Swastika Mukherjee : `প্রতিবাদী মুখ ভেবেছিলাম, আপনিও চটিচাটা!` স্বস্তিকা বললেন...
স্বস্তিকা বললেন, `বসিনি দাদা, শুভ বিজয়া বলে নমস্কার করে চলে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী বলে কথা, কতবছর পর দেখা হল, নমস্কারটুকু তো করব।` তাঁর কথায়, `আমি মানুষের পাশে যেভাবে থাকার ঠিকই থাকি, সবটা তো ফেসবুকে পোস্ট হয়না তাই জানতে পারেন না, আর জানানোরও প্রয়োজন বোধ করি না। তাই বলে এত বড় একটা উদযাপন সেখানে হাজার হাজার মানুষ গেছেন, আমার যাওয়াটা ভুল মানতে পারলাম না। আমাদের রাজ্যের অনেক মানুষ ওখানে গেছে ঠাকুর দেখতে। আমিও গেছি। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি ঢোকানোর দরকার নেই।`
CM Mamata Banerjee, Swastika Mukherjee, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : দু'বছর পর রেড রোডে পুজো কার্নিভাল, সেখানে তারকাদের ভিড় থাকবে না তাও কি হয়? হলও তাই। তারকাদের ভিড়ে শনিবার রেড রোডে দুর্গাপুজো কার্নিভাল হয়ে উঠেছিল গ্ল্যামারাস। কার্নিভালের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দেখা যায় ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দার বহু তারকাকেই আবার কার্নিভালের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী পাশে না দেখা গেলেও শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো প্রদর্শনে নৃত্য পরিবেশন করে চমকে দেন টলিপাড়ার অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা জুটি। সে তো না হয় হল, তবে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কেও কার্নিভালে দেখা যাবে সেটা হয়ত অনেকেই আশা করেননি। তবে স্বস্তিকাও ছিলেন, দমদম দক্ষিণপাড়া পুজো কমিটির প্রদর্শনে দেখা যায় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে।
স্বস্তিকা কার্নিভালের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে ছিলেন না ঠিকই, তবে সেখান থেকে ফেরার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আসতে ভোলেননি। মুখ্যমন্ত্রী সামনে গিয়ে হাত জোড় করে তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে দেখা যায় অভিনেত্রীতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও অভিনেত্রীর হাত ধরে কথা বলতে দেখা যায়। তারই কিছু মুহূর্ত নিজের অফিসিয়াল ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। লিখেছেন, 'আজ কার্নিভালে আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বহু বছর পর দেখা, উনি একটি চমৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এবং কলকাতা পুলিসও খুব ভালো ভূমিকা পালন করেছে। সবসময়ই দিদির অদম্য প্রাণশক্তি এবং জলন্ত ব্যক্তিত্বে সঙ্গে সেখানে থাকাটা মজার ছিল। আসছে বছর আবার হবে।'
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
আরও পড়ুন-রেডরোডে কার্নিভালে চমকে দিয়ে উপস্থিত স্বস্তিকা, নাচলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা
আর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের এমন পোস্ট অনেক নেটনাগরিকই ভালোভাবে নিতে পারেননি। ব্যস, শুরু হয়ে যায় তীব্র আক্রমণ। এমনকি কেউ কেউ অভিনেত্রীকে 'চটিচাটা', 'মেরুদণ্ডহীন' বলে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। কেউ লিখেছেন, 'আপনিও চটিচাটা হয়ে গেলেন, আমরা আপনাকে প্রতিবাদ মুখ ভাবতাম। তেলটা মারতেই হল'। কেউ লিখেছেন 'আমরা ভাবতাম, আপনার সাহস আছে।' এক ব্যক্তি লিখেছেন, 'লজ্জাবোধ নেই। চোরেদের নেত্রীর সঙ্গে বসছেন।' তবে স্বস্তিকাও এধরনের আক্রমণের উত্তর দিতে ছাড়েননি। লিখেছেন. 'বসিনি দাদা, শুভ বিজয়া বলে নমস্কার করে চলে এসেছি। মুখ্যমন্ত্রী বলে কথা, কতবছর পর দেখা হল, নমস্কারটুকু তো করব।' কেউ আবার লিখেছেন, 'দিদি, টেট এর ধরনা মঞ্চে গিয়ে পুজার আনোনদো থেকে অনেক দূরে থাকা মানুষ গুলোর পাশে থাকলে বেশি ভালো বাসা পেতেন। অবশ্যই এটা আপনার ব্যাক্তিগত চয়েস।' এর উত্তরও দিয়েছেন স্বস্তিকা। বলেছেন, 'আমি মানুষের পাশে যেভাবে থাকার ঠিকই থাকি, সবটা তো ফেসবুকে পোস্ট হয়না তাই জানতে পারেন না, আর জানানোরও প্রয়োজন বোধ করি না। তাই বলে এত বড় একটা উদযাপন সেখানে হাজার হাজার মানুষ গেছেন, আমার যাওয়াটা ভুল মানতে পারলাম না। আমাদের রাজ্যের অনেক মানুষ ওখানে গেছে ঠাকুর দেখতে। আমিও গেছি। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি ঢোকানোর দরকার নেই।'
তবে সবাই যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে স্বস্তিকার সাক্ষাতের সমালোচনা করেছেন তেমনটাও নয়। একজন লিখেছেন, 'আমরা বোধহয় বড় বেশি জাজ করে ফেলি।বড় তাড়াতাড়ি। শিক্ষিত,স্পষ্টবাদী মানুষ মনে হয় সৌজন্যকে প্রাধান্য দেন,এক্ষেত্রেও বোধহয় তাইই।এখনো আশাবাদী আমি।দেখা যাক।' আরেক ব্যক্তি লিখেছেন, 'আমি কোনো দলের হয়ে বলছি না কিন্তু উনি আমাদের রাজ্যের C.M জননেত্রী। সম্মানটুকু প্রাপ্য। এখনও পদে আছেন।'