নিজস্ব প্রতিবেদন:  ভিন রাজ্যে যেসব পরিযায়ী শ্রমিকরা আটকে রয়েছেন, তাঁদের রাজ্যে ফেরানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন সাংসদ দেব। ব্যক্তিগতভাবে চিফ সেক্রেটারি, মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেনও তিনি। নিজেও বেশকিছু শ্রমিকের তালিকা তৈরি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সাংসদ, অভিনেতা দীপক অধিকারী। শনিবারই পশ্চিম মেদিনীপুরে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংবাদিক সম্মেলনে দেব বলেন, ''বর্তমান করো না পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে আমাদের সকলকে দাঁড়াতে হবে  এখানে কোনো রাজনীতি বা বিভেদ রাখা চলবে না। এখন কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ হওয়া উচিত, ছবি তোলা নয়।'' ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র পুরোটাই তাঁর পরিবার বলে দাবি করলেন সাংসদ দীপক অধিকারী। এলাকার মানুষদের সাহায্যের জন্য তিনি ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছেন, হতে পারে কোনও পরিবারের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। 


আরও পড়ুন-আমি পুরুষ হলে, হেলেনকে নিয়ে পালিয়ে যেতাম : আশা ভোঁসলে


দেবের কথায়, ''আমি ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে আসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করলেও জেলা প্রশাসন এবং জেলার সভাপতি আমায় আসতে নিষেধ করেছিলেন। কারন, আমি যদি আসি তাহলে আমাকে ঘিরে ভিড় জমবে। তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকাটা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। আর  কাউকে এক কেজি চাল দিয়ে তার ছবি তুলে প্রচার বা রাজনীতি করার মত ইচ্ছে আমার নেই।''



আরও পড়ুন-''যীশু আমায় অ্যাটিটিউড দেখিয়েছিল'', ইনস্টা লাইভে অভিযোগ করলেন বিদ্যা!


পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায় ২০০ জন নার্সের চলে যাওয়া প্রসঙ্গে সাংসদ দেব বলেন, ''আমি যদি অভিনেতা না হয়ে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী হতাম তাহলে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সেবা দেওয়ার কাজ করতাম। এই সময় যদি কেউ চলে যায় তাহলে কিছু বলার নেই। তবে আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, আপনাদের এই মুহূর্তে থাকাটা জরুরী। আমাদের তরফে কোনও ভুল হলে আপনাদের আমি বলতে চাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের অনেক বেশি বোঝদার, অনেক গুণী, এ রাজ্যে আপনাদের দরকার।''


পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বিগ্ন দেব বলেন, ''মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায়, অনেক শ্রমিক বাড়ি ফিরতে পারেননি।  কোন রাজ্য সরকারের কাছেই তথ্য ছিল না, যে সেই রাজ্যের কত লোক অন্য রাজ্যে রয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে চাইছেন কারণ, তাঁদের হাতে কোনো টাকা নেই। বাড়ি ভাড়া দেওয়ার সামর্থ নেই। কাউকে ছোট করছি না কাউকে দোষারোপও করছি না। কেন্দ্র সরকার যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সেই টাকা দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ির ভাড়া ও খাবারের জোগান দেওয়া উচিত। যে রাজ্যে যে শ্রমিক রয়েছেন সেই রাজ্যের সরকারকেই তাঁদের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। তাঁরা বাড়ি ফিরতে চাইছেন কারণ, এটা তাঁদের শেষ অপশন।''


দেবে আরও বলেন, ''এই যে ভাইরাস, সেটা আজ থেকে ছয় মাস আগেও কেউ জানতাম না। আমি যখন ২০১৯-এ সাংসদ হয়েছিলাম, তখনও ভাবিনি এক বছরের মধ্যে আমাদের মাস্ক পরে আপনাদের সামনে দাঁড়াতে হবে। সমস্ত রাজনৈতিক দল বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম সব দলকেই এই সময় এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের এখন স্বাস্থ্য বিষয়ক জোর দেওয়া দরকার। তাই সাংসদ কোটা থেকে এক কোটি টাকা আমি জেলা প্রশাসনের হাতে দিয়েছি।''


আরও পড়ুন-লকডাউনে কাজ নেই, আত্মহত্যা ৩২ বছর বয়সী জনপ্রিয় টিভি তারকার