ওয়েব ডেস্ক: দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ি । মডেল সনিকা চৌহানের মৃত্যু । গুরুতর জখম অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জি । এয়ারব্যাগ না খোলাতেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সিটবেল্ট না বাঁধাতেই খোলেনি এয়ারব্যাগ। দাবি বিশেষজ্ঞদের। টয়োটার বিরুদ্ধে মামলা করতে চলেছে বিক্রমের পরিবার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘড়িতে তখন ভোর সাড়ে ৩টে। হঠাত্‍ একটা বিকট আওয়াজ। দুরন্ত গতিতে ছুটে আসছে একটি সাদা টয়োটা করোলা অলটিস। গড়িয়াহাট মোড় থেকে রাসবিহারী মোড়ের দিকে। গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে অভিনেতা বিক্রম চ্যাটার্জি। পাশে বসে বান্ধবী সনিকা সিং চৌহান। লেক মলের পাশের গলি থেকে আচমকা বেরিয়ে এল আরেকটি গাড়ি। সাঁ করে চলে গেল রাসবিহারী মোড়ের দিকে। ওই গাড়ির সঙ্গে অ্যাক্সিডেন্ট এড়াতে গিয়ে বিক্রমের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ধাক্কা মারল ডিভাইডারে। ছিটকে গিয়ে গাড়ি গিয়ে পড়ল রাস্তার অন্যপারের ফুটপাথে। গুরুতর জখম হলেন বিক্রম ও তাঁর বান্ধবী। হাসপাতালে মৃত্যু হয় মডেল সনিকা সিং চৌহানের।


আইপিএলের সেরা একাদশ গড়লেন রিকি পন্টিং, নেই গম্ভীর!


দামি গাড়ি। সুযোগ-সুবিধাও প্রচুর। সুরক্ষার বন্দোবস্তও বেশ ভাল। তবুও দুমড়ে মুচড়ে চেনাই দায় গাড়িটিকে। কেন এই হাল? গাড়িতে পাঁচ-পাঁচটি এয়ারব্যাগ। কিন্তু অ্যাক্সিডেন্টের সময় কেন খুলল না এয়ারব্যাগ? গাড়ির গতিই বা কত ছিল? দুর্ঘটনাস্থল থেকে যখন বিক্রম ও সনিকাকে উদ্ধার করা হয়, তখন তাঁদের সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।


বিশেষজ্ঞদের দাবি, সিট বেল্ট বাঁধা ছিল না বলেই খোলেনি এয়ারব্যাগ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, গাড়ির গতিও ছিল তীব্র। তাই এই ভয়াবহতা। তবে সিটবেল্ট বাঁধা এবং এয়ারব্যাগ না খোলার তত্ত্বে আমল দিতে নারাজ বিক্রমের বাবা। দুর্ঘটনার সময় কেন এয়ারব্যাগ খোলেনি, এই প্রশ্ন তুলে টয়োটা কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করছেন তিনি। গতি নিয়ে যতই চাপানউতোর থাকুক, সনিকা চৌহানের মৃত্যু ফের তুলে দিল অনেক প্রশ্ন।


গরমে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন জেনে নিন