আমি Zomato Delivery boy-র পাশে আছি, খুব শীঘ্রই সত্য সামনে আসুক: Parineeti
Zomato delivery Man এর বয়ান প্রকাশ্যে আসা মাত্রই নেট নাগরিকদের একাংশ তার পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি জোর গলায় জানিয়েছেন সত্যি সামনে আসবেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: Zomato delivery boy কামরাজ ও হিতেশা চন্দ্রানীর ঘটনায় এবার মুখ খুললেন পরিণীতি চোপড়া। টুইট করে ঘটনার সত্য উদঘটনের আর্জি জানালেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জোর গলায় বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি জোম্যাটো ডেলিভারি বয় কোনও অপরাধ করেননি। আমি কীভাবে সাহায্য় করতে পারি দয়া করে জানান।‘
ঘটনার সত্যতা জানতে উত্তাল গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। কে দোষী আর কে নয় তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার একটি বড় অংশ পাশে রয়েছে Zomato delivery boy কামরাজের।
Zomato delivery Man এর বয়ান প্রকাশ্যে আসা মাত্রই নেট নাগরিকদের একাংশ তার পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি জোর গলায় জানিয়েছেন সত্যি সামনে আসবেই।
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ঘটনার পর আমি এত জলঘোলা করতে চাইনি। যা ঘটেছে তা ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার সোশ্যাল মিডিয়ায় করা ভিডিও আমার রোজগার কেড়ে নিয়েছে আমি প্রয়োজনে আইনের পথে হাঁটব। কারণ, আমি দোষী নই। হতে পারে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও করে প্রচার করিনি। বা আগে কোথাও অভিযোগ জানাইনি। আমি সত্যের পথে হাঁটতে চাই।
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, মেক আপ আর্টিস্ট তথা মডেল হিতেশা চন্দ্রানী খাবার অর্ডার করেছিলেন। যা আসার কথা ছিল ৩.৩০ নাগাদ। কিন্তু Zomato Delivery Man তা যথাস্থানে পৌঁছতে ১ ঘণ্টা বেশি সময় নিয়ে নেন। এই দীর্ঘ সময়ে চন্দ্রানী Zomato এক্সিকিউটিভের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর খাবার ফ্রি করে দেওয়া হোক নয়ত ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
Zomato Delivery Man খাবার নিয়ে পৌঁছতেই খুব অসভ্যের মতো ব্যবহার করেন, অভিযোগ চন্দ্রানীর। তাঁকে দাঁড়াতে বলেন তিনি। সেই সময় ফ্রিতে বা খাবার ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব কিনা সে বিষয়ে কথা বলছিলেন। কিন্তু ডেলিভারি বয় দাঁড়াতে রাজি হয় না এবং খাবার ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান না। এরপরই শুরু হয় বচসা। চন্দ্রানীর অভিযোগ এরপরই Zomato delivery boy ঘুসি মেরে নাক ফাটিয়ে দেন। গল গল করে রক্ত বেরিয়ে আসে।
Zomato Delivery Man পুলিসকে জানিয়েছেন, 'মহিলা আমায় খাবার ফেরত নিয়ে যেতে বলেন, অন্যদিকে কোম্পানি আমাকে ফোন করে বলে গ্রাহককে বোঝাতে তিনি যে খাবার Cancel করে দেন। কিন্তু, মহিলা উত্তেজিত হয়ে নোংরা কথা বলেন। আমাকে নিচু দেখান। 'দাস' বলে কটাক্ষ করেন। চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর চটি ছুড়ে মারেন। সেই চটির থেকে বাঁচতে হাত এগিয়ে দিই। তখন ওঁনার নিজের হাতের আংটি দিয়ে নাকে লেগে যায়'।