The Kapil Sharma Show: লাইভে এসে আত্মহত্যা! কেন এই পথ বেছে নিলেন ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এর অভিনেতা?
The Kapil Sharma Show: ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন `দ্য কপিল শর্মা` শো-এর অভিনেতা তীর্থানন্দ রাও। তাঁর বন্ধুরা তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নানা পাটেকর করে নকল করার জন্য খ্যাত। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মেও তাঁর অফিসিয়াল নাম জুনিয়র নানা পাটেকর।
The Kapil Sharma Show, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তীর্থানন্দ রাও, যাঁকে অভিনেতা কপিল শর্মার সঙ্গে তাঁর কমেডি শো ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এ দেখা যায়। সম্প্রতি তিনি ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি লাইভ ভিডিওতে অভিযোগ করেছন যে তাঁর এই বর্তমান অবস্থার জন্য দায়ী তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী। তাঁর বন্ধুরা লাইভ ভিডিওটি দেখার পর তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় এবং তাঁকে তড়িঘড়ি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে তাঁর বন্ধুরা পুলিসে খবর দিয়েছিল।
তীর্থানন্দ ভিডিয়োতে অভিযোগ করেছেন, ‘আমি ওই মহিলাকে গত বছরের অক্টোবর মাস থেকে চিনি। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। আমরা লিভ-ইন-এ থাকতাম। ওই মহিলার জন্য আমার ৩-৪ লক্ষ টাকা ঋণ হয়ে আছে।একটা সময় পর আমি জানতে পারি ও যৌনকর্মী। আমি ওর থেকে মুক্তি চাই। তখন ও আমার বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের এক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারপর ফোন করে রীতিমতো আমায় হুমকি দিতে থাকে। আমি নিজের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হই। রাস্তায় শুতে হয়। সেই কারণেই আমি আত্মহত্যা করতে চাই।"
ঘটনাটি বলার সময়, তিনি একটি কীটনাশকের বোতল নেন এবং একটি গ্লাসে তরল পদার্থটি ঢেলে খেয়ে নেন এবং লাইভেই তিনি নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। তীর্থানন্দ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নানা পাটেকর হিসেবে খ্যাত। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মেও তাঁর অফিসিয়াল নাম জুনিয়র নানা পাটেকর। 'দ্য কপিল শর্মা' শোতেও বহুবার তাঁকে নানা পাটেকরের অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। জানুয়ারি মাসে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে একটি ছবির শুটিং শেষ করেছেন। ফেব্রুয়ারিতে তিনি 'ওয়াঘলে কি দুনিয়াতে' দুটি পর্বের জন্যও কাজ করেছিলেন। মার্চ মাস থেকে তীর্থানন্দের হাতে আর কাজ নেই। তীর্থানন্দের বন্ধুদের দাবি ইদানিং মদ্যপানের নেশাও বেড়ে গিয়েছে তাঁর।
এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তীর্থানন্দ। প্রতিবেশীরা তাঁকে বাঁচিয়েছিলেন। দুই বছর আগেও ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তীর্থানন্দ বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে আশপাশের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর জীবন রক্ষা পায়। সেই সময় করোনার কারণে কাজ না পেয়ে হতাশায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। তাই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
(আত্মহত্যা শুধু আপনাকেই নয়, আপনার কাছের মানুষদেরও শেষ করে দেয়। আপনি কোনও ভাবে বিষণ্ণ বা অবসাদগ্রস্ত হলে কল করুন ৯১৫২৯-৮৭৮২১ নম্বরে। সোম থেকে শনি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ফোন করার সময়।)