TV Actress Maitreyee Mitra: তুমুল জ্বর তবু শ্যুটিং থেকে মুক্তি নেই, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মৈত্রেয়ী
TV Actress Maitreyee Mitra: ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে মরে নাই...সেই কবে রবি ঠাকুর লিখে গেছিলেন, আজও তার প্রতিফলন ঘটে চলেছে আমাদের জীবনে। ঘটনাটা আমার কাছে অনভিপ্রেত, দুঃখজনক এবং খানিকটা অভিমানের...`
TV Actress Maitreyee Mitra, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মৈত্রেয়ী মিত্র, দীর্ঘ দু দশক ধরে ছোটপর্দার নানা ধারাবাহিকে, সঞ্চালনায় দেখা গেছে তাঁকে। এক অর্থে তিনি টেলিভিশনের খুবই জনপ্রিয় মুখ। কিন্তু এবার সেই ধারাবাহিকের ক্রু মেম্বারদের উপরেই চটে লাল অভিনেত্রী। গায়ে তুমুল জ্বর, বসে থাকারও ক্ষমতা ছিল না অভিনেত্রীর। তা নিয়েই কলটাইমে সেটে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এরপর যা ঘটেছে তা শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মৈত্রেয়ী।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
অভিনেত্রী তাঁর প্রোফাইলে একটি পোস্ট দেন, যেখান থেকে জানা যায় যে, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল যে সে মরে নাই...সেই কবে রবি ঠাকুর লিখে গেছিলেন, আজও তার প্রতিফলন ঘটে চলেছে আমাদের জীবনে। ঘটনাটা আমার কাছে অনভিপ্রেত, দুঃখজনক এবং খানিকটা অভিমানের হলেও আজ আপনাদের একটু জানাতে ইচ্ছে হল’।
কী ঘটেছিল সেটে?
মৈত্রেয়ী লেখেন, ‘গত ১০ই অক্টোবর শ্যুটিংয়ে গিয়েছিলাম। প্রায় ঘন্টা আটেক পা ঝুলিয়ে বসে থাকার পর সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। আমার একটা সমস্যা আছে যেটা কেতাদুরস্ত নাম হল গাউট, বাংলায় যাকে বলে গেঁটে বাত। ভাবলাম বুঝিবা তার জন্যই ব্যথা হচ্ছে। রাতে একটু জ্বর এল, প্যারাসিটামল খেয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে পরদিন সকাল ১০টায় আমি শ্যুটিংয়ে হাজির। আমার সকাল থেকে হাঁটার ক্ষমতা ছিল না প্রতিটা গাঁটে এত ব্যথা, কাউকে কিছু জানতে দিইনি। ধীরে ধীরে জ্বর বাড়তে লাগল। দাঁতে দাঁত চেপে বসে রইলাম। আমাকে রেডি করাতে এসে ওরা দেখল আমার গা পুড়ে যাচ্ছে, তখন আমার বসার ক্ষমতা টুকুও নেই।’
Tv Actress: ছোটপর্দা থেকে গায়েব জনপ্রিয় অভিনেত্রী মোনালিসা, ব্যাপার কী?
‘মজার ব্যাপার কি জানেন ইউনিট জানতে পারার পর প্রায় আড়াই ঘন্টা লেগেছিল আমায় ছাড়বে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নিতে। অনেকের মনে হয়েছিল অন্য কোনো কাজের যোগাযোগ হয়েছে বলে বেড়িয়ে যেতে চাইছি। আজ অনেককেই বলতে ইচ্ছে করছে অভিনয় আমাদের পুজো, মিথ্যের আশ্রয় নেওয়ার জন্য অভিনয় অনেককেই করেন না, যদি কেউ করে থাকেন তার সঙ্গে সকলকে এক করে ফেলা বোধহয় ঠিক নয়। পরিশেষে ফিরে যাই সেই শুরুর কথায়, আর তার রেশ ধরে বলি আমি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে অন্তত কয়েকজন মানুষের কাছে প্রমাণ করতে পারলাম আমি সেদিন সত্যিই অসুস্থ ছিলাম, পর্দার অভিনয় জীবনের চলার পথে আমায় করতে হয়নি । তাদের জানানোর জন্যই এই পোস্ট।’ লিখেছেন মৈত্রেয়ী।
অভিনেত্রীর পোস্টের নিচে তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠার কামনা জানিয়েছেন তাঁর অনুরাগী থেকে শুরু করে জয়জিত বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, অতনু ঘোষ, তুলিকা বসু, সৌমিলী ঘোষ বিশ্বাস সহ আরও অনেকেই। কিছু নেটিজেন প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে এতটা অমানবিক হতে পারেন সহকর্মীরা। বাচিকশিল্পী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় লেখেন, ‘এই ঘটনাটি ফোরামের জানা উচিৎ। মেডিক্যাল ইমারজেন্সিতে কেউ কাউকে এভাবে হয়রান করতে পারে না আর টাকা রোজগার করতে যাওয়া মানে নিজেদের বলিপ্রদত্ত করা নয় বা তাদের চৌহদ্দিতে বসে মোসাহেবী করা নয়।’ তুলিকা বসু লেখেন, ‘সময়টা এমনিই। নতুন করে কষ্ট পাস না। লড়াই চালিয়ে যা’।