ওয়েব ডেস্ক: এটা খাই-সেটা খাই, সবসময় খাই খাই। মাথায় যদি এটাই ঘোরে, তাহলে কিন্তু সাবধান। বেশি খাই খাই ভাল নয়, বরং মাঝেমধ্যে উপোসও ভালো। উপোসের আছে অনেক প্লাস পয়েন্ট। ঠিকমতো সময় মেপে উপোস করলে, ভাল থাকবে স্বাস্থ্য। হতে পারে, বহু রোগের উপশমও।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খাই খাই করো কেন, এসো বোসো আহারে.... এমন আমন্ত্রণ পেলে, কেই বা খালি হাতে বসে থাকে! সুযোগ পেলেই এটা-ওটা মুখে চালান করে দেওয়া অনেকেরই অভ্যেস। প্লেটে কী কী পড়বে, তারই চিন্তা সর্বক্ষণ ঘুরে বেড়ায় মাথার মধ্যে। ব্রেক নেই রাতেও। ঘুম মাথায়! পেটের তাড়নায় হয়ত তখনও চলছে মুখ।  এমন হওয়ায় কোনও দোষ নেই। আফটার অল, সবটাই পাপী পেটের ব্যাপার। তবে খালি খাইখাই কিন্তু বিপদের ঘণ্টা হয়ে উঠতেই পারে। মাঝেসাঝে উপোসের কথা ভাবলেই যদি গায়ে জ্বর আসে, তাহলে বোধহয় হতেই হবে সাবধান।


আরও পড়ুন- কিডনি সমস্যার সম্ভাব্য কারণ


উপোসেই উপশম


খাই খাই আর নয়...


সাম্প্রতিক বেশকিছু রিপোর্টে জানা গিয়েছে, সময় বেঁধে উপোস করা হলে তা শরীরের পক্ষে ভাল। উপোসের সময়সীমা যেন কখনই চব্বিশ ঘণ্টার বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, নিয়মিতভাবে সময় মেপে উপোস হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকটাই কমায়।


মহিলাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমে ব্রেস্ট ক্যানসারের। রাতভর অর্থাত্‍ প্রায় টানা তেরো ঘণ্টা উপোস করতে পারলে ব্রেস্ট ক্যানসার ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেকটাই দূর করা যায়। সময় মেপে উপোসের অভ্যাস করতে পারলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়


উপোসের উপকারিতার খোঁজে বিশ্বজুড়ে হয়েছে-হচ্ছে বহু রিসার্চ। উঠে আসছে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। এক মার্কিন সমীক্ষা অনুযায়ী,রাতের দিকে তেরো ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে যে মহিলারা খাবার খেতে অভ্যস্ত, তাঁদের ক্যানসার ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়ে ৩৬ শতাংশ। মৃত্যুর সম্ভাবনাও বাড়ে ২১ শতাংশ।


খাবারদাবার থেকে শর্ট ব্রেক, স্বাস্থ্যের পক্ষে উদ্বেগজনক


এতে ঘুমে ব্যাঘাত এবং হাই ব্লাড প্রেশারের মতো সমস্যা বাড়ে


রাতভর উপোসের ক্ষেত্রে বড় বাধা দেরি করে ডিনার


সেক্ষেত্রে ব্রেকফাস্ট করার সময় তাড়াতাড়ি চলে আসে, ফলে উপোসের জন্য ঠিকমতো সময় দেওয়া যায় না


এক্ষেত্রে উপোসের সহজ পথ, তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া এবং এরপর রাতভর কিছু না খাওয়া



উপোসের উপকারিতা


উপোস মানেই শরীরের বিশ্রাম
এতে DNA-র মেরামতি যেমন চলে, তেমনি কোষের সজীবতা বাড়ে


শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়ক এই পথ


তবে একথা কিন্তু মাথায় রাখা দরকার, উপোস মানেই না খেয়ে দিনের পর দিন থাকা নয়। তাতে হিতে বিপরীত হবে। বরং সময় মেপে উপোসেই লুকিয়ে, সুস্বাস্থ্যের রহস্য।