Nandita-Shiboprasad: `সৌমিত্রদা-স্বাতীলেখাদিকে বেলাশুরু না দেখাতে পারার আক্ষেপটা যাবে না`
দুদশকের পথচলায় খোলামেলা পরিচালকদ্বয় নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
শর্মিষ্ঠা গোস্বামী চট্টোপাধ্যায়
প্রশ্নঃ ২০ বছর আগের জুলাইয়ের সেই দিনটার কথা মনে পড়ে, যে দিন উইনডোজ এর রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছিল? কী স্বপ্ন, কী ভাবনা ছিল?
নন্দিতাঃ যে দিন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল খুব অনিশ্চিত ছিল সব কিছুই। কীভাবে কোম্পানি চালাব, কাজ আদৌ আসবে কিনা, কী করা উচিত, সবটাই অনিশ্চিত ছিল। তবুও মনে সাহস নিয়ে এগিয়েছিলাম। বুক চিতিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলাম।
শিবপ্রসাদঃ কোম্পানি করতে গেলে যে একটা নাম দরকার হয়, তার যে একটা ট্রেড লাইসেন্স হয়, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট করতে হয় কিছুই জানতাম না। হঠাৎ করেই কোম্পানিটা করা হয়েছিল, মাথার ওপর কোনও ছাদ ছিল না। পথ দেখিয়ে দেওয়ার মত কেউ ছিলেন না। কীভাবে কাজ পেতে হয়, কীভাবে প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে হয়, গোটা জিনিসটাই অজানা ছিল। শুধু যেটা জানতাম সেটা হল কীভাবে প্রোজেক্ট বানাতে হয়, প্রোডাকশনের অভিজ্ঞতা ছিল, বাজেট বানাতে পারতাম। বেসরকারি একটা চ্যানেলে কাজের সূত্রে অভিজ্ঞতাটা হয়েছিল। আমাদের টিম টা খুব ভালো ছিল। যেদিন থেকে ঠিক করলাম যে আমরা আমাদের মত কাজ করব সেদিন মনে আছে একজন কর্মচারী আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন বলে এসে যোগ দিয়েছিলেন। ২০বছর ধরে তিনি আজও আছেন আমাদের সঙ্গে। তাঁর নাম গোপাল।
প্রশ্নঃ ২০ বছরের একটা জার্নি, অনেক বড় একটা টিম। বাংলা ছবির বক্স অফিসে উইনডোজের একটা বড় ভূমিকা আছে। উইনডোজ দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে দর্শককে হলমুখী করতে হয়। চিত্রনাট্য লেখা থেকে ছবি পরিচালনা পর্যন্ত একটা ট্রাস্ট ফ্যাক্টর থাকে, সেটা কীভাবে তৈরি হল?
নন্দিতাঃ আমি শিবুকে ভীষণভাবে বিশ্বাস করি। ও পাশ থাকলে আমি নিরাপদ বোধ করি। ওঠা নামা সব জায়গাতেই আছে, আমাদের কোম্পানির ওঠা নামা আমাদের বন্ডিংটাকে আরও দৃঢ় করেছে। তাই কষ্টকে কখনও কষ্ট মনে হয়নি, 'ডাউন'কে কখনো 'ডাউন' মনে হয়নি। আমি সবসময় জানতাম শিবু আমার পাশে আছে। শিবু আমার কাছে সব কিছু, আমার কোম্পানি থেকে আমার জীবন- সব কিছুতেই শিবু আমার কাছে অপরিহার্য। ভগবানকে অনেক ধন্যবাদ, শিবুকে আমার কাছে পাঠানোর জন্য। শিবুর সঙ্গেই আমার জার্নি শেষ হবে।
প্রশ্নঃ শিবু, জীবনে-কাজে এটা কত বড় প্রাপ্তি ?
শিবপ্রসাদঃ আমি যে সময় দিদির সান্নিধ্যে এসেছিলাম সেটা আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়, কারণ সেই সময়ে আমি কী করব, কোথায় যাব, কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আমাদের মত অভিনেতারা কোথায় যাবে কী করবে, কোনটা পথ সেটাই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আজকের দিনে অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে, ইচ্ছে করলে ওয়েব সিরিজ করা যায়। হয়তো উইনডোজও তাদের কাছে একটা পথ। সেই সময়ে এসব কিছুই ছিল না। আমি যখন দিদির সান্নিধ্যে এসেছিলাম তখন আমার বয়স ২৩-২৪ হবে। একটা অশান্ত সময়। আমার বাবাকে আমি হারিয়েছিলাম ২১ বছর বয়সে ,সেই সময় নন্দিতাদির ছত্রছায়ায় আসা, মনে হয়েছিল বাবার পরে এমন একজন মানুষ যিনি আমাকে সব কিছু থেকে আগলে রাখবেন। নন্দিতাদি এমন একজন মানুষ যার কাছে আমি সব কিছু উজাড় করে দিতে পারি, যাঁর সঙ্গে কাজ করা যায়, যাঁকে শ্রদ্ধা করা যায়, ভালবাসা যায় সব মিলিয়ে একটা অভিজ্ঞতার সঙ্গে জীবন কাটানো যায়। দিদি আমার থেকে ২০ বছরের বড়। আমি জীবনে অনেক ভুল করেছি, মাঝে মাঝে অশান্ত হয়ে যাই, এখনো অনেক কিছু ভুল করে ফেলি। সেই সময় দিদি আমাকে সংশোধন করে দেন। আমার জীবনে যদি ধ্রুবতারার মত কিছু থাকে সেটা নন্দিতা দি, আমাকে দিক নির্দেশ করে দেযন। শুধু আমি নই, আমার মনে হয় আমার কোম্পানিতে এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের কাছে নন্দিতাদি ধ্রুবতারা। এমনকি যারা উইনডোজ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন , এমন কি বাইরে থাকেন তাঁদের সঙ্গেও দিদির সম্পর্ক আছে।
প্রশ্নঃ ২০ বছর মানে সবটাই যে ভালো তা তো হতে পারে না, অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনাও হয়েছে। যে পরিচালকদ্বয় তাঁদের প্রথম ছবি হিসাবে ‘ইচ্ছে’র মত একটা ছবি নিয়ে এসেছিলেন সাহস করে, তার পরে আর সেই মানের ছবি হল না । কেন?
নন্দিতাঃ আমার সেটা মনে হয় না। আমি যখন 'ইচ্ছে' তৈরি করেছিলাম তখনও আমার মানসিকতা একই ছিল। আমার যে বিষয় ভালো লাগে, আমি সেটা নিয়েই ছবি করব। আমি যে সব ছবি করেছি সেগুলো আমার ভালোলাগা এবং পছন্দের বিষয়। কমার্শিয়াল দিক, কার কী ভালো লাগে, এটা করলে হিট হবে, কোনটা করলে মান ভালো হবে সেই সব নিয়ে ভাবিনি। আমার কাছে 'ইচ্ছে'র মান যতটা, 'হামি'র ও মান ততটা, 'বেলাশেষে', 'মুক্তধারা' সবই তাই। আমি কিন্তু এটা বলতে পারব না যে, যে কটা ছবি আমি করেছি তার মধ্যে 'ইচ্ছে' অনেক উচ্চ মানের ছবি।
প্রশ্নঃ ছবি রিলিজ করানো, হলে দর্শক আসছে কিনা সেই সময়কার কথা, কেমন ছিল ?
শিবপ্রসাদঃ উইনডোজের যে ছবি গুলো নিয়ে আমরা কাজ করেছি, সেখানে আমাদের সিনেমাতে কোন তারকা ছিল না। প্রথম সিনেমা, দ্বিতীয় সিনেমা কোনো টাতেই কোন তারকা ছিলনা। কম বাজেটে কাজ করতে পেরেছি, কম দিনে শ্যুটিং শেষ করতে পেরেছি। সেখান থেকেই আমাদের যাত্রা শুরু। বিশ্বাস ছিল যে ভালো কনটেন্ট দিয়েই জায়গা তৈরি করতে হবে। এমন হয়নি যে ছবি রিলিজের আগেই তা স্যাটেলাইটে বা ডিজিটালে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। 'ইচ্ছে' করার সময় আমরা কোন প্রযোজক পাইনি। দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করার পর যখন প্রযোজক পেলাম ছবি রিলিজের সময়ে। দেখলাম আবার ৩ বছর আটকে গেল । এই ৩ বছরে আমরা ২ টো ছবি করলাম। অদ্ভুতভাবে ঐ দুটো ছবিও আটকে গেল। তার মধ্যে' অ্যাক্সিডেন্ট' ছিল। সেই সময় মানুষ কী করবে? রিমেক করবে বা বড় কোন স্টারের কাছে যাবে। আমরা কি করলাম? না 'মুক্তধারা'র মত ছবি করতে গেলাম। নায়ক কে? নাইজেল আক্কারা। জেলে গিয়ে রিসার্চ করছি। তখনও জানিনা পরের ছবি কে রিলিজ করবে। তখনও তো 'ইচ্ছে' রিলিজ করেনি । যখন 'ইচ্ছে' রিলিজ করানোর কথা হচ্ছে, তখন আমি জানি যে ৩টে ছবি রিলিজ হবে না আমার। চতুর্থ ছবির প্ল্যান করছি, জেলে গিয়ে রিসার্চ করছি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। পাগল ছাড়া কেউ করতে পারে না। তারপর যখন 'মুক্তধারা' শুরু করছি, তখনও লড়াই করছি নাইজেল আক্কারাই হিরো হবে। বড় কোন নায়ককে নিতে পারতাম, কিন্তু না নাইজেল ই হিরো। তারপর 'অলীক সুখ'। বড় কর্পোরেট হাউজ এসেছে, উইনডোজের অফিসে এসে মিটিং হচ্ছে আমাদের বলা হচ্ছে বড কোন নায়ককে কেন নেওয়া হচ্ছে না ? দেব শঙ্কর হালদারকে তারা চেনেন না। বম্বের বড় হাউজ কেন চিনবেন না? একসময় প্রজেক্ট ছেড়ে দেব ভেবেছিলাম। পরে তারা বলেছিলেন আমাদের এই সাহসটা তাঁদের খুব ভালো লেগেছিল। 'ইচ্ছে' যেদিন রিলিজ হল ৩৫ জন গিয়েছিল দেখতে,তারা কারা খুব দেখতে ইচ্ছে করে। তারপর তাঁরা ডেকে ডেকে ৩০০ জনকে এনেছিলংন, সেখান থেকে আস্তে আস্তে হাউজফুল। রূপকথার মত হয়েছিল ব্যাপারটা।
প্রশ্নঃ ঋতুপর্ণা উইনডোজের ব্যাপারে প্রথম থেকেই খুব সার্পোটিভ ছিলেন। ঋতুপর্ণার সঙ্গে উইনডোজের ২০ বছরের সম্পর্ক কেমন?
নন্দিতাঃ ঋতুপর্ণা যদি না থাকত, আমরা এতটা সাহস করে এগোতে পারতাম না। পেছনে সবসময় ঋতু ছিল। ঋতু প্রচুর প্রোডিউসারের কাছে আমাদের নিয়ে গেছে। শিবুকে নিয়ে গিয়ে কথা বলিয়ে দিয়েছে। এটা করো ওটা করো, যাও, সবসময় সাহায্য করেছে। উইনডোজের আত্মা ঋতুপর্ণা, ওকে ছাড়া ভাবা যায়না। আমাদের সঙ্গে হয়ত পার্টনার নয়, কিন্তু মানসিকভাবে ও সবসময় আছ।
শিবুঃ ঋতুর থেকে বড় বন্ধু ইন্ডাস্ট্রিতে নেই, ঋতুর থেকে সৎ আমি কাউকে দেখি নি। ঋতু যদি কারো বন্ধু হয় তাহলে সেটা ১০০ শতাংশ খাঁটি।
আরও পড়ুন: Monochrome: Dev-Suraiya প্রেম, চির অমর কাহিনি, আজও ভোলে নি বলিউড
প্রশ্নঃ একজন মানুষের উপস্থিতি যাঁর থাকা মানেই অনেকটা এগিয়ে যাওয়া, তিনি নেই মানে এই চরিত্র আর কার জন্য লিখব। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাঁর না থাকাটা কতটা প্রভাব ফেলছে?
নন্দিতাঃ আমাদের ৫টা ছবি করার কথাছিল ওঁর সঙ্গে । উনি রাজিও ছিলেন, খুব মিস করছি। 'বেলাশুরু' দেখাতে পারলাম না সৌমিত্রদাকে, এই আফসোস টা সারা জীবনে আমার যাবে না। চেষ্টা করেছিলাম দেখাতে, হল মালিকরা সেই ঝুঁকিটা নিতে পারলেন না। ওঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ অভিনয় 'বেলাশুরু'। মজা করে বলেছিলেন, 'টিকিটের সঙ্গে রুমাল না দিয়ে এবার বাটি দিও'।
শিবপ্রসাদঃ 'বেলাশুরু' ও 'পোস্ত'র স্বত্ত্ব হিন্দিতে বিক্রি হয়ে গেছে। সেটা ভায়াকমের মত একটা কোম্পানি যারা আমির খানের সঙ্গে ছবি বানাচ্ছে । তাদেরও একটাই প্রশ্ন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিপূরক কে হবে? খুব মিস করি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। মহেশ ভাট বলেছিলেন, টভারতবর্ষে এমন অভিনেতা খুব কম আছেন যাদের অভিনয়টা একদম সহজাত'। হিন্দিতে ছবি বানাতে খুব অসুবিধে হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিপূরক খুঁজতে। আমরা হয়তো সেই ছবিগুলো আর করে উঠতেই পারব না যেগুলো নিয়ে ভেবেছিলাম।
প্রশ্নঃ স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে কতটা মিস করছে উইনডোজ?
শিবপ্রসাদঃ হিউজ লস। ৩০ বছর বাদে একজন মানুষ কনফিডেন্স পেয়েছিলেন যে তিনি বড় পর্দায় অভিনয় করতে পারেন। আমি জানি না তাঁরা কারা, যাঁরা স্বাতীদির এই কনফিডেন্সটাই ভএঙে দিয়েছিলেন। এতবছর কেন ওঁকে ছবিতে নেওয়া হয়নি। তারপর যখন 'বেলাশেষে' ছবিতে অভিনয় করলেন, তখন আবার তাঁকে ভেবে চরিত্র লেখা শুরু হল। ততদিনে ৩০ বছর চলে গেছে। তারপর তাঁর চলে যাওয়াটাও খুব তাড়াতাড়ি হল। 'বেলাশুরু' দেখলে মানুষ বুঝতে পারবেন অভিনয়টাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া যায়। রাজের ছবি 'ধর্মযুদ্ধ' করছেন, আমাদের সঙ্গে 'বেলাশুরু' করছেন। সবে খুলতে শুরু করেছিলেন নিজেকে।
নন্দিতাঃ স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত আমার খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। আমি আমার বন্ধুকে হারালাম। আমরা জানি কতটা আগলে রেখে ওঁকে অভিনয় করিয়েছিলাম। একদম বাচ্চার মত। তাঁকে বকতাম, আদর করতাম। রাগ ভাঙাতাম। প্রতি মুহুর্তে জিজ্ঞেস করতেন আমি কি পারব? আমাদের কাছে বিশাল ক্ষতি।
প্রশ্নঃ গত দেড় বছরের অভিজ্ঞতা কি বলে, বড় পর্দায় সিনেমার ভবিষ্যত কি?
শিবপ্রসাদঃ যেভাবে ইউরো কাপে দর্শক আসছে, উইম্বলডনে দর্শক আসছে ঠিক সেভাবেই সিনেমা হলে দর্শক আবার ফিরে আসবে। বড় ভাবেই ফিরে আসবে। ওটিটি তে ওয়েব সিরিজের নায়ক নায়িকারা জনপ্রিয় হয়েছেন, কিন্তু সিনেমা কি তার গ্লোরি পাচ্ছে? সেটা কিন্তু হচ্ছে না। মানুষ বড় পর্দার ছবি বড়পর্দাতেই দেখতে চান। প্রতীক গান্ধী, মনোজ বাজপেয়ীর মত বড় বড় স্টারদের নতুন ভাবে দেখানো হলেও সেটা থাকছে না । দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কিচেন ,স্যারের মত ছবি হয়েছে। কিন্তু এই ধরণের ছবির হল রিয়্যাকশনও এইরকমই হত। কনটেন্ট ভালো ছিল । কিন্তু বড় বড় প্রযোজনা সংস্থা তাঁদের অনেক বড় বড় ছবি হোল্ড করে রেখেছে, বড় পর্দায় রিলিজের জন্য। গান রিলিজ করেনি কোনও সিনেমায়। ওটিটি কোন কমপ্লিট প্ল্যাটফর্ম নয়। হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মজাই আলাদা। দর্শক ছাড়া উইনডোজ এর কোন দামই নেই। কবচকুন্তলহীন কর্ণের মত অবস্থা হবে আমাদের মানুষ ছাড়া।
নন্দিতাঃ সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মজাই আলাদা। আজও দর্শক অপেক্ষা করছেন ভালো ছবি আসবে এবং হলে গিয়ে তাঁরা দেখবেন।
প্রশ্নঃ 'বেলাশুরু'র রিলিজ কবে হবে?
নন্দিতাঃ করোনার পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্নঃ উইনডোজের কি অন্য ভাষায় ছবি করার কথা ভাবছে?
নন্দিতাঃ হ্যাঁ নিশ্চয়ই। যদি তেমন সুযোগ হয় অবশ্যই করব। কথা চলছে। যে রাইটসগুলো কোম্পানি কিনেছে, তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। তারা চাইছে যে আমরা কাজটা করি। তবে কাস্টিং তা খুব জরুরি।
শিবপ্রসাদঃ আমি এটা অন্যভাবে দেখি। সিনেমার একটা নিজস্ব ভাষা আছে। মাজিদ মাজিদি বলেছিলেন সিনেমা একটা নদীর মত। দেখবে ঠিক তোমার সিনেমা, কেউ কোথাও না কোথাও দেখে নিয়েছে। নরওয়ে তে বসে একজন মেসেজ করেছেন যে আমার সিনেমা দেখেছেন। যে ভাষাতেই হোক সিনেমার মান একই থাকবে। ঋত্বিক ঘটককে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অন্য ভাষায় সিনেমা করতে হয় নি। ওটিটি প্লাটফর্ম বলে এখন অনেক সুবিধে। এটা এমন একটা ইন্টারন্যাশানাল প্লাটফর্ম যে, যেখানেই সিনেমা হোক না কেন সবার কাছে পৌঁছবে। সময়টা হয়ত একটু বেশি লাগে এই যা।
প্রশ্নঃ গল্প, শুটিং, টেকনিক্যাল পারফেকশন- সব কিছুর নিরিখে কোন ছবিকে এগিয়ে রাখবেন?
নন্দিতাঃ বেলাশুরু
শিবপ্রসাদঃ বেলাশুরু