নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের চতুর্থ দফার পর থেকেই আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে করোনা সংক্রমণ। ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন! নতুন করে আশঙ্কার কথা শোনালেন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্স’-এর (NIMHANS) নিউরো ভাইরোলজির প্রধান ভি রবি। তিনি একই সঙ্গে কর্ণাটক হেলথ টাস্ক ফোর্সের নোডাল আধিকারিকও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভি রবি জানান, ভারত এখনও করোনার চূড়ান্ত ভয়াবহতার সম্মুখীন হয়নি। ডিসেম্বরের শেষেই দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ নাগরিক করোনায় আক্রান্ত হবে। এঁদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ বুঝতেই পারবেন না যে, তাঁরা করোনায় আক্রান্ত। অর্থাৎ, উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত এবং তাঁদের থেকেই বড়সড় গোষ্ঠী সংক্রমণের (community transmission) আশঙ্কা করছেন NIMHANS-এর নিউরো ভাইরোলজির প্রধান।


চতুর্থ দফায় লকডাউন কিছুটা শিথিল করার পর থেকেই দেশে প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে মাত্র ৫ শতাংশ করোনা আক্রান্তকেই হয়তো ভেন্টিলেশনে রাখার প্রয়োজন হতে পারে আর মৃত্যুর হারও ৩ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যেই থাকবে বলে মত ভি রবির।


গত সপ্তাহেই করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’-এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। WHO-এর পক্ষ থেকে ডঃ মাইক রায়ান জানান, গোটা বিশ্বেই এখন করোনার প্রথম ‘ওয়েভ’ চলছে। এই পর্যায়ে আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণের ঘটনা। এই প্রথম পর্যায়ের সংক্রমণের সংখ্যা যখন কমে আসবে তার মাস খানেকের মধ্যেই ভাইরাসের ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ শুরু হবে বিভিন্ন দেশে। এই সময় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে ভেবে নিয়ে কোনও রকম অসাবধানতা বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে!


আরও পড়ুন: প্রত্যাশা বাড়িয়ে করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় পর্যায়ের ‘হিউম্যান ট্রায়াল’ শুরু করল মোদের্না!


এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তিনি সবকটি রাজ্যকেই প্রস্তুত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন। রাজ্যগুলির চিকিৎসা পরিকাঠামো সুদৃঢ় করার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বলেছেন। করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত করার জন্য আরও বেশি পরিমাণে টেস্টের প্রয়োজন। তাই আরও বেশ ল্যাবের পরিকাঠামোয় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ভি রবি।