যে বাংলা সিনেমা সেন্সরের চোখরাঙানিতে পড়েছে, কারণটাও ভারী অবাক করা
` উড়তা পঞ্জা`ব নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড়ের মাঝেও এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনাও হয়নি। পরিচালক প্রতীম ডি গুপ্তার `সাহেব বিবি গোলাম` সিনেমাটারও অবস্থা কিছুটা `উড়তা পঞ্জাব`-এর মত। অভিযোগ, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অঞ্জন দত্ত, স্বস্তিকা মুখার্জি, পার্নো মিত্র অভিনীত এই সিনেমাকে সেন্সরের জন্য আবেদন জানানো হয়। প্রযোজকের ইচ্ছা ছিল সিনেমাটি চলতি বছরের গোড়ায় রিলিজ করবে। কিন্তু সেন্সরের মায়াজাল থেকে এখনও উদ্ধার হতে পারল না এই সিনেমা। কারণটা জানেন?
ওয়েব ডেস্ক:' উড়তা পঞ্জা'ব নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড়ের মাঝেও এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনাও হয়নি। পরিচালক প্রতীম ডি গুপ্তার 'সাহেব বিবি গোলাম' সিনেমাটারও অবস্থা কিছুটা 'উড়তা পঞ্জাব'-এর মত। অভিযোগ, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অঞ্জন দত্ত, স্বস্তিকা মুখার্জি, পার্নো মিত্র অভিনীত এই সিনেমাকে সেন্সরের জন্য আবেদন জানানো হয়। প্রযোজকের ইচ্ছা ছিল সিনেমাটি চলতি বছরের গোড়ায় রিলিজ করবে। কিন্তু সেন্সরের মায়াজাল থেকে এখনও উদ্ধার হতে পারল না এই সিনেমা। কারণটা জানেন?
সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের মনে হয়েছে সাহেব বিবি গোলাম চরিত্রের স্বস্তিকা অভিনীত চরিত্রটি 'মরালি ডিগ্রেডিং'। স্বস্তিকা এই সিনেমায় এক গৃহবধুর চরিত্রে অভিনয় করছেন। সেন্সর বোর্ডের এক সদস্যের মনে হয়েছে সিনেমায় স্বস্তিকা অভিনীত চরিত্রটি গৃহবধু হয়েও যে পেশার সঙ্গে জড়িত সেটা আপত্তিকর। পরে বিতর্কের পর ঠিক হয় এক মিনিস্ট্রি পার্সন-এর উপস্থিতি এই সিনেমাটি আরও একবার স্ক্রিনিং হবে। মিনিস্ট্রি পার্সন হিসেবে আসেন জর্জ বেকার। পরিচালকের দাবি, সেদিন এই সিনেমা থেকে একটি ধর্ষণের দৃশ্য বলা দিতে বলা হয়।
বিতর্কের জল আরও গড়ায়। সিবিএফসি-র প্যানেল ডিসকাশন হয়। ততদিন এপ্রিল মাস গড়িয়েছে। শেষ অবধি ৬-৭জায়গায় মিউট করে, ধর্ষণের দৃশ্যটা ছোট করে দিতে বাধ্য হন বলে পরিচালকের দাবি। এরপর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আগামী ২৬ অগাস্ট মুক্তি পাবে এই সিনেমা। 'উড়তা পঞ্জাব'বনাম সেন্সর বোর্ড নিয়ে গোটা দেশ বিতর্কে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু 'সাহেব বিবি গোলাম' নিয়ে সবাই চুপ।