নিজস্ব প্রতিবেদন- দুটি রিংয়ের মাঝে হেঁটমু্ণ্ড উর্ধ্বপদ হয়ে ঝুলছেন বিশ্বসুন্দরী। ব্যাকগ্রাউন্ডে বৌদ্ধ সঙ্গীত (Buddhist hymn)। শরীর আর মনকে এভাবেই এক কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এই উথালপাথাল সময়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে এমনটাই বার্তা দিলেন সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। তিনি লিখলেন, ‘এটা করার জন্য শারীরিক শক্তি খুব বেশি প্রয়োজন হয়না, চাই ইচ্ছাশক্তি। এ আমার নিজের কাছেই ফেরা’।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথাগত রাস্তার বিপরীতেই বরাবর হেঁটেছেন এই বাঙালি-কন্যা। বিশ্বসুন্দরীর  (Miss Universe) মুকুট মাথায় পরেও নিজের পা দুটো রেখেছেন মাটিতেই। জীবনে এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা সমকালীন সমাজকেও অনেক সাহস জুগিয়েছে। নারীত্বের এক সম্পূর্ণ অন্য অর্থ লিখেছেন তিনি, তাঁর জীবনখাতাতেই। অবিবাহিত, দুই কন্যা সন্তানের মা। প্রথম জনকে যখন বাড়ি নিয়ে আসেন, কৌতূহলী প্রশ্ন ছিল, কীভাবে বড় করবেন রেনেকে? মুখে হাজারর আলোর জ্বেলে বলেছিলেন, ‘রেনে (Renee Sen) আমার হৃদয় থকে জন্মেছে, সেটাই ওর আসল পরিচয়।’


নিয়মভাঙা সুস্মিতা বারবার নিজের কাজেই খুঁজেছেন বিপ্লব। ভিতরের শক্তিই বোধহয় তাঁকে এমন কিছু কাজ করিয়ে নিয়েছে, যা দৃষ্টান্ত হিসাবে থেকে গিয়েছে। সুস্মিতার বয়স এখন ৪৫। এখন স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। সেকথা নিজের সোশ্যাল পোস্টে নানা সময়ে বলার চেষ্টা করেছেন তিনি। কখনও সরাসরি, কখনও আবার রূপকে। প্রাণশক্তি বাড়ানোর জন্য এই ভিডিয়োতে যে কসরৎ তিনি করছেন তা খুবই জরুরি, মনে করেন অভিনেতা।


 



ভিডিয়োর ব্যায়ামটি করতে পারলে মেরুদন্ডের জোর বাড়বে। রিংয়ের এই ব্যায়ামের ফলে গোটা শরীরে রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে। অনেকক্ষণ ধরে উল্টো পজিশনে থাকার জন্য হাত ও কাঁধের পেশীশক্তি বাড়ে। প্রতিনিয়ত এই ব্যায়াম মনের জোর বাড়ায় বলেও মনে করছেন সুস্মিতা। আর তাঁর ইনস্টার বন্ধুদের খুব ভালবাসেন বলেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, ওয়েব সিরিজ ‘আর্যা ২’তে (Aarya 2) দেখা যাবে সুস্মিতাকে। তার শুটিং ও ডাবিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছেন অভিনেতা। ‘আর্যা’র (Aarya) দর্শকমাত্রেই জানেন, সিরিজের প্রথম ৫ মিনিট ধরেই সুস্মিতার এই দৃশ্য আছে। তাই অনেকেই এটাকে ওয়েব সিরিজটির দ্বিতীয় সংস্করণের প্রচার বলে মনে করছেন।