মনে হয়েছিল, কাজের সময়ও কি কোনও অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল তাঁদের? সম্প্রতি Zee ২৪ ঘণ্টার একটি টক শোয়ে এসে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন স্বস্তিকা, পরমব্রত ও সৃজিতরা। পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানালেন,  ছবির চিত্রনাট্য লেখার সময় থেকেই 'কমলিনী' চরিত্রের জন্য 'ভেবলি'র (স্বস্তিকা) মুখটাই তাঁর মনে পড়ছিল। প্রথমে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে তাঁর মনে হয় এই চরিত্রের জন্য স্বস্তিকাই পারফেক্ট। চরিত্রটি করার জন্য স্বস্তিকা বলা হলে, তিনি এই প্রস্তাব একপ্রকার লুফে নেন বলেই জানান পরিচালক।

পাশাপাশি স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, তিনি এই চরিত্রটা করতে ভীষণভাবে চেয়েছিলেন। এটা তাঁর ভীষণই পছন্দের একটা চরিত্র। তবে এইসব কথোপকথনের মাঝে স্বস্তিকার প্রতি তাঁর এখন কী অনুভূতি হয়, সেকথাটা নিজের মুখেই বলে ফেললেন পরিচালক নিজেই। তাঁর কথায়, '' স্বস্তিকাকে আমার দারুন লাগে। স্বস্তিকাকে এখনও খুব ভালোবাসি। এত বুদ্ধিমতী, সাহসী মেয়ে খুব কম আছে। স্বস্তিকার সঙ্গে একটাসময় আমার সম্পর্ক ছিল ঠিকই, তবে এখনও ওকে দেখলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায়।''

পরিচালক সৃজিতের মুখে এধরনের কথা শুনে পাশ থেকে হাসি চাপার চেষ্টা করছিল অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যা। একটা সময় পরমব্রতর সঙ্গেও স্বস্তিকার সম্পর্ক বেশ চর্চায় ছিল। এই প্রসঙ্গে বলেন, ''সাধারণ মানুষের কাছে প্রাক্তন প্রেমিক-প্রেমিকা আবারও একসঙ্গে কাজ করছে এই বিষয়টি বিশাল ব্যাপার হয়, যাঁরা কাজ করছে তাঁদের কাছে হয়ত এতটা হয় না। আমরা প্রতিদিন এতধরনের চরিত্রে কাজ করি, এতরকম বাস্তবতা নিয়ে কাজ করি যে আমরা খুব সহজেই পুরনোটা ভুলে এগিয়ে যেতে পারি। তবে মাছ মিষ্টি অ্যান্ড মোরে কাজ করার সময় কিছিটা অসুবিধা হয়েছিল স্বস্তিকার সঙ্গে কাজ করতে কারণ তখন ব্যপারটা ভীষণই সাম্প্রতিক ছিল, তাই অস্বস্তি হয়েছিল ব্রেক-আপের পর একসঙ্গে কাজ করতে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। আমরা বুড়ো হয়েছি। পুরো বিষয়া এতটা ড্রামাটিক নয়। ''

পরমব্রতর কথার মাঝেই ফুট কেটে স্বস্তিকা বলেন, ''কী যেন একটা হবে? গিয়েই দেখা হবে? তারপর কী বলবো? বিষয়টা এক্কেবারেই এমন নয়।''