মৌপিয়া নন্দী : হোলির দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সঙ্গে নিয়েই ভোট প্রচার করলেন খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের BJP প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার, দিলীপ ঘোষের বাংলোয় দলীয় সমর্থকদের নিয়ে ঢোল বাজিয়ে হোলি খেলেন হিরণ। গেরুয়া আবির মেখেই প্রচারে বের হতে দেখা যায় হিরণকে। প্রচারে বের হয়ে Zee ২৪ ঘণ্টাকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দেন খড়গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিরণ (Hiran)


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রূপোলি পর্দার হিরণ, এখন খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। কতটা Confidant?


হিরণ: ১১০ শতাংশ Confidant। খড়গপুর সদরের সমস্ত মানুষ বুঝে গিয়েছেন, যে ভয়মুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ চাইলে বিজেপি ছাড়া বিকল্প নেই। ৭০ বছর ধরে খড়গপুর সদরকে পিষে পিষে মারা হয়েছে। এখানকার যুব সমাজের কাছে কাজ নেই। এখানে জল নেই, শৌচালয় নেই, রাস্তাঘাট নেই, নরকে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করা হচ্ছে, খড়গপুর বঞ্চিত। এখনে যে হাসপাতাল রয়েছে, সেটা নরক। কেন্দ্র থেকে ফান্ড এসেও ফিরে যায়। এখানকার বিধায়ক বলেন, সাংসদের ফান্ডে কাজ করবেন না। এখানকার মানুষ বুঝে গিয়েছেন, ভয় দেখিয়ে, তোলাবাজি করে চলতে পারে না। এখানকার পৌরসভার যে সাফাই কর্মীরা মাত্র ৬ হাজার টাকার বেতনে কাজ করেন। তাঁদেরকেও কাজের জন্য ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। তাঁরাই আমাকে জানিয়েছে। এভাবে মানুষকে বঞ্চিত করে কতদিন চলবে! দিলীপদা যখন এখানে আসেন, তখন মানুষ ঘর থেকে বের হতেন না। দিলীপদা সাংসদ হওয়ার পর এখন মানুষ বের হন। আর আমাদের কাছে, পুলিস নেই, গুণ্ডা নেই, শুধু মানুষ আছেন।



রাজনীতি করছেন বহুদিন, তবে প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ছেন প্রথমবার কী বলবেন?


হিরণ: আমি সৌভাগ্য়বান। যে গুরুদেব দিলীপ ঘোষকে পেয়েছি। গুরু ছাড়া কোনও শিষ্য সাফল্যে পেতে পারেন না। এটা আমার কাছে আশীর্বাদ। উনি বলেছেন পায়ে হেঁটে মানুষের কাছে পৌঁছতে। আমি ওঁর কথা মেনে এই কয়েকদিন সকাল ৭ থেকে রাত ১১ পর্যন্ত হাঁটছি, প্রায় ১০-১৫ ঘণ্টা। গত ১২ মার্চ থেকে আজ ২৯ মার্চ, ৩৫টা ওয়ার্ডের মানুষের কাছে গেছি।  যা প্রায় অসম্ভব। 



উপনির্বাচনে খড়গপুর সদর হাতছাড়়া হয়েছে। যাঁকে গুরু বলছেন। খগড়পুর সদর জিতে গুরু দক্ষিণা দিতে পারবেন?


হিরণ: এর আগের ভোটে লুঠ হয়েছিল। গুন্ডা দিয়ে ভোট হয়েছে। বস্তিতে বস্তিতে টাকা দিয়ে ভোট করানো হয়েছে। অনেকেই জানিয়েছেন, যে তাঁরা ভোট দিতে পারেনি। তাঁরা যাওয়ার আগেই ভোট হয়ে গিয়েছিল। মানুষ আর এটা চান না, তাই ভারতীয় জনতা পার্টিকেই ভোট দিতে চান। যুব সমাজের কাছে কাজ নেই।


সবশেষে হিরণ (Hiran) আরও জানান, হোলিতে নানান রং খেলছি।  যখন সরকার গঠন করব, তখনও বিভিন্ন রং থাকবে। সব রং মিলেমিশে সরকার গড়ব। উন্নয়নে কোনও রংয়ের ভেদাভেদ করব না। বিরোধী পক্ষকে নিয়েও উন্নয়ন করব। মানুষের কোনও রং হয় না, প্রত্যেকের  রক্তের রং লাল। নির্বাচনের পর দল, জাতি, ধর্ম, সব ভেদাভেদ ভুলে শুধুই খড়গপুর সদরের উন্নয়ন করব।