নিজস্ব প্রতিবেদন: বিহারে এনসেফ্যালাইটিস নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত সে রাজ্যের মুজফফরপুরে এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৪টি শিশুর। জ্বর, মাথাব্যথার মতো এনসেফ্যালাইটিসের একাধিক উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বহু শিশু। মুজফফরপুরে শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার সুনীল শাহি জানান, এ পর্যন্ত এই হাসপাতালে ৩৮ জন এনসেফ্যালাইটিসের উপসর্গ নিয়ে চিকিত্সাধীন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এনসেফ্যালাইটিস সম্পর্কে খুঁটিনাটি...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনসেফ্যালাইটিস কী?


যেমন টনসিলে কোনও রকম সংক্রমণের ফলে ফুলে গেলে তাতে ‘টনসিলাইটিস’ বলে, তেমনই মাথায় ভাইরাসঘটিত সংক্রমণের ফলে (এনসেফ্যালন) অস্বাভাবিক ফুলে গেলে যে রোগটা হয়, তাকে এনসেফ্যালাইটিস বলে। চিকিত্‍সকদের এক বড় অংশের মতে, ৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা এনসেফ্যালাইটিসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথমে প্রচণ্ড জ্বর, তার সঙ্গে শরীরে খিঁচুনি শুরু হয়। এর পর দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে আসে আর শেষ পর্যন্ত কোমায় চলে যাওয়াই এর লক্ষণ।


কী ভাবে এনসেফ্যালাইটিস শনাক্ত করা যায়?


রক্ত ও সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্রুইড পরীক্ষার মাধ্যমে এনসেফ্যালাইটিস শনাক্ত করা যায়।


এনসেফ্যালাইটিসের চিকিত্‍সা:


এনসেফ্যালাইটিসের নির্দিষ্ট কোনও চিকিত্‍সা নেই। এ ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত উপসর্গভিত্তিক চিকিতসাই করে থাকেন চিকিত্সকরা।


এনসেফ্যালাইটিস ছড়ায় কী করে?


বিশেষজ্ঞদের মতে, শুয়োর, বক বা সারসের মতো পশু-পাখির শরীরে এই এনসেফ্যালাইটিসের জীবাণু বেড়ে ওঠে। তবে এই জীবানুতে এই সব পশু-পাখির কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু কিউলেক্স জাতীয় মশা এই সব পশু-পাখিকে কামড়ালে এই ভাইরাস রক্তের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত পশু-পাখিকে কামড়ানোর পর সেই মশা কোনও মানুষকে কামড়ালে সে এই রোগে আক্রান্ত হয়।


আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে নিপা ভাইরাস! জেনে নিন খুঁটিনাটি


প্রতিরোধের উপায়?


ভাইরাসঘটিত এনসেফ্যালাইটিসের টিকা রয়েছে। তবে প্রথমেই এনসেফ্যালাইটস রুখতে মশার কামড়ের হাত থেকে বাঁচা জরুরি। মশারি ছাড়া ঘুমোবেন না। বাড়ির পাশে আবর্জনা জমতে দেবেন না। মাম্পস বা হামের টিকা নেওয়া থাকলে মস্তিষ্কে এনসেফ্যালাইটিসের সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। এ ছাড়া, জলবহিত জীবাণু, রোগ ঠেকাতে পরিশ্রুত জল পান করুন।