নিজস্ব প্রতিবেদন : কথা দিচ্ছি, বারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জিতে দিদিকে উপহার দেব। শুক্রবার, তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণার পর আত্মবিশ্বাসী পরিচালক রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

Zee ২৪ ঘণ্টাকে রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) বলেন, ''আমি খুবই উচ্ছ্বসিত। আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) কাছে কৃতজ্ঞ যে উনি আমার নাম ভেবেছেন এবং আমাকে যোগ্য মনে করেছেন। আমি চেষ্টা করব, আমার যতটা ক্ষমতা সবটুকু দিয়ে মানুষের মন জয় করব। দিদির যা পরিকল্পনা সেই অনুযায়ী কাজ করা।''


এতদিন রূপালী পর্দার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছতেন, এখন সরাসরি পৌঁছতে হবে, কী মনে হচ্ছে? উত্তরে রাজ বলেন, ''রূপালী পর্দা নয়, আমায় সাধারণ মানুষ হিসাবেই ভাবুন। রূপালী পর্দার কথা আপাতত ভুলে যান, ওটা আমার পেশা। আমার মনে হয় যেমন অন্য পেশার মানুষ রাজনীতিতে আসতে পারেন, তেমন আমরাও পারি। আমাদের সেই যোগ্যতা আছে বলেই উনি আমাদের কথা ভেবেছেন। রাজনীতি ও সিনেমা দুটো ক্ষেত্রই মানুষের কথা বলে, সমাজের কথা বলে। আমরা মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারি।''


রাজ (Raj Chakraborty) আরও বলেন, ''খুব শীঘ্রই প্রচার শুরু হবে। আমার প্রথম কাজ হবে বারাকপুরে যত ভোটার (প্রায় ২ লক্ষ) আছেন তাঁদের কাছে পৌঁছনো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য কী সেটা বোঝাতে চাই। বারাকপুর মাসল পাওয়ার ওরিয়েন্টেড জায়গা, সেখানে সবাইকে ডমিনেট করে রাখা হয়। আমি চেষ্টা করব সেখানে শান্তি ফেরানোর। শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলব। আমার কাজ ওখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা। মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকা।'' 


এই কেন্দ্রে জিতে আসাটা কি কঠিন বলে মনে হচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে রাজ (Raj Chakraborty) বলেন, ''আমর জন্ম কাঁচরাপাড়ায়, হালিশহরে আমি বড় হয়েছি, নৈহাটিতে আমার কলেজ। বারাকপুরের সমস্ত অলিগলি চিনি। কর্মসূত্রে আমি কলকাতায় থাকলেও আমার হালিশহরে বাড়ি রয়েছে। মনেপ্রাণে আমি ওই এলাকার মানুষ, ওই ইমোশনটা বুঝি। তাই কঠিন না ভেবে, কীভাবে মানুষের কাছে পৌঁছব, মানুষ কী চায়, সেটা বোঝা দরকার। আমি সেটা বুঝতে পারলে মানুষ আমায় ভোট দেবেন। আমার বিশ্বাস, মানুষ আমার পাশে থাকবেন। আজকে এই দলে আছি, কাল অন্য দলে চলে যাব না, সেই প্রতিশ্রুতি আমি দেব। আমি কথা দিচ্ছি এই আসনটি জিতে দিদিকে উপহার দেব।''