আতঙ্ক বাড়াচ্ছে নিপা ভাইরাস! জেনে নিন খুঁটিনাটি
১৯৯৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত নিপা ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে পাঁচশোরও বেশি মানুষের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলে আরও ৫ জনের শরীরে নিপা ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। ফলে ওই রাজ্যে নিপা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। ভাইরাসে আক্রান্তদের বডি ফ্লুইডের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কেরলে ইতিমধ্যে ৩১১ জনকে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আলাদা ভাবে রাখা হয়েছে। কেরলে যে কলেজ ছাত্রের শরীরে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে, তাঁর দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুই নার্সও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, নিপা ভাইরাস মূলত বাদুর জাতীয় প্রাণির থেকেই ছড়ায়। তবে শুধুমাত্র বাদুর নয়, শুয়োরের মল বা বর্জ্য থেকেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। ১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার প্রথম এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা যায়। মালয়েশিয়ায় শুয়োরের প্রতিপালনের সঙ্গে যুক্ত মানুষরাই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন, মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ২০০৪-এ নিপা ভাইরাসের থাবায় বাংলাদেশের ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৯৮ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত নিপা ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে পাঁচশোরও বেশি মানুষের।
আরও পড়ুন: আয়ুষ্মান ভারত: মমতা-সহ চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি হর্ষবর্ধনের
চিকিত্সকদের মতে, নিপা ভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ৭৫ শতাংশ। সাধারণত, নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে জ্বর, মাথা ব্যথা আর শরীর অস্বাভাবিক দুর্বল লাগে। এ সবই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ। এর পর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে জ্বর আর সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শুরু হয় খিঁচুনি। আক্রান্ত ব্যক্তি ধীরে ধীরে কোমায় চলে যায় আর তার পরেই মৃত্যু!
কী ভাবে নিপা ভাইরাস থেকে দূরে থাকা সম্ভব?
এখনও পর্যন্ত এই রোগের তেমন কোনও প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি। ফলে, এর প্রকোপ ঠেকাতে ভরসা আগাম সতর্কতা। এই নিপা ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে পশু-পাখির উচ্ছিষ্ট ফল খাবেন না। বিশেষ করে যে সব এলাকায় এই ভাইরাসের নমুনা পাওয়া গিয়েছে।
নিপা ভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পর হাত, মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
যে সব এলাকায় প্রচুর বাদুড় রয়েছে, সে সব এলাকার খেঁজুরের রস খাবেন না।
নিপা ভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা বা শুশ্রুষা করার সময় গ্লাভস আর মাস্ক পরে নিতে ভুলভেন না।